১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

কৃষ্ণচূড়া রঙে

-

প্রিয় বাংলার ঋতুবৈচিত্র্য মানে প্রকৃতি ঋতুতে ঋতুতে নতুন সৌন্দর্যে সজ্জিত হওয়া। যেই সৌন্দর্য উপভোগের কোনো বিকল্প হয় না। কেননা সবুজ-শ্যামলে ভরপুর গ্রামের সোনালি রোদ্দুর ফসলের মাঠ। প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্যে নদ-নদীর চরাঞ্চলের ভরপুর কাশফুল। বর্ষায় বিলে বিলে ফোটা পদ্মফুল। দৃষ্টিসীমাজুড়ে প্রকৃতির মনোমুগ্ধকর লাল-সাদা শাপলা ফুল। গ্রীষ্মের ঋতুতে গ্রাম শহর নগরের আনাচে-কানাচে ছড়ানো কৃষ্ণচূড়ায় রাঙা প্রকৃতি।
এমন বহু সৌন্দর্যে বেষ্টিত আমাদের এ বসুন্ধরা মন কাড়ে সব প্রকৃতিপ্রেমীর। আর এজন্য আমাদের দেশের সবুজ-শ্যামল অপরূপ প্রকৃতি, নদ-নদী, পাহাড়-বনের অঞ্চলগুলোকে বলা যায় সৌন্দর্যের পটভূমি বা আঁধার। কেননা এদেশে বর্ষা বাদল শেষে শরৎ আসে হেসে। শরৎচন্দ্র শেষে গ্রীষ্ম আসে কৃষ্ণচূড়ার রঙে। ফলে শহর নগর রঙিন হয় কৃষ্ণচূড়ার রঙে।
চার পাশের পরিবেশ সবুজ গালিচায় মোড়ানো ও ফুল-ফল আর হাজারো বৃক্ষে নিপুণভাবে সাজানো। এঁকেবেঁকে ছুটে চলা দূর বহুদূরের রাস্তাগুলো। আর আকাশটা যদি হয় সূর্যের আলোয় ঝলমলে ও মনকাড়া নীলের সাথে শুভ্র আভা ও খণ্ড খণ্ড মেঘমালায় সাজানো। তাহলে পরিবেশটা কেমন হতে পারে, কতটা সুন্দর হতে পারে! এককথায় অসাধারণ, অতুলনীয় ও অবর্ণনীয়।
অতঃপর বর্তমান সময়ে কৃষ্ণচূড়ার রঙে নিজেকে ও শহর নগর বন্দরকে রাঙিয়ে তুলতে ও সজ্জিত হতে প্রকৃতিপ্রেমী হিসেবে চার পাশের ফুটে থাকা কৃষ্ণচূড়ার দিকে দৃষ্টি ফেরান। আর কৃষ্ণচূড়ার রঙের এই শহরের সৌন্দর্যকে আরো কাছ থেকে উপভোগ করুন। দেখবেন প্রকৃতির এই সৌন্দর্য থেকেই লাভ হবে হৃদয়ের প্রশান্তি, চোখের শীতলতা ও মহান সৃষ্টিকর্তার পরিচয়। তাই আসুন প্রকৃতিকে ভালোবাসি, প্রকৃতির ছোঁয়া অনুভব করি। আর কৃষ্ণচূড়ার গাছ রোপণ করি। কৃষ্ণচূড়ার রঙে রঙিন হোক এই শহর।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল