২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মঙ্গল থেকে প্রথম ছবি পাঠাল চীনের রোভার ঝুরং

ঝুরং রোভার মঙ্গল গ্রহের প্রথম যে ছবিগুলো তুলেছে সেগুলো প্রকাশ করেছে চীন। - ছবি : সংগৃহীত

ঝুরং রোভার মঙ্গল গ্রহের প্রথম যে ছবিগুলো তুলেছে সেগুলো প্রকাশ করেছে চীন।

রোভার থেকে তোলা ছবিতে সামনের অংশে দেখা যাচ্ছে মঙ্গলের পৃষ্ঠ আর পেছনে রয়েছে ঝুরংয়ের সৌর প্যানেলগুলো। রোভার যে প্ল্যাটফর্মের ওপর অবতরণ করেছে, সেখান থেকেই রোবট এই ছবি তুলেছে।

বেইজিংয়ের সময় রোববার সকালে রোভারটি লাল গ্রহের মাটিতে অবতরণ করে।

মহাকাশ অভিযানের ক্ষেত্রে আমেরিকার পর চীনই দ্বিতীয় দেশ যারা মঙ্গল গ্রহে সফলভাবে রোভার নামাতে এবং মঙ্গলের পৃষ্ঠে রোভারটিকে উল্লেখযোগ্য সময় ধরে কাজ করাতে সক্ষম হয়েছে।

চীনা বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, ছয় চাকার এই রোভার রোবটটি ইউটোপিয়া প্লানিটিয়া অঞ্চলে অন্তত ৯০ মঙ্গল দিবস ধরে তার কাজ চালিয়ে যেতে পারবে। মঙ্গল গ্রহের উত্তর দিকে বিস্তীর্ণ এলাকাটির নাম ইউটোপিয়া প্লানিটিয়া।

চীনের জাতীয় মহাকাশ প্রশাসন (সিএনএসএ) তাদের ওয়েবসাইটে এই ছবিগুলো পোস্ট করেছে।

তাদের ওয়েবসাইটে এমনকি দুটি ছোট ভিডিও-ও পোস্ট করা হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে রোভারের বাইরের খোলস বা ক্যাপসুল যখন মূল উপগ্রহ তিয়ানওয়েন-১ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় সেই মুহূর্তটি।

রোভার রোবটটি মঙ্গল গ্রহে নিয়ে যায় তিয়ানওয়েন-১, যেটি মঙ্গলের কক্ষপথ প্রদক্ষিণ করছে। একটি বাতাসে ভরা ক্যাপসুল ব্যবহার করে ঝুরং রোভার মঙ্গল গ্রহের বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে।

মঙ্গলের বুক থেকে যেসব ছবি ঝুরং তুলেছে তার থেকে এটা পরিষ্কার যে, অবতরণের পর রোভারটি তার গুরুত্বপূর্ণ যান্ত্রিক সরঞ্জামগুলো সুশৃঙ্খলভাবে এবং ঠিকমত নির্ধারিত জায়গাগুলোতে বসাতে পেরেছে।

এর মধ্যে রয়েছে সৌর প্যানেলগুলো ঠিকমত খুলতে পারা, যে প্যানেলগুলো রোবটটি কাজ করার জন্য সৌরশক্তি সরবরাহ করবে, রয়েছে মূল যান তিয়ানওয়েন-১-এর সাথে এবং সেইসাথে চীনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সাথে যোগাযোগের জন্য অ্যান্টেনা চালু করা এবং রোবট থেকে একটি পাটাতন নামানো যে পাটাতন বেয়ে কিছুদিনের মধ্যে ঝুরং নিচে নামবে এবং চলাচল করে ছবি ও তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করবে।

ঝুরং দেখতে অনেকটা আমেরিকান মহাকাশ সংস্থা নাসা ২০০০এর পর থেকে স্পিরিট ও অপারচুনিটি নামে যে রোভার পাঠিয়েছিল সেগুলোর মতো।

ঝুরংয়ের ওজন ২৪০ কেজি। এই রোবটে উঁচু মাস্তুলের মাথায় ছবি তোলার জন্য একটি ক্যামেরা বসানো রয়েছে এবং রয়েছে দিক-নির্দেশনার সরঞ্জাম। এতে আরো বাড়তি যে পাঁচটি যন্ত্র রয়েছে তা দিয়ে স্থানীয় পাথরের খনিজ বিশেষত্ব পরীক্ষা করা হবে, পরিবেশের সাধারণ প্রকৃতি এবং আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা হবে।

আমেরিকার দুটি রোভার পারসিভিয়ারেন্স এবং কিউরিওসিটির মতোই ঝুরংয়ে পাথরের রসায়ন পরীক্ষা করার উপযোগী লেসার যন্ত্রপাতি রয়েছে। এছাড়াও মঙ্গলপৃষ্ঠের নিচে পানি বা বরফ আছে কিনা তা অনুসন্ধানের জন্য ঝুরংয়ে একটি রেডার যন্ত্র রয়েছে। পারসিভিয়ারেন্সেরও একই ধরনের সক্ষমতা রয়েছে।

ইউটোপিয়া প্লানিটিয়া অঞ্চলে নাসা ১৯৭৬ সালে তাদের ভাইকিং-২ মিশন পাঠিয়েছিল।

এটা খুবই বিস্তীর্ণ একটি অঞ্চল- চওড়ায় ৩ হাজার কিলোমটারেরও বেশি। মঙ্গল গ্রহের ইতিহাস অনুযায়ী এই গ্রহের জন্মের প্রথম দিকে একটি প্রাকৃতিক ধাক্কা থেকে এই এলাকা তৈরি হয়। বহু বহু বছর আগে এখানে একটি মহাসাগর ছিল বলে কিছু তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়।

উপগ্রহের মাধ্যমে দূর থেকে চালানো গবেষণায় এমন ধারণা পাওয়া যায় যে, সেখানে গ্রহপৃষ্ঠের নিচে গভীরে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বরফের মজুত রয়েছে।

আমেরিকা ফেব্রুয়ারি মাসে মঙ্গল গ্রহে আরো বড় অর্থাৎ এক টন ওজনের পারসিভিয়ারেন্স রোভার নামিয়েছে।

ইউরোপ দু-দুবার মঙ্গল গ্রহে কোনো রোভার নামাতে ব্যর্থ হয়েছে। তবে আগামী বছর রাশিয়ার সাথে যৌথ উদ্যোগে ইউরোপ মঙ্গল গ্রহে রোজালিন্ড ফ্র্যাংকলিন নামে একটি রোভার পাঠানোর পরিকল্পনা করছে।

সূত্র : বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement
ঈশ্বরদীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪২.৪ ডিগ্রি তাপমাত্রার রেকর্ড ‘মুক্ত সাংবাদিকতা চরম সঙ্কটে’ ‘রাফা হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরাইলি সেনারা’ ৪৬তম বিএসএস প্রিলি পরীক্ষা : শুরুতেই স্বপ্নভঙ্গ ৮১ শিক্ষার্থীর মরুর উষ্ণতায় ক্ষতির মুখে কৃষি ছেলেদের কারণে বিপাকে মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির দুই বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে ফ্রান্স, ব্রাজিল ও প্যারাগুয়ে সফরে যাচ্ছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ড সফরকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে মাইলফলক বললেন প্রধানমন্ত্রী লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী যুবক নিহত এখনো শেষ হয়নি বিতর্কিত আউটের রেশ, ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ মুশফিকের

সকল