১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

বিশ্বজয়ী হাফেজ আবু রায়হানকে বিমানবন্দরে সংবর্ধনা

বিশ্বজয়ী হাফেজ আবু রায়হানকে বিমানবন্দরে সংবর্ধনা - ভিডিও থেকে নেয়া ছবি।

সেনেগালের রাজধানী ডাকারে অনুষ্ঠিত ১১তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্বের ৩০টি দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকারী বাংলাদেশী হাফেজ আবু রায়হানকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিশেষ সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। তিনি আজ রোববার (১৪ এপ্রিল) সকালে দেশের মাটিতে অবতরণ করেন।

বিশ্বজয়ী হাফেজ আবু রায়হান বিমানবন্দর পৌঁছলে তাকে আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সংস্থা বাংলাদেশের মহাসচিব শায়েখ সাদ সাইফুল্লাহ মাদানীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল বরণ করে নেয়। এছাড়াও দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও সর্বশ্রেণির জনসাধারণ তাকে বিমানবন্দরে ফুল দিয়ে সংবর্ধনা জানায়।

পরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে আল্লাহর রহমত এবং সাহায্যের কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন হাফেজ রায়হান। তিনি বলেন, আল্লাহর রহমতে আমি বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করতে পেরেছি। অনারব দেশ হওয়ার পরও আজ বাংলাদেশের হাফেজ ও ক্বারীরা বেশ ভালো করছেন। সেনেগালে যখন চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের নাম ঘোষণা হয়, তখন গর্বে মনটা ভরে যায়।

এ সময়ে আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সংস্থা বাংলাদেশের মহাসচিব বলেন, রায়হানের এ অর্জন নিশ্চিতভাবে বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গর্বের। বাংলাদেশের হাফেজরা সবসময় বহিঃবিশ্বে বাংলাদেশের পতাকা উড্ডীন করে আসছে। আবারো সেনেগালে তা প্রমাণিত হলো। আমরা চাই সবসময় মেধাবীরা উঠে আসুক এবং বিজয়ের এই ধারাবাহিকতা অব্যহত থাকুক।

হাফেজ আবু রায়হান, মুফতি আব্দুল কাইয়ুম মোল্লা পরিচালিত আর রায়হান ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসার ছাত্র। সেই মাদরাসার পরিচালকও এ সময় রায়হানের মতো আরো হাফেজদের নিয়ে কাজ করার আশা ব্যক্ত করেন এবং এই বিজয়কে বাংলাদেশের বিজয় বলেও অভিহিত করেন।

এদিকে রায়হানের পরিবারও তার এই অর্জনে অত্যন্ত খুশি। ছোটবেলা থেকেই রায়হান বেশ পরিশ্রমী এবং বুদ্ধিমান বলে জানান তার বাবা।

এবারের আসরে বিশ্বের ৩০টি দেশের ৫৫ জন প্রতিযোগী অংশ নেন। শিশু ক্বারী হিসেবে খ্যাতি পাওয়া হাফেজ আবু রায়হান ২০১৮ সালে কাতারে অনুষ্ঠিত টেলিভিশন ভিত্তিক রিয়েলিটি শো তিজানুন নূর তথা জিম টিভিতে আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ১ম স্থান অর্জন করার গৌরব অর্জন করেছিলেন।


আরো সংবাদ



premium cement