২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২০ মহররম ১৪৪৬
`

আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়তের প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত

আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়তের প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত - ছবি : নয়া দিগন্ত

আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত ধামরাই থানার প্রতিনিধি সম্মেলন আজ রোববার বা'দ জোহর ধামরাইয়ের ইালামপুরে কাসিমুল উলুম শরীফিয়া মাদরাসা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত ৭-নং জোনের উপদেষ্টা হাফেজ ক্বারী খোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি আল্লামা জুনাইদ আল হাবিব। প্রধান আলোচক ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব আল্লামা মুহিউদ্দিন রাব্বানী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আল্লামা জুনাইদ আল হাবিব বলেন, সৈয়দ আতাউল্লাহ শাহ বুখারী রহ. ভারতীয় উপমহাদেশে কাদিয়ানী ফেৎনার উৎপত্তি হলে তার মূলৎপাটনে আলমি মজলিসে তাহাফফুজ খতমে নবুয়ত প্রতিষ্ঠা করেন। বাংলাদেশে ১৯৯০ সালে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব উবায়দুল হক রহ. এবং মাওলানা নুরুল ইসলাম জিহাদী রহ. এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এটি কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা করে জাতীয় সংসদে খতমে নবুওয়ত আইন পাস করার জন্য আন্দোলন চালিয়ে আসছে। এদের ব্যাপারে আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট, এদেশে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা যেভাবে নিজেদের ধর্মীয় পরিচয়ে বসবাস করে কাদিয়ানী সম্প্রদায়কেও নিজেদের ধর্মীয় পরিচয়ে এদেশে বসবাস করতে হবে। আর দেশের কাদিয়ানী সমস্যার এটাই একমাত্র স্থায়ী সমাধান। এর কোনো বিকল্প নেই।

প্রধান আলোচকের বক্তব্যে আল্লামা মুহিউদ্দিন রাব্বানী বলেন, আমরা সরকারের কাছে প্রায় তিন যুগ ধরে আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশের ব্যানারে কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার দাবি জানিয়ে আসছি। এর ধারাবাহিকতায় গত বছর ঢাকার কাজী বশির মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জাতীয় ওলামা মশায়েখ ও প্রতিনিধি সম্মেলন থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে যেই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিলো তা বাস্তবায়নে আজকের এই সম্মেলন। আমরা সারাদেশের সকল বিভাগে, জেলা উপজেলাসহ থানাভিত্তিক কমিটি গঠন করছি। এমনকি ওয়ার্ড এবং ইউনিয়নেও কমিটি গঠন করে কাদিয়ানী বিরোধী জনমত তৈরি করে খতমে নবুওয়ত আন্দোলনকে বেগবান করার সর্বোচ্চ প্রয়াস চালাচ্ছি। আজকের এই সম্মেলন থেকে কাদিয়ানীদের অনতিবিলম্বে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করে মুসলমানদের ধর্মীয় স্বাধীনতা হেফাজত করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।

সভায় মুফতী মাহফুজুর রহমানকে সভাপতি এবং মুফতী আবুল হুসাইন খাঁনকে সেক্রেটারি করে ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট ধামরাই থানা কমিটি ঘোষণা করা হয়।

এ সময় মুফতি আব্দুর রাজ্জাকের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন মাওলানা ইউসুফ সাদিক হক্কানী, মাওলানা আলী আজম, মাওলানা আফসার মাহমুদ, মুফতি মাহফুজ হায়দার কাসেমী, মুফতি আবুল হুসাইন খাঁন, মুফতি আব্দুর রশিদ কাসেমী, মুফতি সানাউল্লাহ, মুফতি আতিকুর রহমান, মুফতি ইলিয়াস, মুফতি আব্দুর রহমান, মাওলানা ইদ্রিস আলী, মাওলানা আবুল হাসান, মুফতি রেজাউল করিম, মাওলানা জুবায়ের আহমদ, মুফতি আব্দুর রাজ্জাক, ক্বারী শওকত আলী, মুফতি আশরাফ আলী, মুফতি মাহবুবুর রহমান, মুফতি রাশেদুল ইসলাম, মুফতি মাহমুদুল হাসান, মুফতি আব্দুর রশিদ, মাওলানা আব্দুর রশিদ প্রমুখ।


আরো সংবাদ



premium cement