কুড়িগ্রামে বন্যা : ভয়াবহ দুর্ভোগে ২ লাখ বানভাসী
- রেজাউল করিম রেজা, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
- ১১ জুলাই ২০২৪, ১০:১৮
কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি কিছুটা কমলেও এখনো বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও দুধকুমারের পানি। বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাটে পানি থাকায় ঘরে ফিরতে পারছেনা বানভাসীরা। এমন পরিস্থিতিতে ভয়াবহ দুর্ভোগে আছে মানুষজন। দুই সপ্তাহ ধরে নিম্মাঞ্চলের ৫৫ ইউনিয়নের ৪০০ শতাধিক গ্রামের প্রায় দুই লাখ মানুষ বন্যা কবলিত হয়ে দুর্বিষহ জীবন-যাপন করছে।
জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে বন্যা দুর্গতদের জন্য ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হলেও অনেক এলাকায় এখনো তা পৌঁছায়নি।
ভেতরবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জানান, বানভাসী মানুষের কষ্ট দিন দিন বাড়ছে। বন্যা দার্ঘস্থায়ী হলে মানুষের কষ্ট আরো বাড়বে। এ অবস্থায় খাদ্য, বিশুদ্ধ খাবার পানির সঙ্কটে পড়েছে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তরা।
গ্রামের রাস্তাঘাট এখনো তলিয়ে থাকায় যাতায়াতের দুর্ভোগ বেড়েছে বলে জানান মোগলবাছা ইউপি চেয়ারম্যানসহ চর সিতাইঝারের বন্যা কবলিত একাধিক মানুষজন। যাতায়াতের মাধ্যম হয়েছে নৌক ও কলাগাছের ভেলা। দীর্ঘ সময় পানিতে থাকায় মানুষের বিভিন্ন রোগ দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে ইউনিয়ন পর্যায়ের স্বাস্থ্যসেবা কর্মীরা। তারা স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটসহ বিভিন্ন ওষুধপত্র সরবরাহ করছেন।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, নদ-নদীর পানি সমতলে কিছুটা হ্রাস পেলেও ব্রহ্মপুত্রের চিলমারী, হাতিয়া, নুনখাওয়া এবং ধরলা ও দুধুকুমারের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা