বাঁশের সাঁকোয় জন্ম নেয়া সেই নবজাতককে দেখতে গেলেন উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা
- মোস্তাফিজুর রহমান তারা, রৌমারী (কুড়িগ্রাম)
- ০৭ জুলাই ২০২৪, ১৮:৫৭, আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১৯:১২
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে বাঁশের সাঁকো পার হয়ে হাসপাতালে যাওয়ার সময় সাঁকোর মাঝপথে জন্ম নেয়া নবজাতককে দেখতে গেলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের লোকজন।
রোববার (৭ জুলাই) সকালে রৌমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খান, রৌমারী উপজেলা চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শালু, ভাইস চেয়ারম্যান সামসুদ্দোহা, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্ত মো: সামসুদ্দিন, উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মুনছুরুল হক, রৌমারী থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহিল জামান ওই শিশুকে দেখতে উপজেলার সুতিরপার গ্রামের আহম্মদ আলীর বাড়িতে যান।
সেখানে গিয়ে নবজাতকের মা বিলকিছ বেগম ও পরিবারের সদস্যদের সাথে কুশলাদি বিনিময় করেন। এ সময় তারা কিছু আর্থিক সহায়তা দেন এবং মিষ্টি ও কিছু উপহার সামগ্রীও হস্তান্তর করেন।
এসময় রৌমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খান বাঁশের সাকোর স্থলে নবজাতক সেতু ওরফে স্বপ্নার নামে ব্রিজ নির্মাণের আশ্বাস দেন।
উল্লেখ্য, শনিবার (৬ জুলাই) সুতিরপার গ্রামের আহাম্মেদ আলীর অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে বিলকিছ বেগমের প্রসব বেদনা শুরু হলে তাকে ডেলিভারির জন্য রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হচ্ছিল। কিন্তু নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো পারের সময় প্রচণ্ড প্রসব বেদনায় সাঁকোর মাঝপথে টলে পড়েন বিলকিছ বেগম। এ সময় সাথে থাকা নারীরা সন্তান প্রসবে সহায়তা করলে সেখানেই একটি ফুটফুটে কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। পরে বিষয়টি নিয়ে পত্রপত্রিকায় লেখালেখির মাধ্যমে খবরটি সারাদেশে ভাইরাল হয়।
জানা যায়, মাঝিপাড়া সুতিরপার নামক স্থানে স্লুইজ গেট খালের উপর আধাভাঙ্গা বাঁশের সাঁকোটির মাধ্যমে যুক্ত হওয়া সড়কটি যুগ যুগ ধরে বামনেরচর, খাটিয়ামারী, মোল্লারচর, বেহুলারচর সুতির পাড়সহ প্রায় ১৭টি গ্রামের ৩০ হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম। ২০-২৫ বছর আগে ভারতীয় পাহাড়ি ঢলের চাপে সড়কটি ভেঙে বড় খালের সৃষ্টি হয়। যার ফলে বিপাকে পড়ে ওই অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ। সড়কের ওই ভাঙ্গা অংশে সেতু নির্মাণে প্রশাসনিক তৎপরতা না থাকায় ভাগ্যের জট খোলেনি সীমান্তবর্তী দুর্গম এলাকার মানুষের। দীর্ঘদিন ধরে কখনো ডিঙ্গি নৌকায়, কখনো কলাগাছের ভেলায়, কখনো কেউ কেউ নিজস্ব অর্থায়নে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে অর্থের বিনিময়ে পথযাত্রী পারাপার এবং এলজিএসপি, টিয়ারসহ নানা নামীয় প্রকল্প দিয়ে খালের উপর বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে জনভোগান্তি লাঘবে কাজ করে আসছিল।
এদিকে, বাঁশের সাঁকোটি নিয়মিত সংস্কার না হওয়ায় নড়বড়ে সাঁকোর উপর দিয়ে যানবাহন পারাপারে ভোগান্তির শেষ নেই।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা