১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

জেলায় ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় আছে - ছবি : ইউএনবি

কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বাড়তে থাকায় বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। প্লাবিত হয়ে পড়েছে নতুন নতুন এলাকা। জেলায় ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় আছে।

শুক্রবার (৫ জুলাই) সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বেড়ে বিপৎসীমার ৭৮ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে ৭২ সে.মি. এবং হাতিয়া পয়েন্টে ৮০ সে.মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

তবে, কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি, পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমার এবং শিমুলবাড়ী পয়েন্টে ধরলার পানি বিপৎসীমার নিচেই রয়েছে।

কাঁচা-পাকা সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। চিলমারী থেকে রৌমারীগামী ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে দুর্ভোগ আরো বেড়েছে।

এছাড়াও ২ হাজার ৩০০ হেক্টর ফসলি জমি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।

বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ায় জেলায় ৩৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

নদ-নদী তীরবর্তী চর ও নিম্নাঞ্চলের বসতভিটায় পানি ঢুকে পড়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে মানুষজন। অনেক পরিবার গবাদিপশুসহ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছে।

সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের পোড়ার চরের বাসিন্দা মতিউর বলেন, ‘ব্রহ্মপুত্রের পানি ঘরের চারপাশে আসছে। গবাদিপশু নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।’

বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মুসার চরের মতিয়ার রহমান জানান, চরের প্রতিটি বাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। কেউ নৌকা, কেউ বা মাচান করে উঁচু স্থানে আছে। এখানকার প্রতিটা পরিবার খুব কষ্টে আছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: রাকিবুল হাসান জানান, ব্রহ্মপুত্রসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি আরো ৪৮ ঘণ্টা ধরে বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরইমধ্যে ব্রহ্মপুত্রের পানি তিনটি পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যান্য নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা নিচে রয়েছে।

জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার জানান, জেলায় ৬২ হাজার ২০০ মানুষ পানিবন্দী। এখন পর্যন্ত ১৭৩ মেট্রিক টন চাল ও ১০ লাখ টাকা বিতরণের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মজুত আছে ৬০০ মেট্রিক টন চাল ও ৩০ লাখ টাকা। যা পর্যায়ক্রমে বিতরণ করা হবে।

সূত্র : ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement