১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ডিমলায় সিজারের পর প্রসূতির মৃত্যু

- ছবি : নয়া দিগন্ত

নীলফামারীর ডিমলায় ডিমলা স্কয়ার ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে একটি ক্লিনিকে প্রসবকালীন অস্ত্রোপচারের পর তাসলিমা আকতার তুলি (২২) নামে এক প্রসূতির মৃত্যর অভিযোগ উঠেছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ওই রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।

শুক্রবার রাতে নিহতের স্বামী আসাদুজ্জামান আসাদ দৈনিক নয়া দিগন্তকে এসব তথ্য জানান।

তাসলিমা আকতার তুলি উপজেলার শালহাটী এলাকার আসাদুজ্জামান আসাদের (২৩) স্ত্রী।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে তীব্র ব্যথা নিয়ে তুলি ক্লিনিকে ভর্তি হন। রাতে রোগীর‌ বাবা ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের সিদ্ধান্তহীনতার কারণে সিজার করা হয়নি। পর দিন সকাল বেলা নবজাতকের হাত মাসিকের রাস্তা দিয়ে বের হলে দ্রুত সময়ে মধ্যে অপারেশনের পরামর্শ দেয়া হয়। একপর্যায়ে গতকাল সকাল সাড়ে ৭টায় সফলভাবে অপারেশন সম্পন্ন শেষে নবজাতক ও প্রসূতিকে কেবিনে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু সকাল ১১টার দিকে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে রোগীর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হয়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (রমেক) প্রেরণ করা হয়। হাসপাতালে (রমেক) ভর্তি শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

নিহতের পরিবার ও স্বজনরা জানায়, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তুলির সিজারিয়ান অপারেশন হয়। এরপর চিকিৎসক জানান, মা ও নবজাতক উভয়েই ভালো আছে। অপারেশন শেষে ৯টার দিকে তাকে পোস্ট অপারেটিভ রুমে নেয়া হয়। তখনো চিকিৎসকরা জানান, তুলি ভালো আছে। তবে অপারেশনের দু’ঘণ্টা পর তারা জানান তুলির প্রচন্ড রক্তক্ষরণ হচ্ছে।

স্ত্রীর মৃত্যু প্রসঙ্গে আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ‘আমার স্ত্রী তুলির সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়। চিকিৎসকের কাছে সার্বিক অবস্থা জানতে চাইলে তারা জানায় রোগী এবং নবজাতক উভয়েই ভালো আছে। ১১টার দিকে শুনি রোগী ভালো আছে, তবে কিছুটা ব্লিডিং হচ্ছে।’

অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তুলির মারা যাওয়ার কথা স্বীকার করে ওই সিজারিয়ান অপারেশনের ডা. মো: রাজু আহমেদ জানান, ‘আমাকে ক্লিনিক থেকে জানায় একজন সিজারের রোগীর আছে। ক্লিনিকে গিয়ে দেখি রোগীর মাসিকের রাস্তা দিয়ে বাচ্চার হাত বের হয়ে গেছে। তাদের বলি এটা অপারেশন ছাড়া কোনো উপায়। পরে ৭টার দিকে সফলভাবে অপারেশন সম্পন্ন হয়। অপারেশন শেষে রোগীকে রক্ত লাগবে এটা জানানোর পরেও তারা রক্তের ব্যবস্থা করতে পারেনি। এক পর্যায়ে ১১টা থেকে রক্তক্ষরণ শুরু হলে দুপুর ২টায় ক্লিনিকে গিয়ে দেখি তারা রক্তের ব্যবস্থা করতে পারেনি। রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখে স্যালাইন দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠাতে বলি।’


আরো সংবাদ



premium cement