১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১ পৌষ ১৪৩০, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাতিল না হলে লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা

সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাতিল না হলে লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা - ছবি : নয়া দিগন্ত

প্রজ্ঞাপিত সর্বজনীন পেনশন স্কীম থেকে দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম প্রত্যাহার করা না হলে আগামী ১ জুলাই থেকে লাগাতর কর্মবিরতিতে যাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

রোববার (২৬ মে) দুপুরে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির আয়োজিত ক্যাম্পাসের শেখ রাসেল স্কয়ারে মানববন্ধন থেকে এই ঘোষণা দেন শিক্ষক নেতারা। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. বিজন মোহন চাকী ও সাধারণ সম্পাদক মো: আসাদুজ্জামান মণ্ডল আসাদ।

সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো: আসাদুজ্জামান মণ্ডল আসাদ বলেন, আগামী ১ জুলাই থেকে যোগদানকৃতদের সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনার আওতাভুক্ত করার যে ঘোষণা দেয়া হয়েছে, তা বৈষম্যমূলক। এ ধরনের বৈষম্য বাংলাদেশের সংবিধানের মূল চেতনার সাথেও সাংঘর্ষিক। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে শিক্ষাদর্শনের চেতনা থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে স্বায়ত্তশাসন দিয়েছিলেন, এ প্রজ্ঞাপন সেই চেতনাকে অবজ্ঞা ও অবমাননা করার শামিল। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আলাদা স্বতন্ত্র বেতনকাঠানো প্রণয়নসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে। নতুবা দাবি আদায়ের জন্য বিশ্ববিদ্যালবিদ্যালয় পরিবার সব ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করতে বাধ্য হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন শিক্ষক নেতারা।

এ সময় সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. বিজন মোহন চাকী মোহন বলেন, প্রত্যয় স্কিমটি নামে সর্বজনীন হলেও আদতে সর্বজনীন নয়। সরকারের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান-সামরিক ও বেসামরিক আমলাতন্ত্র ও বিচার বিভাগকে এই প্রক্রিয়ার বাইরে রেখে একে সর্বজনীন বলার সুযোগ নেই।সরকারি কর্মকর্তাদের বাদ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য চালু করা হলো সেটা কিভাবে সর্বজনীন পেনশন স্কিম হয়? অবিলম্বে প্রজ্ঞাপন বাতিল করে নতুন প্রজ্ঞাপন জারির করতে হবে। সেটি করা না হলে চলতি মাসের ৮ তারিখে ২ ঘণ্টা, জুন মাসের ৪ তারিখে আধাবেলা এবং জুলাইয়ের ১ তারিখ থেকে লাগাতর পুর্ণ দিবস কর্মবিরতির ঘোষণা দেয়া হয় মানববন্ধন থেকে।


আরো সংবাদ



premium cement