১৫ মে ২০২৪, ০১ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলকদ ১৪৪৫
`


কুড়িগ্রামে গড়ে তোলা হবে ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল

প্রকল্পস্থল পরিদর্শনে ভুটানের রাষ্ট্রদূত - ছবি : নয়া দিগন্ত

কুড়িগ্রামে গড়ে তোলা হবে বাংলাদেশ-ভুটান যৌথ উদ্যোগে জিটুজি-ভিত্তিক ‘ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’। আর এটি প্রতিষ্ঠিত হলে এ জেলায় ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটার পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টির আশা স্থানীয়দের।

রোববার (১০ মার্চ) বিকেলে ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য প্রস্তাবিত জায়গা পরিদর্শনে আসেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত এইচ ই রিনচেন কুইন্টসি’র নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল। এ সময় এর সম্ভাবনার কথা জানান ভুটানের রাষ্ট্রদূত।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুনসহ অন্য কর্মকর্তারা।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় ধরলা সেতুর পূর্বপ্রান্তে ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের মাধবরাম এলাকায় সোনাহাট স্থলবন্দর সড়কের পাশে গড়ে তোলা হবে এ অর্থনৈতিক অঞ্চল। আর এতে খুশি এ জেলার ব্যবসায়ীসহ স্থানীয়রা।

তারা জানান, জেলায় কর্মমুখী কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান নেই। ফলে দুই দেশের সরকারের উদ্যোগে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠলে উন্নয়ন হবে এ অঞ্চলের। সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থানের, প্রসার ঘটবে ব্যবসা-বাণিজ্যের। তাই দ্রুত এ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার দাবি তাদের।

স্থানীয় বাসিন্দা রহিম উদ্দিন জানান, ‘এখানে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠলে আমরা লাভবান হতে পারবো। এলাকার মানুষজন কাজ পাবে।’

সদরের ভোগডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান জানান, ‘এই ইউনিয়নে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠলে শুধু এ জেলা নয়, পার্শ্ববর্তী জেলারও অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে। আমরা চাই দ্রুত এটা বাস্তবায়ন করা হোক।’

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, ‘প্রস্তাবিত স্থানের সাথে জেলার সোনাহাট, তোরা স্থলবন্দর ও চিলমারী নদীবন্দরসহ রেল স্টেশন ও পাওয়ার স্টেশনের যোগাযোগ ও সংযোগ ভালো হওয়ায় এখানে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।’

জায়গা পরিদর্শন করে ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুইন্টসি জানান, এখানে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠলে বাংলাদেশ-ভুটান দু’দেশই লাভবান হতে পারবে। পাশাপাশি কুড়িগ্রাম জেলারও উন্নয়ন হবে। এজন্য বেজা’র সাথে চুক্তি সম্পন্ন করার পর কাজ করার কথা জানান তিনি।

বিশেষ অর্থনেতিক অঞ্চলের জন্য প্রস্তাবিত ২১৯ একর জমির মধ্যে ১৩৩ একর জমি অধিগ্রহণ করে বেজার কাছে হস্তান্তর করেছে জেলা প্রশাসন। চলমান রয়েছে বাকি ৮৬ একর জমি অধিগ্রহণের কাজ।


আরো সংবাদ



premium cement