পাটগ্রামে ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি, ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা
- পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) সংবাদদাতা
- ২০ অক্টোবর ২০২১, ১৯:১০
উজান থেকে নেমে আসা আকষ্মিক পাহাড়ি ঢলে বুধবার লালমনিরহাটের পাটগ্রামে দহগ্রাম ইউনিয়নের তিস্তা তীরবর্তী প্রায় ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এ ছাড়াও একটানা বৃষ্টিপাতে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
দহগ্রাম ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বিকালে নয়া দিগন্তকে জানান, উজান থেকে নেমে আসা আকষ্মিক পাহাড়ি ঢলে দহগ্রাম ইউনিয়নের কলোনীপাড়া, সর্দারপাড়া, পশ্চিমবাড়ি মহিমপাড়া, গুচ্ছগ্রাম, সৈয়দপাড়া, কাতিপাড়া, তিস্তার চড় ও ৭ নম্বর গুচ্ছগ্রামের আশেপাশের প্রায় ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব পানিবন্দি মানুষ খাবার সঙ্কটসহ গরু ছাগল নিয়ে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়েছেন।
এ দিকে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা ব্যারেজের ফ্লাড বাইপাস সড়কটি ভেঙে গেছে। তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে দেয়া হয়েছে। তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় তিস্তা তীরবর্তী এলাকার মানুষ আতঙ্ককিত হয়ে পড়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, বুধবারসহ গত তিন দিনের টানা বৃষ্টিপাতে পাটগ্রাম উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার কৃষকের আমন ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কৃষকের ধান নোকা থেকে বের হওয়ার প্রাক্কালে এ ধরনের বৃষ্টিপাতে অনেকের মাথায় হাত পড়েছে। টানা বৃষ্টিতে অনেকের ধান মাটিতে পড়ে গিয়ে বৃষ্টির পানিতে একাকার হয়ে গেছে।
পাটগ্রাম উপজেলা বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব জানান, তিস্তা ব্যারেজের ফ্লাড বাইপাশ সড়ক ভেঙে যাওয়ায় বিদ্যুতের ৯টি পিলার পানির তোড়ে ভেসে গেছে। ফলে পাটগ্রাম ও হাতীবান্ধা উপজেলা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
তিনি আরো জানান, অনেক স্থানে তার ছিড়ে গেছে। কোথাও পিলার পড়ে গেছে। এসব মেরামত করতে সময় লাগবে। তবে লালমনিরহাট দিয়ে বিদ্যুৎসংযোগ নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এতে কিছু স্থানে সংযোগ দেয়া সম্ভব হলেও পুরো উপজেলায় সংযোগ দেয়া সম্ভব হবে না।
হাবিবুর রহমান জানান, তিনি ব্যক্তিগত উদ্যেগে দহগ্রামের বানভাসি প্রায় ৭০০ পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করেছেন। এসব মানুষকে জরুরি ভিত্তিতে সরকারিভাবে ত্রাণ দেয়ার দাবি জানান স্থানীয় চেয়ারম্যান।