‘উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্যের অভিযোগ, পদোন্নতি না দিয়ে করলেন বদলি’
- রাজশাহী ব্যুরো
- ০৯ জুলাই ২০২৪, ২১:১৬
আবারো উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অমান্যের অভিযোগ উঠেছে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) বিরুদ্ধে।
প্রতিষ্ঠানটির সহকারী মেকানিক নাহিদ আলীর করা রিট পিটিশনের আদেশে উচ্চ আদালত বিএমডিএ’কে চার সপ্তাহের মধ্যে আবেদনকারীকে পদোন্নতি ও তিন মাসের মধ্যে জনবল কাঠামো উচ্চ আদালতে দাখিলের নির্দেশনা দেন।
নাহিদ আলীর করা রিট পিটিশনের প্রেক্ষিতে গত ২০ মে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের যৌথ বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক চার সপ্তাহ সময় শেষ হয়েছে গত ২৪ জুন। অথচ উচ্চ আদালতের এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন বা এর বিরুদ্ধে আপিল করেনি বিএমডিএ। শুধু তাই নয়, পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে আদালতে রিট আবেদনকারী সহকারী মেকানিক নাহিদ আলীকে দূরবর্তী এলাকায় বদলীর আদেশ দিয়েছে বিএমডিএ কর্তৃপক্ষ।
রাজশাহীর পবা জোন থেকে তাকে বদলি করা হয়েছে পঞ্চগড় জোনে। গত ১ জুলাই বিএমডিএর সচিব যোবায়ের হোসেন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে নাহিদ আলীকে বদলি করা হয়। আর একই অফিস আদেশে পঞ্চগড় জোনে থাকা সহকারী মেকানিক মোতাহার হোসেনকে রাজশাহীর পবা জোনে বদলি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বিএমডিএর ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক আবদুর রশীদ নয়া দিগন্তকে জানান, ‘তারা আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিলের করবেন।’ তবে এর বেশি আর কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।
বাদিপক্ষের আইনজবীবী আসাদুল ইসলাম এর আগে গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, নাহিদ আলী সহকারী মেকানিক থেকে পদোন্নতি পেলে উপসহকারী প্রকৌশলী হবেন। এর আগে ৫৭ জনকে পদোন্নতি দিয়ে সহকারী মেকানিক থেকে উপসহকারী প্রকৌশলী করা হয়েছে। নাহিদ আলীর জুনিয়রদের পদোন্নতি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তাকে পদোন্নতি দেয়া হয়নি। তাই উচ্চ আদালতে রিট করেন। রিটের আদেশে বিচারপতিগণ চার সপ্তাহের মধ্যে নাহিদ আলীকে পদোন্নতি দিতে ও বিএমডিএর জনবল কাঠামো (অর্গানোগ্রাম) উচ্চ আদালতের কাছে দাখিলের নির্দেশনা দেন। কিন্তু বিএমডিএ কর্তৃপক্ষ আদালতের নির্দেশনা মানেননি।
সহকারী মেকানিক নাহিদ আলী নয়া দিগন্তকে বলেন, তার জুনিয়রদের উপসহকারী প্রকৌশলী পদে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোনো বিভাগীয় মামলা বা অভিযোগ নেই। তা সত্বেও তাকে পদোন্নতি দেয়া হয়নি। বরং পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে তাকে রাজশাহীর পবা জোন থেকে বদলি করা হয়েছে পঞ্চগড় জোনে।
তিনি আরো জানান, চলতি বছরের ২২ এপ্রিল তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে পদোন্নতির আবেদন করেন। এ নিয়ে পদোন্নতির জন্য তার দুই বার আবেদন করা হয়েছে। তারপরেও অন্যদের পদোন্নতি দিলেও অজ্ঞাত কারণে তাকে পদোন্নতি দেয়নি কর্তপক্ষ। তাই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা