উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্যের অভিযোগ বিএমডির বিরুদ্ধে
- রাজশাহী ব্যুরো
- ০১ জুলাই ২০২৪, ২১:১৮
উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অমান্যের অভিযোগ উঠেছে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) বিরুদ্ধে। বিএমডিএ-এর সহকারী মেকানিক নাহিদ আলীর করা রিট পিটিশনের আদেশে উচ্চ আদালত প্রতিষ্ঠানটিকে চার সপ্তাহের মধ্যে আবেদনকারীকে পদোন্নতি ও তিন মাসের মধ্যে জনবল কাঠামো দাখিলের নির্দেশনা দিয়েছে।
নাহিদ আলীর করা রিট পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২০ মে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের যৌথ বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক চার সপ্তাহ সময় শেষ হয়েছে গত ২৪ জুন। অথচ উচ্চ আদালতের এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন বা এর বিরুদ্ধে আপিল করেনি বিএমডিএ।
এ ব্যাপারে জানতে মোবাইল ফোনে বিএমডিএ-এর ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক আবদুর রশীদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। এর আগে, সরাসরি তার দফতরে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। ফলে তার বক্তব্য জানা যায়নি।
তবে জানা গেছে, তারা আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দ্রুতই আপিল করা হবে।
বাদিপক্ষের আইনজবীবী আসাদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, নাহিদ আলী সহকারী মেকানিক থেকে পদোন্নতি পেলে উপ-সহকারী প্রকৌশলী হবেন। এর আগে, ৫৭ জনকে পদোন্নতি দিয়ে সহকারী মেকানিক থেকে উপ-সহকারী প্রকৌশলী করা হয়েছে। নাহিদ আলীর জুনিয়রদের পদোন্নতি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তাকে পদোন্নতি দেয়া হয়নি। তাই তিনি উচ্চ আদালতে রিট করেন। রিটের আদেশে বিচারপতিগণ চার সপ্তাহের মধ্যে নাহিদ আলীকে পদোন্নতি দিতে ও বিএমডিএ-এর জনবল কাঠামো (অর্গানোগ্রাম) উচ্চ আদালতের কাছে দাখিলের নির্দেশনা দেন। কিন্তু বিএমডিএ কর্তৃপক্ষ আদালতের নির্দেশনা মানেননি।
সহকারী মেকানিক নাহিদ আলী নয়া দিগন্তকে জানান, তার জুনিয়রদের উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোনো বিভাগীয় মামলা বা অভিযোগ নেই। তবু তাকে পদোন্নতি দেয়া হয়নি। চলতি বছরের ২২ এপ্রিল তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে পদোন্নতির আবেদন করেন। এ নিয়ে পদোন্নতির জন্য তার দু’বার আবেদন করা হয়েছে। তারপরেও অন্যদের পদোন্নতি দিলেও অজ্ঞাত কারণে তাকে পদোন্নতি দেয়নি কর্তপক্ষ। তাই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা