বাঘায় আ’লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৭ জন কারাগারে
- রাজশাহী ব্যুরো ও বাঘা সংবাদদাতা
- ২৩ জুন ২০২৪, ২০:৪৫
রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ সাতজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রোববার (২৩ জুন) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাদের রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহিনুর রহমান পিন্টু শনিবার রাতে দ্রুত বিচার আইনে বাঘা থানায় মামলাটি করেন। মামলায় ৪৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরো ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলা দায়েরের পর রাতেই উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেরাজুল ইসলাম মেরাজসহ সাতজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতারকৃত অন্যরা হলেন মারুফ হোসেন, তরঙ্গ আলী, শাহজামাল লিটন, নাসির উদ্দিন, মতিউর রহমান ও গোলাম মোস্তফা।
এদিকে মামলা দায়েরের পর থেকে বাঘা পৌরসভার মেয়র আক্কাছ আলী ও উপজেলা চেয়ারম্যান লায়েব উদ্দিন লাভলুসহ তাদের অনুসারী নেতা-কর্মীরা গ্রেফতার আতঙ্কে রয়েছেন। অনেকেই গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে চলে গেছেন বলে সূত্র জানিয়েছে।
এর আগে, শনিবার (২২ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাঘা উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টার ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৫০ জন নেতা-কর্মী ও পথচারী আহত হন। পুলিশ প্রথমে লাঠিচার্জ ও পরে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দীর্ঘদিনের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত বলে সূত্র জানিয়েছে।
উপজেলা আ’লীগের বর্তমান কমিটির নেতৃত্বে যারা রয়েছেন তাদের বেশির ভাগই স্থানীয় এমপি শাহরিয়ার আলমের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। তাদের নেতৃত্বে রয়েছেন স্থানীয় আ’লীগের একটি অংশ। আর আ’লীগের আরেকটি অংশের নেতা-কর্মীরা রয়েছেন বাঘা পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আক্কাছ আলী এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লায়েব উদ্দিন লাভলুর নেতৃত্বে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা