১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

বগুড়ায় আইএফআইসি ব্যাংকের টাকা লুটের ঘটনায় মামলা

বগুড়ায় আইএফআইসি ব্যাংকের টাকা লুটের ঘটনায় মামলা - ছবি : নয়া দিগন্ত

বগুড়ায় আইএফআইসি ব্যাংকের সিন্দুক ভেঙে ২৯ লাখের অধিক টাকা লুটের ঘটনায় মামলা হলেও লুণ্ঠিত টাকা উদ্ধার বা ঘটনার সাথে জড়িত কেউ গ্রেফতার হয়নি।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) রাতে বগুড়া সদর থানায় ব্যাংকের কাস্টমার সার্ভিস ম্যানেজার নজরুল ইসলাম অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে এ মামলা করেছেন বলে নিশ্চিত করেন বগুড়া সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শাহীনুজ্জামান। এর আগে বুধবার গভীর রাতে শহরের মাটিডালি এলাকাস্থ আইএফআইসি ব্যাংকের মাটিডালী উপ-শাখায় এ ঘটনা ঘটে।

ওই ব্যাংকের বগুড়া শাখার ব্যবস্থাপক তাজমিলুর রহমান জানান, দুই দুর্বৃত্ত গায়ে পলিথিন জড়িয়ে গত বুধবার রাত আড়াইটার দিকে দ্বিতল ভবনের টিনশেডের সিঁড়ির ঘরের ইট খুলে ভেতরে ঢুকে তালা ও ভল্ট ভেঙে ২৯ লাখ ৪০ হাজার ৬১৮ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার সকালে কর্মচারীরা শাখা খোলার পর চুরির বিষয়টি টের পান।

ভবনমালিক অ্যাডভোকেট শাজাহান আলী জানান, শুধু দিনের বেলা তদারকির জন্য জাহেদুর রহমান নামে একজন কেয়ারটেকার রয়েছেন। ব্যাংক কর্তৃপক্ষও জানিয়েছেন ব্যাংকিংয়ের সময়ে সার্বিক পরিস্থিতি দেখভালের জন্য তাদের একজন ওয়াচম্যান রয়েছে।
যে দ্বিতল ভবনে ব্যাংকের উপ-শাখা অফিস রয়েছে তার পেছনে করতোয়া নদী এবং দক্ষিণে পাশের ভবনের ছাদ থেকে খুব সহজেই ব্যাংকের সিঁড়ি ঘরের ছাদে যাওয়া-আসা করা সম্ভব। পুলিশ এবং ব্যাংক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চোরেরা সিঁড়ি ঘরের ইট সরিয়ে ভবনটিতে প্রবেশ করে।

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার ব্যাংকটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, আইএফআইসি ব্যাংকের ওই উপ-শাখাটিতে দুজন কর্মকর্তা, দিবাকালীন একজন ওয়াচম্যান এবং একজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী থাকলেও কোনো নৈশপ্রহরী ছিল না। তাছাড়া আইএফআসি ব্যাংকে অযাচিত কেউ ঢুকলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাদের প্রধান কার্যালয়ে সতর্ক সঙ্কেত পৌঁছানোর কথা থাকলেও এক্ষেত্রে তা ঘটেনি।

তিনি বলেন, ‘ব্যাংকগুলোতে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে প্রত্যেক ব্যাংকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের এসপি অফিসে ডেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হলেও সেটা মানা হয়নি।

আইএফআইসি ব্যাংক বগুড়া শাখার ব্যবস্থাপক তাজমিলুর রহমান বলেন, ‘আমাদের এখানে নৈশ প্রহরীর কোনো পদ নেই। অযাযিত লোক প্রবেশ করলে কেন্দ্রীয়ভাবে সতর্ক সঙ্কেত বেজে ওঠার যে পদ্ধতি রয়েছে সেটি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘হ্যা আমাদের এ ধরনের সিস্টেম রয়েছে। তবে এটি কাজ করেছে কি’না সেটা আমরা বলতে পারছি না।

সম্প্রতি এসআরবিসি ব্যাংকের সদরের পল্লী মঙ্গল হাট শাখায় ভল্ট ভেঙে টাকা লুটের ঘটনা ঘটেছে।


আরো সংবাদ



premium cement