১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
পাসের হার ৮৯ দশমিক ২৬ শতাংশ

রাজশাহী বোর্ডে পাসের হার ও জিপিএ-৫ বেড়েছে

রাজশাহী বোর্ডে পাসের হার ও জিপিএ-৫ বেড়েছে - প্রতীকী ছবি

রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ দুটোই বেড়েছে। এ বছর রাজশাহী বোর্ডে পাসের হার ৮৯ দশমিক ২৬ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৮ হাজার ৭৪ জন শিক্ষার্থী। গত বছর এ শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ছিল ৮৭ দশমিক ৮৯ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২৬ হাজার ৮৭৭ জন শিক্ষার্থী। এছাড়া গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এবারো ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা ভালো ফলাফল করেছে।

রোববার (১২ মে) দুপুরে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড থেকে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

প্রকাশিত ফলাফল দেখা গেছে পাসের হার বেড়েছে ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ। আর ১ হাজার ১৯৭ জন শিক্ষার্থী বেশি জিপিএ-৫ পেয়েছে। অর্থাৎ এ বছর রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা গত বছরের তুলনায় বেড়েছে। গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এবারো ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা ভালো ফলাফল করেছে। এবার ছাত্রী পাসের হার ৯১ দশমিক ৯০ শতাংশ এবং ছাত্র পাসের হার ৮৬ দশমিক ২৮ শতাংশ।

রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো: আরিফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৮ হাজার ৭৪ জন শিক্ষার্থী। গতবার জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২৬ হাজার ৮৭৭ জন শিক্ষার্থী। এ বছর রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে পাস করেছে ১ লাখ ৭৭ হাজার ৫৫৮ জন। মোট পাসের হার ৮৯ দশমিক ২৬ শতাংশ। এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ১ লাখ ৯৮ হাজার ৯২৯ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে সব বিষয়ে পাস করেছে ১ লাখ ৯৮ হাজার ৯২৯ জন শিক্ষার্থী। অর্থাৎ ২১ হাজার ৩৭১ জন শিক্ষার্থী এবার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি।

তিনি আরো জানান, এ বছর রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড থেকে মোট জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৫ হাজার ৪৯৫ জন ছাত্রী এবং ১২ হাজার ৫৭৯ জন ছাত্র রয়েছে। এবার বোর্ডের অধীনে একজন শিক্ষার্থীও পাস করেনি এমন স্কুলের সংখ্যা রয়েছে দুটি এবং শতভাগ পাসকৃত স্কুলের সংখ্যা রয়েছে ২৮৯টি। মোট ২৬৬টি কেন্দ্রের মাধ্যমে একযোগে এসএসসি পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। এতে রাজশাহীর ২ হাজার ৬৮৫টি স্কুলের শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। তারা কয়েক দিনের মধ্যেই শূন্য পাসকৃত স্কুলের কাছে এমন ফলাফলের কারণ জানতে চেয়ে চিঠি পাঠাবেন। এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক।

চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি এ পরীক্ষা শুরু হয়। শেষ হয় গত ১২ মার্চ।


আরো সংবাদ



premium cement