১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

জয়পুরহাটে ভ্যান চালক হত্যায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

- ছবি - ইন্টারনেট

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার একটি ভ্যানের জন্য আবু সালাম হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড এবং প্রত্যেকের ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড প্রদান করেছে জয়পুরহাটর একটি আদালত।

মঙ্গলবার বেলা ১২টায় এই রায় ঘোষণা করেন জয়পুরহাটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো: নুরুল ইসলাম। রায় ঘোষণার সময় দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রেখে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশনা প্রদান করে রায় দেয় আদালত।

জয়পুরহাট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল বিষয়টি জানিয়েছেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলার আওড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে হারুন অর রশিদ, মোসলেম উদ্দিনের ছেলে মোস্তাক আহম্মেদ ও জসিম উদ্দিনের ছেলে হাফিজার রহমান।
রায় ঘোষণার সময় হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী হারুন অর রশিদ আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।

মামলা ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালের ১২ জানুয়ারি সন্ধ্যার পর জয়পুরহাট সদরের দুর্গাদহ বাজার থেকে সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা আবু সালামের ভ্যান ভাড়া করে কালাই যায়। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী, আবু সালামকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর আওড়া গ্রামের আমজাদ হোসেনের পারিবারিক কবরস্থানে পুরাতন কবরে লুকিয়ে রেখে ভ্যান নিয়ে পালিয় যায়। পরের দিন খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এ ব্যাপারে কালাই থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর্জা মো: শাহাজাহান একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কালাই থানা পুলিশের উপপরিদর্শক আ: সাত্তার ২০০৫ সালের ৯ জুলাই আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। চার্জশীটে উল্লেখ করা হয় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে শুধু মাত্র ভ্যানটি নেয়ার জন্যই ভ্যান চালক আবু সালামকে খুন করে। পরে ভ্যানটি ২০০০ টাকায় বিক্রি করে নিজেরা ওই টাকা ভাগ করে নেয়।

মামলায় সাতজনের সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আজ মঙ্গলবার কালাই উপজেলার ভ্যান চালক আবু সালাম হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড ও প্রত্যেকের ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড প্রদান করে রায় দেন আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল পিপি ও এপিপি গকুল চন্দ্র মণ্ডল, শামীমুল ইমাম শামীম, খাজা শামসুল ইসলাম বুলবুল এবং আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট আহসান হাবিব চপল ও শহিনুর রেজা শানু।

সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement