বগুড়ায় বাস ভাড়ায় নৈরাজ্য
- বগুড়া অফিস
- ১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:২৪
বগুড়ায় ঈদুল ফিতরের ছুটিতে ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্যকর অবস্থা বিরাজ করছে। ঈদের আগে থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় শুরু হলেও যেন দেখার কেউ নেই। এতে বাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা যাত্রীরা হাপিয়ে উঠৈছৈন। বগুড়া শহরের ঠনঠনিয়া বাসস্ট্যান্ড, বনানী এবং চারমাথা বাসস্ট্যান্ড এবং বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে।
ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করেন নন্দীগ্রামের আব্দুর রাজ্জাক। শহরের আন্তঃজেলা ঠনঠনিয়া বাস টার্মিনালে গিয়ে বাসের কোনো টিকিট পাননি। তখন তিনি বলেন,‘কোনো কাউন্টারে বাসের টিকিট নাই। কিন্তু যেকোনো উপায়ে ঢাকায় যেতে হবে।’
রাজু ইসলাম নামে আরেক যাত্রী বলেন,‘কাউন্টারে কোনো টিকেট নাই। লোকাল বাসে সিট পেয়েছি। তাও ভাড়া ৮০০ টাকা। এটা দেখার কেউ নাই।’
মৃদুল রহমান নামে আরেক যাত্রী বলেন,‘মানিক এক্সপ্রেসে একটা সিট ফাঁকা আছে। সেটা তাও সুপারভাইজারের সিট। সেই সিটের ভাড়া চাচ্ছে দেড় হাজার টাকা।’
সোনার তরী নামে লোকাল বাসের সুপারভাইজার রমজান আলী জানান,‘ব্র্যান্ডের বাসের কোনো টিকিটি নাই। তাই আমাদের মতো বাসগুলো চাপ বেশি। তবে বেশি ভাড়া নেয়া হচ্ছে না। ঈদ উপলক্ষে আগে থেকেই ভাড়া বেশি।’
এদিকে বাসের মতো সিএনজি চালিত অটোরিকশা, লোকাল বাস, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ভ্যানগাড়ি, ট্রাক সর্বত্র ভাড়া বেশি আদায় করা হচ্ছে বিভিন্ন রুটে।
শহরের সূত্রাপুরের বাসিন্দা একে আজাদ বলেন, শেরপুর থেকে ধুনট পর্যন্ত সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া অন্য সময়ে ৪০ টাকা হলেও ঈদের আগে থেকে ৫০-৬০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। আবার ধুনট থেকে বগুড়া শহর পর্যন্ত সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া জনপ্রতি ৭০ টাকা হলেও ইদের চার দিন পরেও ১০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। এ নিয়ে যাত্রীদের সাথে ঝগড়া লেগেই আছে। এ ব্যাপারে কেউ কোনো পদক্ষেপ নেয় না। তাই অতিরিক্ত ভাড়া গুনেই গন্তব্যে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছেন যাত্রীরা।