১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ক্যাম্পাস বিক্ষোভ, পাশ্চাত্যে সমর্থন হারাতে পারে ইসরাইল

-

পাশ্চাত্যের দেশে দেশে গাজা যুদ্ধবিরোধী প্রতিবাদ আন্দোলন ফিলিস্তিনিদের জাতীয় লক্ষ্য উদ্দেশ্যের পুনরুজ্জীবন ঘটিয়েছে এবং আমেরিকান ইহুদিদের নতুন প্রজন্ম ইহুদিবাদের নিজস্ব ভাষ্যকে চ্যালেঞ্জ করেছে।
১৯৬৮ সালের জানুয়ারিতে ভিয়েত কং এবং ভিয়েতনামের নর্থ ভিয়েতনামিজ পিপলস আর্মি কর্তৃক টেট অফেনসিভ নামে যে আকস্মিক হামলা চালানো হয়েছিল- সেটি ছিল একটি সামরিক ব্যর্থতা। এটি দক্ষিণ ভিয়েতনামে বিদ্রোহ উসকে দেয়ার জন্য পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছিল যা কখনো ঘটেনি। প্রাথমিক ধাক্কার পর, দক্ষিণ ভিয়েতনামের সেনাবাহিনী এবং মার্কিন বাহিনী পুনরায় সংগঠিত হয় এবং ভিয়েত কংয়ের সেরা সৈন্যদের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। কিন্তু ভিয়েতনাম যুদ্ধে এর একটি বড় পরিণতি হয়েছিল।
হুয়ের যুদ্ধে উত্তরের কমান্ডার জেনারেল ট্রান ডো স্মরণ করেন : ‘সততার সাথে আমরা আমাদের মূল লক্ষ্য অর্জন করতে পারিনি। যা ছিল গোটা দক্ষিণাঞ্চলে বিদ্রোহকে উৎসাহিত করা। তবুও আমরা আমেরিকানদের এবং তাদের পুতুলদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধন করেছি। এটি ছিল আমাদের জন্য একটি বড় অর্জন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর প্রভাব ফেলার জন্য এটি আমাদের উদ্দেশ্য ছিল না কিন্তু এটি একটি সৌভাগ্যজনক ফলাফল হিসেবে পরিগণিত হয়। যুদ্ধের প্রতি আমেরিকান সমর্থনে টেট আক্রমণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।
যুদ্ধের আশাবাদী মূল্যায়নের জন্য পেন্টাগন নজিরবিহীন সমালোচনার মুখে পড়ে- যখন অর্থাৎ ওই যুদ্ধে ভিয়েত কং ৩০ হাজার সৈন্য হারায় এবং পরবর্তী বছর যুক্তরাষ্ট্রের ১১ হাজার ৭৮০ সৈন্য মারা যায়। তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি জনসন (এলবিজে) এবং জনমতের মধ্যে আস্থার ক্ষেত্রে বড় গ্যাপ তৈরি হয়। জনসন নিজেই তার সামরিক নেতৃত্বের ব্যাপারে আস্থা হারিয়ে সামরিক নেতৃত্বে পরিবর্তন আনেন।
১৯৬৮ সালে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে। প্রতিরক্ষা শিল্পের সাথে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পর্কের কারণেই এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি ভবন দখল করে এবং ডিন হেনরি কোলম্যানকে ৩৬ ঘণ্টা পণবন্দী করে রাখে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পুলিশ ডাকা হয়। সেখানে কয়েক শ’ ছাত্রকে গ্রেফতার, আহত, ধর্মঘট এবং তারপর কলাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গ্রেসন কার্ক পদত্যাগ করেন। শিকাগোতে ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কনভেনশনের বাইরে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে এবং পরে এটিকে রিচার্ড নিক্সনের নির্বাচনের অন্যতম কারণ হিসেবে দেখা হয়েছিল।
এরই মধ্যে সারা বিশ্বে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে যুদ্ধবিরোধী আন্দোলন। পশ্চিম বার্লিনে বড় বিক্ষোভ হয়েছিল। প্যারিসসহ ফ্রান্সজুড়ে ১৯৬৮ সালের মে মাসে শ্রমিকদের মধ্যে রাস্তায় রাস্তায় যে সঙ্ঘাত ও ছাত্রদের পুনর্জাগরণ শুরু হয়েছিল তার পেছনে অন্যতম একটি স্ফুলিঙ্গ ছিল ভিয়েতনাম। ’৬৮ সালের প্রতিবাদ আন্দোলন রাজনৈতিকভাবে স্বল্পস্থায়ী হয়েছিল- যদিও একপর্যায়ে প্রেসিডেন্ট দ্য গল দেশ থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন।

১৯৬৮ সাল ও আজ
ভিয়েতনাম যুদ্ধের বিরুদ্ধে ১৯৬৮ সালের প্রতিবাদ আন্দোলন এবং গাজাযুদ্ধের বিরুদ্ধে বর্তমানে বিশ্বব্যাপী চলমান প্রতিবাদের মধ্যে অনেক মিল খুঁজে পাওয়া যায়।
টেট আক্রমণের মতোই, ৭ অক্টোবর আল-কাসিম ব্রিগেডের পরিকল্পনায় গাজার গণকারাগার ভেঙে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ফিলিস্তিনিরা বেরিয়ে আসে। ইসরাইলের সামরিক লক্ষ্যবস্তুর বিরুদ্ধেই ছিল হামাসের ওই আক্রমণ। এতে কয়েক শ’ ইসরাইলি সৈন্য নিহত এবং বহু বেসামরিক লোক হত্যার শিকার হয়। হামাস এবং অন্যান্য গ্রুপ সীমান্ত অতিক্রম করে ইসরাইলে ঢুকে তাণ্ডব চালায়। উপসাগরীয় রাষ্ট্রের এক কর্মকর্তার ভাষায়, ৭ অক্টোবরের হামলা ছিল সব ভুল হিসাব-নিকাশের সূচনাকারী।
কিন্তু এর প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইল গাজায় দীর্ঘ সাত মাস ধরে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে। তারা গাজা ভূখণ্ডের প্রতিটি নাগরিক ও পরিবারের বিরুদ্ধে তাদের সংশ্লিষ্টতা নির্বিশেষে একটি গণহত্যামূলক অভিযান চালিয়ে তাদের বাড়িঘর, হাসপাতাল, বিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংস করে দিয়েছে। এটি বিশ্ব জনমতের একটি টার্নিংপয়েন্ট হয়ে উঠেছে। আবারো একজন ডেমোক্র্যাটিক মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী বছরে এই যুদ্ধে সমর্থন দিয়েছেন। আবারো কলাম্বিয়া যুদ্ধবিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।
কলাম্বিয়া, ইয়েল এবং হার্ভার্ড- সর্বত্রই এই ছাত্রবিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে, কারণ ওইসব বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে ইসরাইলের সম্পর্ক রয়েছে। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি টেক জায়ান্ট অ্যামাজন এবং গুগলে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি জানান। উল্লেখ্য, তেলআবিব সরকারের সাথে অ্যামাজন ও গুগলের ১.২ বিলিয়ন ডলারের ক্লাউড কম্পিউটিং চুক্তি রয়েছে।
১৯৬৮ সালের মতো, এই বিক্ষোভ বলপ্রয়োগে দমন করা হচ্ছে। এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ওম্যান ইলহাম ওমরের কন্যাসহ কলাম্বিয়া এবং বার্নাড কলেজের ১০০ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়। এসব শিক্ষার্থীকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বরখাস্ত করা হয়। ১৮ এপ্রিল কলাম্বিয়ায় মূল সঙ্ঘাত ছড়িয়ে পড়ার পর দেশব্যাপী প্রায় ৯০০ বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়।
এর কোনোটিই নতুন নয়। ১৯৭০ সালে ওহিও ন্যাশনাল গার্ড বিক্ষোভকারীদের ওপর প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে চারজনকে হত্যা এবং ৯ ছাত্রকে আহত করেছিল যেটি কেন্ট স্টেট গণহত্যা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছিল।

ছাত্ররা কেন বিক্ষোভ করছে
প্রশাসন প্রিন্সটনের একটি ক্যাম্পাস বন্ধ করার কয়েক ঘণ্টা পর শতশত ছাত্র একটি কেন্দ্রীয় কোর্ট ইয়ার্ড রাউটান দখল করে ‘গাজার জন্য একটি জনপ্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বই ল্যাপটপ, এবং ফাঁকা ক্যানভাস নিয়ে আসেন। সেখানে ফ্যাকাল্টি সদস্যরা যোগ দেন, নেতৃস্থানীয় শিক্ষকরা বক্তৃতা করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ ডাকা হয় এবং আরো ২২টি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এই বিক্ষোভ ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে। অবশ্য মিডিয়ায় এসব খবর তেমন আসেনি। ফিলিস্তিনিদের আবাসভূমিতে ইহুদিদের দখলে স্বীকৃতি দানের জন্য দায়ী সাবেক ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লর্ড বেলফোরের প্রতিকৃতি বিকৃত ও ভাঙচুর করা হয়। টনি ব্লেয়ারের ইরাক দখলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যেভাবে লন্ডনে লাখ লাখ মানুষ বিক্ষোভ করেছিল, গাজা যুদ্ধবিরোধী এই বিক্ষোভকে কেবল তার সাথেই মেলানো যায়। ফিলিস্তিনি সাংবাদিক বিমান আওদা বলেছেন, চালিয়ে যান, কারণ আপনারাই আমাদের একমাত্র ভরসা। দয়া করে তাদের সহিংসতায় আতঙ্কিত হবেন না। আপনাকে নীরব এবং আতঙ্কিত করা ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প তাদের নেই। কারণ আপনি কয়েক দশকের মগজ ধোলাইকে ধ্বংস করে দিচ্ছেন। আওদা ঠিক বলেছেন।
১৯৬৮ সালের প্রতিবাদ আন্দোলনের লক্ষ্য যদি পেন্টাগণ অথবা গলিস্ট (এধঁষরংঃ) রাষ্ট্রের নিপীড়নমূলক পিতৃতন্ত্র হয়ে থাকে তাহলে আজকের লক্ষ্যবস্তু হলো ইহুদিবাদ এবং যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং জার্মানিতে ইসরাইলের অস্ত্রধারীরা। ইসরাইলপন্থী লবি ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থনের জন্য রাজনীতিবিদদের ইহুদিবিদ্বেষী বলে বদনাম করছে। তারাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চাকরি থেকে বহিষ্কার করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আতঙ্কিত করছে। তারা আইনের শাসন, বাকস্বাধীনতা এবং প্রতিবাদ করার অধিকারকে বিপন্ন করতে চায়। ইহুদিবাদের বিরুদ্ধে বিপ্লবে নেতৃত্ব দিচ্ছে ইহুদিদের একটি নতুন প্রজন্ম যারা এই প্রতিবাদ বিক্ষোভে ক্রমবর্ধমান সংখ্যায় এগিয়ে আসছে।
কলম্বিয়ার একজন এবং বার্নাডের দু’জন শিক্ষার্থী ব্যাখ্যা করছেন: আমরা ফিলিস্তিনের মুক্তি আন্দোলনে গ্রেফতার হওয়াকে বেছে নিয়েছিলাম, কারণ আমরা আমাদের ইহুদি পূর্বপুরুষদের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম যারা চার হাজার বছর আগে স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছিলেন। যখন পুলিশ আমাদের ক্যাম্পে প্রবেশ করেছিল, আমরা আমাদের বাহু বন্ধ করে সিভিল রাইটস যুগের গান গেয়েছিলাম। সেগুলো আমাদের সাম্প্রতিক পূর্বপুরুষরা ১৯৬০-এর দশকে আবৃত্তি করেছিলেন। আমরা প্রগতিশীল ইহুদি সক্রিয়তার (কর্মকাণ্ডের) উত্তরাধিকারের অংশীদার যা আমাদের সম্প্রদায়গুলোকে জাতি, শ্রেণী এবং ধর্মের রূপান্তর করতে কাজ করে।
গাজাযুদ্ধ, ইহুদিদের মধ্যে একটি নজিরবিহীন বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। কানাডিয়ান সাংবাদিক নাওমি ক্লেইনের মতো নেতৃস্থানীয় বুদ্ধিজীবীরা যুক্তি দেন যে, ইহুদিবাদ একটি মিথ্যা আইডল যা প্রতিশ্রুত ভূমির মিথ্যা ধারণা দিয়েছে। ক্লেইন লিখেছেন : শুরু থেকেই এটি একটি কুৎসিত ধরনের স্বাধীনতা তৈরি করেছে যা ফিলিস্তিনি শিশুদের মানুষ হিসেবে নয়; বরং জনসংখ্যাগত হুমকি হিসেবে দেখেছিল।
ইহুদিবাদ আমাদেরকে বিপর্যয়ের বর্তমান মুহূর্তে নিয়ে এসেছে। এটি একটি মিথ্যা আইডল, যা আমাদের জনগণকে একটি গভীর অনৈতিক পথে নিয়ে গেছে।

ফিলিস্তিন প্রসঙ্গ এখন সর্বত্র
এসব ঘটনার পরিণতি বা ফলাফল আসবেই। অদূর ভবিষ্যতে, গাজা যুদ্ধবিরোধী আন্দোলন ফিলিস্তিনের জাতীয় স্বার্থকে পুনরুজ্জীবিত করবে, যা আগে কখনো হয়নি। বিশ্বব্যাপী প্রতিটি বিক্ষোভে প্রবাসী ফিলিস্তিনিরা নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ইসরাইল এবং তার সমর্থকদের উদ্দেশ্যের বিপরীতে তারা প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আসছে। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু মনে করেছিলেন, প্রবীণদের হত্যা করা হলে তাদের ছেলেমেয়েরা লড়াইয়ের কথা ভুলে যাবে। পরিবর্তে নেতানিয়াহু তাদের হারানো ভূমিতে সর্বত্র ফিলিস্তিনিদের পুনর্গঠিত এবং তাদের বন্ধনকে আরো সুদৃঢ় করেছেন।
ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থনের এই ঢেউ একইভাবে আরব বিশ্ব থেকে ফিলিস্তিনি কারণ বা উৎসকে বিচ্ছিন্ন করার কয়েক বছরের পরিকল্পনা ব্যর্থ করে দিয়েছে। ফিলিস্তিনের জাতীয় স্বার্থকে এড়িয়ে নিয়ে উপসাগরীয় সব চেয়ে ধনী রাষ্ট্রগুলোর কাছে সরাসরি পৌঁছে যাওয়ার ইসরাইলের প্রচেষ্টা যখন কেবল সফল হতে যাচ্ছিল, তখনই হামাস ইসরাইলে হামলা চালায়।
সাত মাস পর ফিলিস্তিন এখন সর্বত্র আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। অন্য দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কাঠগড়ায় ইসরাইল। গণহত্যার দায়ে আন্তর্জাতিক আদালতে নেতানিয়াহু ও অন্যদের বিরুদ্ধে এখন গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার অপেক্ষায় রয়েছে।
এগুলো হলো তাৎক্ষণিক পরিণতি বা ফলাফল, তবে দু’টি দীর্ঘমেয়াদি ফলাফল রয়েছে যেগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
প্রথমটি হলো : এই সঙ্ঘাতের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো গাজার জনগণ এবং যোদ্ধারা উভয়ে দাঁড়িয়ে থেকে যুদ্ধ করার দৃঢ়সংকল্প প্রদর্শন করেছে। যেটি পিএলও এবং ইয়াসির আরাফাত কখনো দেখাতে পারেননি।
ফিলিস্তিনিদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এমন একটি নেতৃত্ব রয়েছে যারা তাদের প্রধান দাবিগুলো ছেড়ে দেবে না এবং সেটিকে তারা সম্মান করে।
দ্বিতীয় ফলাফল বা পরিণতি হলো : আমেরিকায় একটি নতুন প্রজন্ম এগিয়ে আসছে যারা ইসরাইলের প্রতি সামরিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমর্থন প্রত্যাহার করে এই সঙ্ঘাত বন্ধ করতে পারে।
আমেরিকার নতুন প্রজন্মের ইহুদিরা কিভাবে তাদের বেদনাদায়ক ঐতিহ্যকে গণহত্যা চালানোর লাইসেন্সে রূপান্তরিত করা হয়েছে তা দেখে আতঙ্কগ্রস্ত। মার্কিন কংগ্রেস, যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট এবং ইউরোপের প্রতিটি মূলধারার দলের ওপর ইসরাইলের ক্ষমতা প্রয়োগে তারা আতঙ্কিত।
গাজায় ইসরাইলের দখলদারিত্ব সহজে শেষ হবে না। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপে ইসরাইলের সমর্থনের অগ্রগতি রুদ্ধ হতে পারে। এটি ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
লেখক : মিডলইস্ট আই এর প্রধান সম্পাদক
অনুবাদ : মুহাম্মদ খায়রুল বাশার


আরো সংবাদ



premium cement
ডিএসইতে ১ ঘণ্টায় সূচক কমল ১০.৭১ পয়েন্ট রঙ তুলির আচড়ে প্রস্তুত হচ্ছে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ নরসিংদী বেলাব অতিক্রম করছে আগরতলামুখী লংমার্চ আবু সাঈদের বাবাকে হেলিকপ্টারে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর স্ত্রীর জন্য ওষুধ কিনে বাড়ি আর ফেরা হলো না শহীদ রাকিবের গেইলের রেকর্ড ভাঙলেন মাহমুদুল্লাহ নিম্ন আদালতের বিচারকদের মতামত চেয়েছে সংস্কার কমিশন কুয়াকাটায় ইয়াবাসহ মাদককারারি গ্রেফতার দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা ভারতের উচিত চুক্তি অনুযায়ী শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানো : টবি ক্যাডম্যান দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে পুলিশের অভিযান

সকল