আদানির কূটনীতি; বাংলাদেশের বকেয়া বিদ্যুৎ বিল
- মোহাম্মদ আজিজুল হক
- ২৩ জুন ২০২৪, ০০:৩৬, আপডেট: ২৩ জুন ২০২৪, ১২:১৩
গত ২৯ মে বাংলাদেশে সফররত আদানি গ্রুপের (এমডি অ্যাগ্রো, অয়েল ও গ্যাস) পূর্ণকালীন পরিচালক বিনোদ আদানি, ভারত থেকে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল নিয়ে ঢাকাস্থ হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সরাসরি বাংলাদেশের সচিবালয়ে এসে, অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সাথে বৈঠক করেন। ধারণা করা হচ্ছে, বাংলাদেশে বিদ্যুৎ বিক্রি বাবদ বকেয়া ৩ হাজার ৬৩৭ কোটি টাকা আদায়ে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে তাগিদ দিতেই দলটি এ সফরে আসে।
সংশ্লিষ্ট সচিব সূত্রে জানা যায়, আদানি গ্রুপ জরুরিভাবে তাদের বকেয়া চাইছে। সে সুবাদে বিদ্যুৎ বিভাগ দুই মাসের মধ্যে বকেয়া কমিয়ে আনার চেষ্টা করছে। তার তথ্যমতে, বর্তমানে প্রায় ৬০০ থেকে ৭০০ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে পাঁচ মাসের বকেয়া রয়েছে। বিদেশী বিদ্যুৎ সরবরাহকারীদের বকেয়া পরিশোধে ভর্তুকি বিতরণ না হওয়া, ডলার সঙ্কট, সর্বোপরি ডলারের দাম বৃদ্ধিও ভূমিকা রেখেছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের তথ্যানুসারে, চলতি জানুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানি এবং আদানিসহ, ভারত থেকে বিদ্যুৎ ক্রয় বাবদ মোট অপরিশোধিত বিলের পরিমাণ ৪২ হাজার ৭০৭ কোটি ১৬ লাখ টাকা।
উল্লেখ্য, দেশের বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে আদানি গ্রুপের সাথে ২০১৭ সালে চুক্তি করে বাংলাদেশের বিপিডিবি। চুক্তি অনুসারে ওই কেন্দ্র থেকে ২৫ বছর বিদ্যুৎ কিনবে বাংলাদেশ। শর্তানুসারে কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের সিংক্রোনাইজিং থেকে শুরু করে, বাণিজ্যিক উৎপাদনে (সিওডি) যাওয়ার আগ পর্যন্ত, বিদ্যুৎ উৎপাদনের জ্বালানি ব্যয় বিপিডিকে দিতে হচ্ছে। তবে পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরুর আগেই, এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য আমদানি করা কয়লার যে দাম ধরা হয়েছিল, তা নিয়ে আপত্তি তোলে বিপিডিবি। এ চুক্তি ও ধারণা, ভারত, বাংলাদেশে তো বটেই, পৃথিবীর অনেক দেশে বিপুল আগ্রহের সৃষ্টি করেছে। এর প্রেক্ষাপট জানতে গেলে একটু পেছনে যেতে হবে। ২০১৫ সালে ভারতের ‘লুক-ইস্ট’ নীতি, ‘অ্যাক্ট -ইস্ট’-এ পরিণত হওয়ার পটভূমিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, প্রথম প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বেছে নিলেন বাংলাদেশকে। সে বছরের জুন মাসে, দু’দিনের সফরে এসে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সাথে তিনি বৈঠক করলেন। দু’দেশের যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলো। তাতে উল্লেখ করা হলো যে, ‘ভারত ও বাংলাদেশ; বিদ্যুৎ খাতে আমরা আরো অনেক কিছু করতে পারি।’ তারপরই সম্পাদিত হয়, বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তি; যা ‘গোড্ডা চুক্তি’ নামে পরিচিতি পেয়েছে।
ভারতের অন্যতম রাজ্য, ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা জেলায় প্রতিষ্ঠিত এ প্রকল্প থেকে আদানি বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। এর কয়লা আসবে অস্ট্রেলিয়া বা ইন্দোনেশিয়ায় অবস্থিত আদানির খনি থেকে। জাহাজে করে কয়লা আসবে ভারতের উড়িষ্যার ‘ধামড়া সমুদ্রবন্দরে’। এ বন্দরও আবার আদানিরাই পরিচালনা করে। সেখান থেকে কয়লা, রেলগাড়িতে চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায়। তথায় প্রতিষ্ঠিত আদানি প্রকল্পে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ‘পশ্চিমবঙ্গ’ পার হয়ে বাংলাদেশে আসবে। সংক্ষেপে একে ‘আন্তঃর্দেশীয় বিদ্যুৎ বিপণন’ও বলা চলে।
এ চুক্তি যখন স্বাক্ষর হয়, সে সময় ‘ঝাড়খণ্ডের’ মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন স্থানীয় বিজেপি নেতা রঘুবর দাশ। স্বাভাবিকভাবেই আদানি সংস্থা তার কাছে এ প্রকল্পের জন্য দুই হাজার একর জমি চায়। এ জন্য জমি বরাদ্দের আগের নিয়ম পরিবর্তন করে তারপর কাক্সিক্ষত জমি দেয়া হয়।
পরিবর্তিত নিয়মানুযায়ী, এখানে উৎপাদিত বিদ্যুতের পুরোটাই বাংলাদেশে রফতানি করা হবে। স্থানীয় মানুষের জন্য তা সরবরাহ করা যাবে না।
আদানিরা যখন ২০১৯ সালে অস্ট্রেলিয়ায় ‘কারমাইকেল খনি’ থেকে কয়লা তোলার সিদ্ধান্ত নেয়, তখন সে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পরিবেশবিদ আন্দোলন শুরু করে। সে সময় অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সংসদ সদস্য এবং সেখানকার গ্রিন্স পার্টির নেতা বব ব্রাউন, আদানির বিভিন্ন সংস্থার বিতর্কিত কার্যক্রম নিয়ে’ ‘আদানি ওয়াচ’ নামে একটি ওয়েবসাইট খোলেন। তারই ধারাবাহিকতায় সে সময় ‘আদানি ওয়াচ’-এ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দীর্ঘ এক প্রতিবেদন বের হয়। সেখানে তারা দেখিয়েছে, ‘গোড্ডা’ থেকে প্রায় তিনগুণ বেশি দাম দিয়ে বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ কিনতে হবে।
বাংলাদেশ তথা বিপিডিবিও তা বুঝতে পেরে নতুনভাবে চুক্তি করতে চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সে সময় আদানিরা বলেছিল, ‘বাংলাদেশ সাময়িক কিছু রিলিফ চাইছে’। আদানির অনুকূলে নিয়ম পরিবর্তনের একটি উদাহরণ হিসেবে উল্লেখযোগ্য যে, ২০১৬ সালে ভারতের বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়, আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্যের নির্দেশমালায় জানায় যে, ‘রাষ্ট্রীয় সংস্থা ছাড়া অন্য কোনো কয়লাভিত্তিক প্রকল্পকে প্রতিবেশী রাষ্ট্রে ‘উদ্বৃত্ত’ বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে হলে অনুমতি নিতে হবে’ অর্থাৎ অনুমতি নিয়ে ‘বাড়তি বিদ্যুৎ’ রফতানি করা যাবে।
বাংলাদেশকে ‘বাড়তি বিদ্যুৎ’ সরবরাহের কথা কিন্তু অনু-চুক্তিতে লেখা ছিল না। শুধু তা-ই নয়, পুরনো নিয়মে উল্লেখ ছিল যে, ‘উৎপাদক সংস্থা কর্তৃক ন্যূনতম ২৫ শতাংশ বিদ্যুৎ, সংশ্লিষ্ট রাজ্যকে দিতে হবে’ যা পরিবর্তন করা হয়। পরিবর্তিত নীতি অনুসারে গোড্ডায় উৎপাদিত শতভাগ বিদ্যুৎই বাংলাদেশে রফতানির অনুমতি আদানি পেয়ে যায়।
পরিবেশ আন্দোলনকারীরা মামলা করেছিল এ বিষয়টির বিরুদ্ধে। সে সময় ‘ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালে’ মামলা রুজু করলে সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনাল, প্রকল্প অনুমোদনের পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে মামলা রুজু না করার কারণ দেখিয়ে, তা খারিজ করে দেয়।
এ নীতি বদলানোর ফলে আদানির গোড্ডা প্রকল্প হয়ে গেল, ওই বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের একমাত্র বিদ্যুৎ শিল্প, যেটির আওতায় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের যাবতীয় সুবিধা আদানি পাচ্ছে। বর্ণিত সুবিধাদির বিষয়ে ধারণা গ্রহণের সুবিধার্থে নিম্নোক্ত তথ্যাদি উল্লেখ করা হলো :
১. কয়লা ও যন্ত্র আনতে কোনো আমদানি শুল্ক দিতে হবে না।
২. কোনো কর দিতে হবে না।
৩. প্রথম পাঁচ বছরের জন্য আয়করের শতভাগ ছাড় পাবে।
৪. পরের পাঁচ বছরে ৫০ শতাংশ কর ছাড় পাবে।
৫. ‘ক্লিন এনার্জি’ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের (ঝঊত) কল্যাণে, বছরে ন্যূনতম আদানি পাওয়ারের সাশ্রয় হবে ৩২০ কোটি টাকা; এ চুক্তির পূর্ণ মেয়াদ তথা ২৫ বছর মেয়াদে তার মোট পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় আট হাজার কোটি টাকা।
শুধু বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের আওতায় চলে যাওয়ার কল্যাণে এ ব্যয় সাশ্রয় হবে। এ কারণে সে সময় বিরোধীরা ‘ক্রোনি ক্যাপিটেলিজম’ তথা ‘স্বজন-তোষণের’ অভিযোগ এনেছিল। এত সুবিধা পাওয়া সত্ত্বেও কী করে প্রায় তিনগুণ বেশি দামে বিদ্যুৎ কিনতে হবে বাংলাদেশকে; এ প্রশ্নই তুলেছে ‘আদানি ওয়াচ’। প্রথিতযশা সাংবাদিক রবি নায়ার ও তার সঙ্গী, আদানি ওয়াচে প্রকাশিত দীর্ঘ প্রতিবেদনে বিশদ তথ্যাদি তুলে ধরেছেন।
লক্ষণীয় যে, পাওয়ার পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট (চচঅ) সই হওয়ার ১৫ মাস পর অর্থাৎ ২০১৯ সালের (২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে চুক্তি সম্পাদিত হয়) ফেব্রুয়ারিতে গোড্ডা প্রকল্প বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল বলে ঘোষিত হয়। এর ফলে তাদের বিপুল অর্থ সাশ্রয় হলো। তদুপরি তারা কর ছাড়ের ফলে কোটি কোটি টাকা বাঁচাল।
আইনগত প্রশ্ন হলো, বাংলাদেশকে কি জানানো হয়েছিল? চুক্তি স্বাক্ষরের সময় ভ্যাট ও অন্যান্য করের জায়গায় অভিন্ন পণ্য ও পরিষেবা কর (এঝঞ) চালু হয়ে যাওয়ার কথা। প্রকল্পটির ‘বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের মর্যাদা প্রাপ্তি’ এবং সে সংক্রান্তে যাবতীয় সুবিধাদি, চুক্তির পক্ষ হিসেবে একই সাথে বিপিডিবি তথা বাংলাদেশেরও পাওয়ার কথা। এসব যদি বিপিডিবি তথা বাংলাদেশকে না জানানো হয়, তা হলে বিপিডিবি চুক্তিভঙ্গের অভিযোগ আনতেই পারে।
বাংলাদেশের জন্য অন্য একটি বিষয়ও সমস্যা হিসেবে এখন উঠে এসেছে। তা হচ্ছে- চুক্তি অনুযায়ী আদানি পাওয়ারকে সব বিদ্যুৎ বিল মার্কিন ডলারে পরিশোধ করতে হবে।
চুক্তি স্বাক্ষরের সময় বাংলাদেশে এক ডলারের দাম ছিল ৮১ টাকা ১৯ পয়সা। এখন তা বেড়ে হয়েছে কমবেশি ১২০ টাকা। সার্বিক বিবেচনায় বিদ্যমান জট না কাটলে তা ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের উপর প্রভাব পড়াটাও অমূলক নয়। এ বিবাদের গ্রহণযোগ্য ও ন্যায্য সমাধান না হলে দুই পক্ষই আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবে।
তাই যে পণ্যের দামের চেয়ে, বিক্রয় মূল্য তিনগুণ বেশি, তা ক্রয় করার পটভূমিতে বাংলাদেশের উপভোক্তা, সাধারণ মানুষ বা সরকার- কারো কোনো লাভ হবে না। লাভ হবে শুধু আদানিরই।
এতে বাংলাদেশের বিরোধী দল, সাধারণ মানুষ, নাগরিক সমাজ ও সরকার- এ চুক্তি কিভাবে নিচ্ছে বা ভবিষ্যতে কিভাবে নেবে, এমনকি তার প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে, তা সহজেই অনুমেয়। কিছুদিন আগে বিশ্বখ্যাত ‘হিনডেনবার্গ রিসার্চ’ তার এক প্রতিবেদনে আদানির এহেন কার্যক্রমের অংশবিশেষ প্রকাশ করলে, আদানি কর্তৃপক্ষ বলেছিল, তারা সম্মানহানির মামলা করবে। সে সময় হিনডেনবার্গ রিচার্স তাদের স্বাগত জানিয়ে বলেছিল, মামলা হলে আরো তথ্য সামনে আসবে। তখন তাৎক্ষণিকভাবে জাতীয়তাবাদকে হাতিয়ার করে রাজনৈতিকভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার চেষ্টাই তারা করেছে।
যেহেতু এ প্রকল্প শুধু একটি বেসরকারি সংস্থাকেই সাহায্য করছে; যেহেতু এটি দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বা ভারত কারোরই বিন্দুমাত্র উপকারে আসছে না, তাই এটি পুনর্বিবেচনার সুযোগ নেয়া যেতে পারে বলে বিশেষজ্ঞ মহলের অভিমত।
অপর একটি বিষয় এখানে প্রণিধানযোগ্য। ক্যাপাসিটি চার্জের নামে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিদ্যুৎ কোম্পানি বছরে ২০ হাজার কোটি টাকা নিয়ে যাচ্ছে। এর সাথে বাড়তি যোগ হয়েছে ভারতের আদানি গ্রুপ। এক পরিসংখ্যানে জানা যায়, আদানির কেন্দ্রটির জন্য পিডিবিকে প্রতি মাসে ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ গুনতে হয় প্রায় ৩৯ দশমিক ৪৩ মিলিয়ন ডলার। এ হিসাবে আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য বছরে ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ পরিশোধ করতে হবে প্রায় ৪৭৩ দশমিক ১৬ মিলিয়ন ডলার। আর ২৫ বছরে এ চার্জ বাবদ পরিশোধ করতে হবে প্রায় ১১ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার, যা কমবেশি এক লাখ ২৬ হাজার ৫৮১ কোটি টাকা। দেশের কয়লাচালিত অন্য বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর তুলনায় আদানির প্রকল্পে পিডিবিকে ক্যাপাসিটি চার্জের জন্য ১৬ শতাংশ বা জ্বালানির জন্য ৪৫ শতাংশ বেশি মূল্য দিতে হবে।
বাংলাদেশ এরই মধ্যে ভারত থেকে যে বিদ্যুৎ আনছে, তার ইউনিটপ্রতি মূল্য ধার্য হয়েছে দশমিক ৬২ সেন্ট। ফলে আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্র পূর্ণ সক্ষমতায় উৎপাদনে এলে প্রতি মেগাওয়াট/ঘণ্টা বিদ্যুতের জন্য বাংলাদেশকে দিতে হবে ১৭০ মার্কিন ডলার।
এখানে আরো একটি বিষয় দৃষ্টিগ্রাহ্য যে, নিজস্ব খনি থেকে কয়লা আনার কথা থাকলেও আদানি পাওয়ার বিগত ২০২২ সালের ১০ অক্টোবর, এ প্রকল্পে ২৫ বছরে ৫ দশমিক ৯ মিলিয়ন টন কয়লা সরবরাহের জন্য দরপত্র আহ্বান করে; যা রীতিমতো সন্দেহজনক।
বর্ণিত পটভূমিতে আদানির বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের বিষয়ে অত্যন্ত সতর্কতার সাথে কার্যক্রম গ্রহণ করা এখন সময়ের দাবি বলে অভিজ্ঞ মহলের অভিমত।
লেখক : নিরাপত্তা গবেষক
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা