জনদরদি আবু তাহের স্মরণে
- ১০ মে ২০২৪, ০০:০০
মাওলানা আবু তাহের চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানার গহিরা ইউনিয়নের পরুয়াপাড়ায় ১৯৪৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন। গ্রামে প্রাথমিক শিক্ষা শেষে চট্টগ্রাম শহরের আছদগঞ্জস্থ সোবহানিয়া আলিয়া মাদরাসায় লেখাপড়া করেন। ঐতিহ্যবাহী উম্মুল মাদারিস চট্টগ্রাম দারুল উলুম আলিয়া মাদরাসা থেকে ফাজিল ও ১৯৭০ সালে কামিল পাস করেন। স্বাধীনতা-উত্তরকালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স ও মাস্টার্স করেন।
মাওলানা আবু তাহের শিক্ষানুরাগী, সমাজসেবক ও জনদরদি ছিলেন। আজ ১০ মে ২০২১ সাল তার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। উনিশ শতকের আশির দশকে তার সাথে আমার সম্পর্ক। সহজ সরল সাদাসিধে জীবনের মাওলানা আবু তাহের সমসাময়িক সবার প্রিয়ভাজন ছিলেন। চট্টগ্রামের বিশিষ্ট সমাজসেবক মরহুম মাওলানা মুহাম্মদ শামসুদ্দিন, আনোয়ারার মাওলানা মুহাম্মদ ইউনুছ, দারুল উলুম মাদরাসার শায়খুল হাদিছ উপমহাদেশ খ্যাত মুহাদ্দিস মাওলানা মুহাম্মদ আমীন রহ: তার ওস্তাদদের অন্যতম ছিলেন। রাজনৈতিক জীবনে তিনি চট্টগ্রাম-৮ আসনে দুইবার সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করেন। জীবনের প্রথম দিকে আগ্রাবাদস্থ আল জাবের ইনস্টিটিউট অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। পরবর্তী সময়ে সমাজসেবাকে তিনি ব্রত হিসেবে গ্রহণ করেন। ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল সংঘটিত প্রলয়ঙ্করি জলোচ্ছ্বাস ও ঘূর্ণিঝড় পরবর্তীকালে বৃহত্তর চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এলাকার সমুদ্রোপকূলীয় বাসিন্দাদের পুনর্বাসনে তিনি বিশাল ভূমিকা রাখেন। মিরসরাই, সীতাকুণ্ড, ডবলমুরিং, পতেঙ্গা, আনোয়ারা, বাঁশখালী, সন্দ্বীপ, কুতুবদিয়া, চকরিয়া, মহেষখালী, কক্সবাজার জেলায় তিনি কোটি কোটি টাকার ত্রাণসামগ্রী বিতরণে নেতৃত্ব দেন।
অভাবীদের প্রতি উদার ছিলেন তিনি । অসহায় পরিবারের খবর জেনে পকেটে যা থাকত তা বিলিয়ে দিতেন। মৃত্যুপূর্ব প্রায় ১০-১১ বছর তিনি অসুস্থ অবস্থায় কালাতিপাত করেন। ২০০৭ সাল নাগাদ তিনি কক্সবাজার সফরে গিয়ে আহত হন এরপর তিনি চলাফেরা করতে পারতেন না।
৪০ বছরের বন্ধু মাওলানা আবু তাহেরের জন্য আমি মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে ফরিয়াদ জানাই। তার সব গুণগ্রাহী ও শুভাকাক্সক্ষীদের প্রতি মাওলানা আবু তাহেরের মাগফিরাতের জন্য দোয়া করার আহ্বান জানাই।
- মাওলানা লিয়াকত আখতার ছিদ্দিকী
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা