১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে মিসরের ভূমি বিক্রি

-

মিসর তার পতিত অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধারের জন্য উপকূলীয় এলাকা বিদেশীদের কাছে হস্তান্তর করছে। জেনারেল সিসি সরকারের নিজের খনন করা অর্থনৈতিক গর্ত থেকে বের হতে না পারলে দেশ দেউলিয়া হয়ে যাবে। নিজের ভূমি অপরের কাছে দিয়ে দেয়ার রেকর্ড রয়েছে সিসির। ২০১৬ সালে ৯ এপ্রিল আল-সিসি, রিয়াদ ও কায়রোর মধ্যে সমুদ্রসীমা-বিষয়ক এক চুক্তি স্বাক্ষর করে ‘তিরান’ ও ‘সানাফির’ দ্বীপ দু’টি সৌদি পানিসীমার মধ্যে পড়েছে উল্লেখ করে সৌদির কাছে হস্তান্তর করে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, মিসরের সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দেয়ার বিনিময়ে আল-সিসি রিয়াদের কাছ থেকে দুই হাজার কোটি ডলারের অর্থসাহায্য পেয়েছেন। বিপক্ষে জনবিক্ষোভ রাস্তায় নামলে শত শত বিক্ষোভকারীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়। মিসরের প্রশাসনিক উচ্চ আদালত সৌদি আরবের সাথে স্বাক্ষরিত চুক্তিকে বাতিল বলে ঘোষণা করে। আদালতের রায়ে বলা হয়- তিরান ও সানাফির দ্বীপের ওপর মিসরের সার্বভৌমত্বের অধিকার ত্যাগ করা যাবে না।
এবার বিক্রি হচ্ছে রাস আল হিকমা। মিসরের উত্তর উপকূলে অবস্থিত রাস আল-হিকমা একটি উপকূলীয় এলাকা। রাস আল-হিকমা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর, এখানকার পানি হাজার বছর ধরে ফিরোজা রঙের, সাদা বালুকাময় সৈকত, স্নিগ্ধ জলপাই ও ডুমুরের বাগান সবাইকে হাতছানি দেয়। এটি ভূমধ্যসাগরে মিসরের কয়েকটি অবশিষ্ট অক্ষত আশ্রয়স্থলগুলোর মধ্যে অন্যতম। রাস আল-হিকমা আলেকজান্দ্রিয়া থেকে প্রায় ২১২ কিলোমিটার পশ্চিমে এবং কায়রো থেকে প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত একটি আপ-অ্যান্ড-কামিং রিসোর্ট। মিসরের ভবিষ্যতের নগর উন্নয়নের অংশ হিসেবে উত্তর উপকূল অঞ্চলকে রূপান্তর করার জন্য রাস আল-হিকমা ওয়াটারফ্রন্ট নিউ সিটি নামে একটি নতুন টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ওয়াটারফ্রন্ট শহর তৈরি করছে। ২০২৮ সালের মধ্যে প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হবে।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির গোড়ার দিকে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে প্রধান উপকূলীয় অঞ্চল বিক্রি করার একটি আসন্ন চুক্তির খবর ফাঁস হয়ে যায়। কায়রো ও আবুধাবির উভয় সরকার কায়রো থেকে ৩৫০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত ৪০ হাজার ৬০০ একর এলাকার উন্নয়নের জন্য ৩৫ বিলিয়ন ডলারের অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তি মিসরের বৈদেশিক মুদ্রার দায়বদ্ধতার একটি অংশ হ্রাস করতে সহায়তা করবে বলে জানানো হয়। প্রকল্পটির লক্ষ্য, অঞ্চলটিকে একটি বিস্তৃত টেকসই ওয়াটারফ্রন্টে পরিণত করা। এটিতে বিনোদন, পরিষেবা, শিল্প ও আবাসিক প্রকল্প, একটি মুক্ত অঞ্চল, একটি কেন্দ্রীয় আর্থিক ও ব্যবসায়িক জেলা, ইয়ট ও পর্যটন জাহাজের জন্য একটি মেরিনা এবং একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যার ফলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং যথেষ্ট রাজস্ব আয়ের সম্ভাবনা থাকছে বলে অভিমত প্রকাশ করা হয়।
রাস আল-হিকমা চুক্তি ১৫০ বিলিয়ন ডলার আয় করবে এবং মিসরের অর্থনৈতিক সঙ্কট সমাধানে সহায়তা করবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই চুক্তিতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি জোরদার এবং হার্ড কারেন্সি সঙ্কট মোকাবেলার মিসরীয় অর্থনীতিতে ৩৫ বিলিয়ন ডলার সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ ইনজেক্ট করা হয়েছে। মিসরের প্রধানমন্ত্রী মোস্তফা মাদবৌলি এই প্রকল্পকে ‘এ ধরনের অন্যতম বৃহৎ চুক্তি’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সার্বভৌম সম্পদ তহবিল, এডিকিউ, মিসরের আলেকজান্দ্রিয়ার পশ্চিমে অবস্থিত রাস আল-হিকমার জন্য ২৪ বিলিয়ন ডলারের একটি বিনিয়োগ কনসোর্টিয়ামের নেতৃত্ব দিচ্ছে। এটি ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলীয় অঞ্চলকে সংযুক্ত আরব আমিরাত-পরিচালিত বিমানবন্দরসহ একটি রিসোর্ট শহরে রূপান্তরিত করবে। বাকি ১১ বিলিয়ন ডলার যাবে মিসরের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে। এই অংশীদারিত্বের সাথে একটি পর্যায়ক্রমে রোলআউট জড়িত হবে, অবিলম্বে ১৫ বিলিয়ন ডলার, তার পরে দুই মাসের মধ্যে আরো ২০ বিলিয়ন ডলার। মিসর আশা করছে যে, ওই প্রকল্পটি থেকে ১৫০ বিলিয়ন ডলার আয় হবে এবং এতে ৩৫ শতাংশ শেয়ার থাকবে।
ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে গমের বর্ধিত ব্যয় এবং লোহিত সাগরের হুথি অবরোধসহ আঞ্চলিক দ্বন্দ্বের কারণে সুয়েজ খালের রাজস্ব কমে যাওয়াসহ একাধিক ধাক্কার মুখোমুখি হয়েছে সিসি সরকার। এসব কারণে বিদেশে কর্মরত মিসরীয় শ্রমিকদের বৈদেশিক মুদ্রার রেমিট্যান্সও কমে গেছে। এর মধ্যে বিশাল নতুন রাজধানী তৈরিতে উল্লেখযোগ্য ঋণের মুখোমুখি হয়ে আর্থিক সহায়তা চেয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফ ৩০০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করলেও এর বণ্টন নির্ভর করছে সম্পূর্ণ নমনীয় বেদনাদায়ক সংস্কারের ওপর। প্রসঙ্গত, এসব শর্তের কারণে শ্রীলঙ্কা তার প্রয়োজনের সময় আইএমএফের সহায়তা পায়নি এবং পাকিস্তান ঋণ নেবে না মর্মে সাফ জানিয়ে দিয়েছিল। তা ছাড়া, কায়রোতে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আস্থাও হ্রাস পেয়েছে।

রাস আল-হিকমা বিক্রি কি মিসরের অর্থনৈতিক সঙ্কটে সাহায্য করবে? বৈদেশিক মুদ্রা আকৃষ্ট করার জন্য প্রাকৃতিক গ্যাস অনুসন্ধান জোরদার করা উচিত। সুয়েজ খাল সম্প্রসারণ, একটি অশান্ত অঞ্চলে পর্যটনকে দ্বিগুণ করে তুলেছে এবং মেগা প্রকল্পগুলোতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ঢেলে দেয়া, হাজার হাজার মিসরীয়কে নিয়োগ করার আশা এবং প্রধানত তেলসমৃদ্ধ উপসাগর থেকে বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণ করার আশা সঠিকভাবে কাজ না করলে দুর্যোগ আরো বাড়বে। মিসরের সামরিক-আধিপত্য অর্থনৈতিক মডেলের মতো সংস্কারের প্রয়োজন হতে পারে। ব্লুমবার্গই বলেছে, তালাত মোস্তফা গ্রুপের মতো সংস্থাসহ মিসরের ৩৫ শতাংশ মালিকানা শেয়ার তেমন একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।
রাস আল-হিকমা চুক্তির পর মিসর দক্ষিণ সিনাইয়ের তিরান প্রণালীর রাস আল-গামিলা, লোহিত সাগরের প্রধান উপকূলীয় জমি, বিদেশী বিনিয়োগের জন্য খুলে দেয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে। অর্থাৎ সেটিও বিক্রি হতে পারে। বৈদেশিক মুদ্রার তারল্য ইনজেকশনের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে লাভজনক অধিগ্রহণের জন্য সৌদি আরব ও কাতারের স্থানীয় এবং উপসাগরীয় বিনিয়োগকারীদের টার্গেট করছে মিসর। অঞ্চলটি তিরান এবং সানাফির দ্বীপের নিকটবর্তী। এই দ্বীপ দু’টি মিসর সৌদি আরবকে আগেই স্থানান্তর করেছিল। রাস আল-গামিলার ভূমি, রিসোর্ট শহর শার্ম এল-শেখ থেকে খুব দূরে অবস্থিত এবং জনপ্রিয় আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ডাইভিং স্পটের কাছাকাছি। এখানে আগে একটি বড় পর্যটন উন্নয়নের জন্য জোন করা হয়েছিল যেখানে আট শতাধিক কক্ষ, সহস্রাধিক হোটেল অ্যাপার্টমেন্ট, বাণিজ্যিক অঞ্চল এবং বিনোদন সুবিধাসহ বৃহৎ চার-তারকা হোটেল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। রাস গামিলা নিয়ে সরকারের বক্তব্যে অনেকে সন্দিহান। মিসরীয় মিডিয়া ব্যাপকভাবে সেন্সর করা হয় তারপরও পরস্পরবিরোধী তথ্য পাওয়া গেছে। সৌদি জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছে।

কায়রো এটিকে একটি লাইফলাইন হিসেবে দেখছে, যা কালোবাজারে ডলারের বিনিময় হারের উন্মাদ বৃদ্ধি বন্ধ করতে পারে। সরকারি বিবৃতি অনুসারে, মিসর ইতোমধ্যে চুক্তির অংশ হিসেবে ১০ বিলিয়ন ডলার পেয়েছে, যা মূলত আল-সিসির জন্য একটি উদ্ধার প্যাকেজ। মিসরের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতে, ২০২৪ চলতি সালে সিসি সরকার বিশাল ঋণের বোঝায় জর্জরিত, ৪২.৩ বিলিয়ন ডলারের কিস্তি এবং ঋণের সুদের মেয়াদপূর্তির নির্ধারিত সময়সূচি! তাই দেশ বিক্রি করা ছাড়া কোনো বিকল্প সিসির হাতে নেই।
চুক্তির ফলে আবুধাবি ডেভেলপমেন্টাল হোল্ডিং কোম্পানি আলেকজান্দ্রিয়ার পশ্চিমে মিসরের ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলে রাস আল-হিকমা উপদ্বীপে বৃহৎ প্রকল্প বিকাশের অধিকার অর্জন করেছে। প্রকল্পটিতে আবাসিক, বাণিজ্যিক, বিনোদন ও পর্যটন সুবিধা এবং ১৭ কোটি ৮ লাখ বর্গমিটার এলাকাজুড়ে বিনিয়োগ এলাকা গড়ে তোলা হবে। চুক্তির প্রকৃত মূল্য মাত্র ২৪ বিলিয়ন ডলার, যা প্রকল্পের জন্য বরাদ্দকৃত জমির মূল্য, মুনাফার ৩৫ শতাংশ অতিরিক্ত। মিসরকে ডলারে এটি ফেরত দিতে হবে না; সংযুক্ত আরব আমিরাতকে মিসরীয় পাউন্ডে পরিশোধ করা হবে। দ্বিতীয় ইস্যুটি ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলের অন্যতম সুন্দর স্পটে প্রতি বর্গমিটারের দাম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ। এটি প্রতি বর্গমিটারে প্রায় ৪ হাজার ৩০০ মিসরীয় পাউন্ডের সমান, ১৪০ ডলার, যা একটি মনোমুগ্ধকর পর্যটন স্পট এবং একটি উচ্চ-শ্রেণীর বিনিয়োগের গন্তব্যের জন্য কম এবং অযৌক্তিক। অধিকন্তু, মিসরীয় প্রধানমন্ত্রী মোস্তফা মাদবৌলি ঘোষিত চুক্তিতে মিসরীয় সরকার, প্রকল্পের লাভের ৩৫ শতাংশ অর্জনের প্রকৃতি, পদ্ধতি বা তারিখ স্পষ্ট করেনি। এই মুনাফা এককালীন বা বার্ষিক পেমেন্ট হবে কি না এবং কোম্পানির অ্যাকাউন্ট এবং লাভের স্তরগুলো কীভাবে যাচাই করা হবে তাও পরিষ্কার নয়। আল-আহরাম সংবাদপত্রে শিরোনাম করেছে, ‘রাস আল-হিকমা : জাতির জমি বিক্রির সিরিজের শুরু’। নিবন্ধে বলা হয়েছে, ‘এ ধরনের চুক্তি একটি অযোগ্য সরকারের অগ্রহণযোগ্য কৌশল যা রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিক্রির উপর তার অর্থনৈতিক কৌশল তৈরি করেছে।’
বিশেষজ্ঞরা তাদের কৃষি ও শিল্প প্রতিপক্ষের তুলনায় পর্যটন এবং রিয়েল এস্টেট বিনিয়োগের সম্ভাব্যতা এবং অগ্রাধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। মিসর এরই মধ্যে বিশাল রিয়েল এস্টেট প্রকল্প এবং পর্যটন রিসোর্টে ভরে গেছে, যেখানে প্রায় ২০ লাখ মাল্টি-অ্যাপার্টমেন্ট ভবন রয়েছে। কায়রোর পূর্বে নতুন প্রশাসনিক রাজধানী রয়েছে, যা এখনো প্রস্তুত নয় এবং উত্তরে নতুন শহর আলামেইন রয়েছে, গাজা ও লোহিত সাগরের উত্তেজনার কারণে পর্যটন রাজস্ব হ্রাস এবং ২০২৩ সালে মিসর ১৪.৯ মিলিয়নেরও কম দর্শনার্থী পেয়েছে। আরো গোপন বিষয় হলো- বিক্রি করা জমিটি মিসরীয় সেনাবাহিনীর মালিকানাধীন ছিল। যদিও এটি পরিষ্কার নয় যে, সামরিক বাহিনীকে কীভাবে বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল।

মিসরীয় সামরিক প্রতিষ্ঠান কি জমির জন্য এবং মুনাফা থেকে অর্থ প্রদান করবে? নাকি সব কিছুই রাষ্ট্রীয় কোষাগারে চলে যাবে? সেনাবাহিনীর অর্থনৈতিক সাম্রাজ্য, এর কোম্পানির সংখ্যা এবং তার আর্থিক পোর্টফোলিওর আকার সম্পর্কে মিসরে এই প্রশ্নগুলো নিয়ে জোর সমালোচনা করা হচ্ছে। সিসির আমলে সশস্ত্রবাহিনী লোহা ও সিমেন্ট, শিশুদের খাবার, ওষুধ এবং স্কুল খাবার উৎপাদনের পাশাপাশি গোশত, খাদ্য ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম বিক্রি, হোটেল, ক্লাব এবং লাভজনক পেট্রোল স্টেশনগুলো দিয়ে ব্যবসায়িক সুবিধা নিচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, সেনাবাহিনীর সাথে সংশ্লিষ্ট ৬০টি কোম্পানি ১৯টি শিল্পে কাজ করছে, যার মধ্যে মোট ২৪টি কোম্পানি তালিকাভুক্ত রয়েছে।
মিসরের জনগণ আশঙ্কা করছে যে- গাজা স্ট্রিপ, ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুতি ইস্যু এবং স্থায়ীভাবে রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং খুলে দেয়ার ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রতার বিষয়ে যে ব্যবস্থা করা হচ্ছে তার বিনিময়ে এই চুক্তিকে মূল্য দিতে হবে।
তারা আরো উদ্বিগ্ন যে, এই বিক্রি তৃতীয় পক্ষের কাছে মালিকানা হস্তান্তরের একটি উপায় হয়ে দাঁড়াবে, মিসরীয় সম্পদ অন্য পক্ষের কাছে বিক্রি করা হবে না এমন নিশ্চয়তা সম্পর্কে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। বিরোধীদের মতে, প্রকল্পটি ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলে একটি আমিরাতি নৌ-ঘাঁটির জন্য কভার হিসেবে কাজ করবে। যেহেতু প্রকল্প পরিকল্পনায় দু’টি সমুদ্রবন্দর এবং একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর ফলে মিসরের সার্বভৌমত্ব প্রভাবিত হবে। বিদেশে বসবাসরত মিসরীয় লেখক জামাল সুলতান বিস্ময় প্রকাশ করেছেন যে, সরকার কেন চুক্তিটি জনগণকে দেখানোর জন্য প্রকাশ করছে না?
প্রকল্পটি বিশ্বব্যাপী দরপত্র জারি না করে সরাসরি একটি আমিরাতি সত্তাকে দেয়া হয়েছে। মিসরের ২ হাজার ৪০০ কোটি ডলার পাওয়ার যে সময়সীমা ঘোষণা করা হয়েছে, তা প্রকল্প শুরুর দুই মাস আগে। অনেকেই বলেছেন যে, চুক্তিটি রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক নয়। সিসি ক্ষমতা ধরে রাখার শেষ চেষ্টা হিসেবে নিজ দেশের ভূমি বিক্রি করছেন যা ইতঃপূর্বের কোনো শাসক করেননি। বর্তমানে সিসি যে দু’টি সবচেয়ে বিপজ্জনক হুমকির মুখোমুখি হয়েছেন তা হলো- তার নিজের সামরিক বাহিনী ও একটি জনপ্রিয় বিদ্রোহ।
লেখক : অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব ও গ্রন্থকার


আরো সংবাদ



premium cement
ডিএসইতে মূল্যসূচক বাড়ল ১৪.৪৮ পয়েন্ট সিরিয়ায় বাশার সরকারের পতনে ইরানি মুদ্রার মান রেকর্ড তলানিতে নারায়ণগঞ্জে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে কলেজেছাত্র আহত তারেক রহমান কবে ফিরবেন, জানালেন মির্জা ফখরুল কালিয়াকৈরে ছুরিকাঘাতে যুবককে হত্যা ৫ আগস্টের পর চাঁদাবাজি-ছিনতাইয়ে র‍্যাবের ১৬ সদস্য আটক : ডিজি মিয়ানমারে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী শহর থেকে শত শত সৈন্যসহ জেনারেল আটক শনিবার থেকে শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে’ পাওনা টাকা চাওয়ায় চা দোকানির হাত ঝলসে দেয়ার অভিযোগ হাসিনার বিবৃতিকে ভারত সমর্থন করে না : বিক্রম মিশ্রি

সকল