২০ মে ২০২৪, ০৬ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫
`


‘ষোলো আনাই মিছে’

-

ছড়া সম্রাট সুকুমার রায় (১৮৮৭-১৯২৩) ‘ষোলো আনাই মিছে’ কবিতাটি শুরু করেছিলেন- বিদ্যে বোঝাই বাবুমশাই চড়ি সখের বোটে,/মাঝিরে কন, ‘বলতে পারিস সূর্যি কেন ওঠে?/চাঁদটা কেন বাড়ে-কমে? জোয়ার কেন আসে?’/বৃদ্ধ মাঝি অবাক হয়ে ফ্যালফ্যালিয়ে হাসে।/ বাবু বলেন, ‘সারা জীবন মরলিরে তুই খাটি,/জ্ঞান বিনা তোর জীবনটা যে চারি আনাই মাটি।’ বাবু এরপর, ‘নদীর ধারা কেমনে নেমে আসে পাহাড় থেকে, কেন সাগর ভরা লো না পানি।’ বৃদ্ধ জবাবে বলে, ‘আরে মশাই অত কি আর জানি’, তখন বাবু বলেন, তোর জীবন আট আনাই ফাঁকি। বাবু আবার জানতে চান আকাশের চূড়া নীল দেখায় কেন, কেন সূর্য চাঁদে গ্রহণ লাগে, বৃদ্ধ এবার বলে, এসব বলে লজ্জা কেন দিচ্ছেন, এবার বাবু ভেবেচিন্তে বললেন, ‘তোর জীবন বারো আনাই বৃথা’। এরপর ‘খানিক বাদে ঝড় উঠেছে, ঢেউ উঠেছে ফুলে,/বাবু দেখেন, নৌকাখানি ডুবল বুঝি দুলে!/মাঝিরে কন, ‘একি আপদ! ওরে ও ভাই মাঝি,/ডুবল নাকি নৌকা এবার? মরব নাকি আজি?’/মাঝি শুধায়, ‘সাঁতার জানো?’-মাথা নাড়েন বাবু,/মূর্খ মাঝি বলে, ‘মশাই, এখন কেন কাবু?/বাঁচলে শেষে আমার কথা হিসেব করো পিছে,/তোমার দেখি জীবন খানা ষোলো আনাই মিছে!’ বিদ্বান বাবু আর মূর্খ মাঝির অবস্থাটিকে যদি আমরা একটি দেশ ও জাতির প্রেক্ষাপটে ভাবি এবং বিদ্বান বাবুর টেকসই ও লাগসই জ্ঞানের (সাঁতার না জানা) অভাবকে মাঝির মূর্খতার অবয়বে সমীকরণে যাই তা হলে এ উপসংহারে উপনীত হতে পারি যে, প্রকৃত শিক্ষা ব্যতিরেকে সেই জাতির চোখ ধাঁধানো অবকাঠামো, জমি বন্ধক দিয়ে ধারকর্জ করে তেল ও ঘিকে এক পাল্লায় ফেলে উন্নয়নের প্রগলভতা আসলে অন্তসারশূন্য- ‘ষোলো আনাই মিছে’।

প্রকৃত শিক্ষাবিহীন জাতির কাছে উন্নয়ন অবকাঠামো অর্থহীন। সুস্থ সামাজিক পরিকাঠামো নির্মাণ ব্যর্থতার বিবরে চলে যেতে বাধ্য। ‘সবার ওপর মানুষ সত্য তার ওপর নাই’, সেই মানুষ যদি তার মনুষ্যত্ব বিকাশকে, ন্যায়-নীতিনির্ভরতার মূল্যবোধকে ধারণ লালন-পালন করতে না পারে তাহলে তার কাছে মানবিক আচরণ প্রত্যাশাটাও ষোলো আনা মিছাতে পর্যবসিত হবে। কেননা, শিক্ষা মানুষকে চক্ষুষ্মান করে, শিক্ষায় মানুষের মধ্যে ঘুমিয়ে থাকা শক্তি সুপ্ত অবস্থা থেকে জেগে ওঠে। শিক্ষা মানুষের দায়িত্ববোধ জাগ্রত করে, তার অধিকার ও কর্তব্য সম্পর্কে সজাগ, সবাক, সকর্ম করে তোলে। মানবসম্পদ উন্নয়নে শিক্ষার যেমন বিকল্প নেই, জাতীয় জীবনমানের সার্বিক উন্নয়নে মানসম্মত শিক্ষায় বিনিয়োগেরও তাই কোনো বিকল্প নেই। সদ্য প্রয়াত শিক্ষাবিদ ড. আবদুল মজিদ খান (১৯২৯-২০২৩) মানসম্মত ও ‘দরকারি শিক্ষার’ প্রবক্তা ছিলেন।
একটি বৃক্ষকে সত্যই সবল ও সুস্থ হয়ে বড় বা বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হতে হলে প্রাথমিক পর্যায়ে তার প্রকৃত পরিচর্যা প্রয়োজন। দেখাশোনার প্রয়োজনীয়তা এ জন্য জরুরি ও আবশ্যক যে গাছের কোনো অংশ ক্ষতিগ্রস্ত, জরাগ্রস্ত, দুর্দশাগ্রস্ত হলে পরবর্তী পর্যায় তথা অপরাপর অংশে সংক্রমণের আশঙ্কা প্রবল হয়ে উঠবে এবং একসময় গোটা গাছটি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ইদানীং পরীক্ষাব্যবস্থাকে মূল্যায়নমুখী দেখার পরিবর্তে পাস বা গ্রেডনির্ভর ভাবা হচ্ছে; আর এর পরিসংখ্যান পরিব্যাপ্তির প্রাগ্রসরমানতায় পরিতৃপ্তিবোধ দেখা যায়। মশহুর ইংরেজ কবি স্যামুয়েল টেইলর কোলরিজের অ্যানশিয়েন্ট মেরিনার যেমন সমুদ্রে চারিদিকে থৈ থৈ করা অপান যোগ্য পানি দেখে তার তৃষ্ণা নিবারণ করতে পারেননি (ওয়াটর ওয়াটার এভরিহয়্যার নর এনি ড্রপ টু ড্রিংক)। তেমনি লাখো-কোটি শিক্ষিতের মধ্যে উপযুক্ত চাকরিপ্রার্থী মিলছে না। বাইরের শিক্ষিত লোক এসে চাকরির বাজার মাত করছে বেকারের ভারে ন্যুব্জ এই অর্থনীতিতে। উচ্চতর শিক্ষায়তনে ভর্তির দুয়ারে গিয়ে অনেককে অপারগতায় ঠায় দাঁড়ানো দেখতে হচ্ছে।

শিক্ষা মূল্যবোধকে জাগ্রত করার কথা, মূল্যবোধ অবক্ষয়ের উপলক্ষ হওয়ার কথা নয়। শিক্ষার্থীর মানে ভালো-মন্দ জ্ঞানের বিকাশ, দায়-দায়িত্ববোধ, স্বচ্ছতা ও নৈতিকতার আচরণের উদগাতা ও উপলক্ষ উপলব্ধি, পারঙ্গমতা তথা দক্ষতা ও যোগ্যতা সৃষ্টির জন্য যদি না হয় শিক্ষা; বরং শিক্ষা যদি হয় ঠিক বিপরীত তাহলে তার চেয়ে দুঃখজনক অবস্থা আর কী হতে পারে? প্রযুক্তি শিক্ষা প্রৎকর্ষতা অর্জনের জন্য, প্রযুক্তিকে কাজে লগিয়ে নতুন পথে নতুন উদ্যমে সময় ও সামর্থ্যকে সাশ্রয়ী করে তুলে অধিক সক্ষমতা অর্জনের জন্য। শিক্ষা ও প্রযুক্তি যদি অসৃজনশীল, অপচয় অপব্যয় অপঅভ্যাস গড়ে তোলার পথ পায় তাহলে তো সবই ব্যর্থতায় পর্যবসিত হতে বাধ্য।
পল্লী অঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর পাঠদান পরিবেশ, ব্যবস্থাপনার সুযোগ-সুবিধার সাথে শহরের শিক্ষায়তনগুলোর মধ্যে দূরত্ব বেড়েই চলেছে, মফঃস্বল থেকে পাস করা মেধাবী ছাত্ররাও শহরের শিক্ষায়তন থেকে পাস করাদের সাথে প্রতিযোগিতায় পেরে উঠছেন না। এভাবে দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর মধ্যে মেধার বিকাশ সীমিত ও শর্তসাপেক্ষ হয়ে পড়ছে। দেশের ভবিষ্যৎ মানবসম্পদ তৈরির ক্ষেত্রে এই বৈষম্য সৃষ্টির উদ্যোগ তথা অপয়া অবস্থা দেশ ও জাতির জন্য অশেষ দুর্ভোগ বয়ে আনতে পারে। মেধাশূন্য বিপুল জনগোষ্ঠী সম্পদ না হয়ে সহস্র সমস্যার শৈবালদামে পরিণত হয়ে দেশ ও জাতির বহমানতাকে ব্যাহত করতে থাকবে।
আফ্রিকার সবচেয়ে নামকরা বিশ^^বিদ্যালয়ের ‘ইউনিভার্সিটি অব সাউথ আফ্রিকা’ সিংহদ্বারে লেখা আছে- ‘কোনো জাতিকে ধবংস করার জন্য পারমাণবিক হামলা কিংবা ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের দরকার নেই, বরং সেই জাতির শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় প্রতারণার সুযোগ দিলেই হবে। কারণ এভাবে পরীক্ষা দিয়ে ডাক্তারদের হাতে রোগীর মৃত্যু হবে। ইঞ্জিনিয়ারদের দালানকোঠা, ইমারত ধ্বংস হবে এবং অর্থনীতিবিদদের হাতে দেশের আর্থিক খাত দেউলিয়া হবে। এ ছাড়া বিচারকদের হাতে বিচারব্যবস্থার কবর রচনা হবে। সুতরাং শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়ার মানে হলো একটি জাতির অবলুপ্তি।’
ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ড. এ পি জে আবদুল কালাম (১৯৩১-২০১৫) বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন। স্থানীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলের তরফ থেকে সে সময় ৮৩ বছর বয়সী এই চিরতরুণ তত্ত্ববিদকে প্রশ্ন করা হয়েছিল- গোটা উপমহাদেশের টেকসই উন্নয়ন অভীপ্সায় তার বার্তা কী? তিনি পরামর্শে সোজাসাপটা বলেছেন- ১. বাড়িতে মা-বাবা ও ২. প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষককে দায়িত্বশীল হতে হবে, তাদের দায়িত্বশীল পেতে হবে। তাদের দায়িত্বশীল ও কর্তব্যপরায়ণ পেতে হলে তাদের প্রতি বলিষ্ঠ সুনজর দিতে হবে। জাপানে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষককে সবিশেষ সযতœ ও সম্মানের দৃষ্টিতে দেখতে রাষ্ট্র সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। পরিবারে মা-বাবা কোনোভাবে ভবিষ্যৎ পরিবার, দেশ ও সমাজে উপযুক্ত সদস্য সরবরাহে অমনোযোগী হতে পারেন না। সন্তানকে উপযুক্ত আদর্শ, মূল্যবোধ ও চেতনাদাত্রী হিসেবে তারা তাদের ভূমিকা ও দায়িত্ব পালনে প্রথমত নিজেদের ও সংসারের স্বার্থে এবং প্রধানত পরিবার, সমাজ, দেশ ও জাতির স্বার্থে অবশ্যই মনোযোগী হবেন। আর এই ‘সব মানুষের দ্বারা’, ‘সব মানুষের জন্য’, ‘সব মানুষের সরকার’ পরিবার, সংসার, সমাজ ও দেশে অনুকূল পরিবেশ সৃজনে-নিয়ন্ত্রণে, উদ্বুদ্ধকরণে, প্রণোদনে, প্রযতœ প্রদানে অর্থনৈতিক রাজনীতি নিষ্ঠায়, ন্যায়নির্ভরতায়, স্বচ্ছতায়, জবাবদিহিতে, সুস্থ সাংস্কৃতিক সৌহার্দ্য-সখ্যে সন্দেশ সুনিশ্চিত করবেন। সে নিরিখে মানবসম্পদ তথা সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে নতুন যুগের যে শিক্ষার দরকার সেই শিক্ষার পথে আমরা আছি কিনা- বারবার তার মূল্যায়ন ও পর্যালোচনা হওয়া দরকার।

নগরায়ণ বাড়ছে। গ্রামের মানুষ জীবন ও জীবিকার টানে নগরে পাড়ি জমাচ্ছে। শহরে সেই মানুষের ঠাঁই দেয়ার সামর্থ্য নেই। ফলে শহরের উপকণ্ঠ যে গ্রাম সেই গ্রামও শহরে রূপান্তরিত হচ্ছে দ্রুত। গ্রামের টাটকা ফল-ফলারি, মাছ-গোশত, দুধ সবই এখন শহরে বর্ধিত চাহিদা মেটাতে চলে যাচ্ছে। গ্রামে মানুষ থাকছে না, শহরে গিয়ে গ্রামের সামগ্রীর চাহিদা সৃষ্টি করছে আর যারা যদিও বা গ্রামে থাকছে তারা আর পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার পাচ্ছে না। তারা অধিক লাভের আশায় তাদের সনাতন চাষপদ্ধতি সনাতন সব আচার আনুষ্ঠানিকতা বাদ দিয়ে অতি আধুনিক চাষবাস ব্যবহার করে হাইব্রিড উন্নয়নের পথে পা বাড়াচ্ছে। কেননা, স্ফীতকায় নগরের চাহিদা মেটাতে হচ্ছে তাদের। আর গ্রামের মানুষ শহরে এসে বন্দিত্ব বরণ করছে সীমাবদ্ধ নাগরিক জীবনে। তাদের খেলার মাঠ নেই, সাঁতার কাটার পুকুর নেই, উদার উন্মুক্ত বাতাস সেবনের সুযোগ নেই। যন্ত্রের মতো নাগরিক জীবনে অভ্যস্ত হতে গিয়ে তাদের পারিবারিক ঐক্য, পাড়া-প্রতিবেশীর প্রতি মমতা, সামাজিক সখ্যতা সবই হারাতে হচ্ছে। একে কি যথার্থ জীবন যাপন বলে? সেখানে শিক্ষাব্যবস্থা দারুণ অবক্ষয়ের শিকার। অভিভাবকরা সরকারি পুরো বেতনভুক অথছ অধিকাংশ অযোগ্য অদক্ষ শিক্ষকের কাছ থেকে উপযুক্ত বিদ্যাচর্চায় দায়িত্বশীল অবস্থায় পাচ্ছে না। ইনস্পেকটিং শিক্ষাপ্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি অজ্ঞাত কারণে তাদের জবাবদিহির আওতায় আনছেন না। প্রত্যেকের জীবন যার যার তার তার। অভিভাবকদের তার সন্তানের সুশিক্ষার ব্যাপারে যতœবান হতেই হবে।
গ্রামের জীবন আর শহরের জীবনের মধ্যে সমান্তরাল সাযুজ্য হারানোয় এখন শহরে বড় হচ্ছে যে শিশু সে গ্রামকে আর জানতে পারছে না- টাটকা ফল ফসলের পরিবর্তে জাঙ্ক ফুড, প্রক্রিয়াজাত ফুড গ্রহণ করতে করতে নগরায়ণের সীমাবদ্ধ সময় ও পরিসরে তার জীবনকে যেন ই-পদ্ধতি প্রক্রিয়ার ছকে বেঁধে ফেলছে। একসময় সুযোগ পেলে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছে। বিদেশে পাড়ি জমানোর তাগিদ ও প্রয়োজনীয়তা এতই বৃদ্ধি পাচ্ছে যে, ঝুঁকি নিয়ে ছোট নৌযানে সমুদ্র পাড়ি দেয়ার ঝুঁকি নিতে হচ্ছে তাকে। জীবন ও জীবিকার সন্ধানে মানবের বিশ্ব ভ্রমণ নতুন কোনো বিষয় নয়, মহাদেশ থেকে মহাদেশান্তরে মানুষ প্রত্যাবাসিত হয়েছে, পাচার হয়েছে। ভারতবর্ষের মানুষ সুদূর আফ্রিকার মরিসাস, ফিজি, এমনকি ল্যাতিন আমেরিকার ত্রিনিদাদ টোবাগোতেও গেছে। সিল্ক রুট দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের মানুষ ভারতবর্ষ হয়ে সুদূর চীন ও সাইবেরীয় হিমাঞ্চলে প্রবেশ করেছে। আজ আমরা টেকনাফ দিয়ে ছোট যানে মানুষকে মালয়েশিয়া যেতে দেখে কিংবা থাইল্যান্ডের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাংলাদেশীদের বন্দী জীবনযাপনের খবরে শিউরে উঠছি কিন্তু কেন এই exodus-তা ভেবে দেখছি না- তাদের এভাবে যাতে যেতে না হয় কিভাবে উন্নত উপায়ে নিরাপত্তার সাথে সম্মানের সাথে এই প্রত্যাবাসন হয় সেটি আধুনিক যুগের নেতৃত্বকে দেখতে হবে। আবার যারা সামর্থ্যবান, উচ্চশিক্ষার নামে বিদেশে পাড়ি দিয়ে তারা আর ফিরছে না।
মেধাপাচার ভবিষ্যতে উপযুক্ত উদ্যোক্তা, শিল্পপতি, রাজনীতিবিদ, শিক্ষক- সব কিছুর এক দারুণ দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে বা দিচ্ছে। টেকসই উন্নয়নের যদি কথা বলি, মানবসম্পদ পাচারের এ প্রবণতাকে সঠিক ধারায় আনা দরকার। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এ যোগাযোগের দুয়ার খুলতে কূটনৈতিক উদ্যোগ আধুনিক সরকারের তরফে যেমন জরুরি তেমনি যারা যাবেন তারা যেন যথা প্রশিক্ষিত ও প্রবুদ্ধ হয়ে পাড়ি জমান বিদেশ বিভুঁইয়ে সে জন্য দেশের অভ্যন্তরে আর্থ-সামাজিক জীবনে শৃঙ্খলাসহ উপযুক্ত কর্মপরিবেশ সৃষ্টি এবং শিক্ষা-প্রশিক্ষণের সুযোগ তৈরির বিকল্প নেই।
লেখক : সাবেক সচিব, এনবিআরের প্রাক্তন চেয়ারম্যান


আরো সংবাদ



premium cement
ফের ইংলিশ লিগ চ্যাম্পিয়ন ম্যানসিটি ম্যানসিটির টানা চতুর্থ শিরোপা কেএনএফের তৎপরতার প্রতিবাদে বান্দবানে মানববন্ধন তাপপ্রবাহের মধ্যে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জন্য নতুন নির্দেশনা ‘ভুয়া তথ্য’ ছড়িয়ে কিরগিজস্তানে বিদেশী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা রংপুরে হুমকি দাতা ইউপি মেম্বারকে তলব করল রিটার্নিং কর্মকর্তা রোহিঙ্গা গ্রামে আরাকান আর্মির হামলা ও অগ্নিসংযোগ মিরপুরে ব্যাটারি চালিত রিক্সাচালক ও পুলিশ সংঘর্ষ : আহত অর্ধশত লজ্জাহীনতার বার্তা শিশুদের মনে দুর্ঘটনার কবলে ইরানের প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টার গুরুতর আঞ্চলিক সঙ্কটে পরিণত হয়েছে রোহিঙ্গা সমস্যা : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সকল