২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শিক্ষানীতিগুলোর পটভূমি ও লক্ষ্য

-

১৯৭১ সালের যুদ্ধের মাধ্যমে তৎকালীন পাকিস্তান ভাগ হলো। তদানীন্তন পূর্বপাকিস্তানে জন্ম নিলো এক স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ। এর আগে ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশদের শিক্ষায় শিক্ষিত ও তাদের আদর্শে উজ্জীবিত রাজনীতিবিদ এবং পরবর্তীকালীন শাসকদের হাতে ভারতবর্ষকে দুই টুকরো করে দিয়ে ব্রিটিশরা এই উপমহাদেশ ত্যাগ করেছিল। তবে ব্রিটিশরা চলে গেলেও ব্রিটিশ শাসনের ধারা ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশেই বহাল রয়ে গেল। একই সাথে তাদের প্রণীত শিক্ষাব্যবস্থাও।
পাকিস্তান আন্দোলন এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশের মুক্তি আন্দোলনের পশ্চাতে এক ও অভিন্ন গূঢ় অর্থনৈতিক কারণ কাজ করেছে, যদিও বাহ্যত দু’টি আন্দোলন ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রকৃতির। বাহ্যিকভাবে পাকিস্তান আন্দোলনের যে ইতিহাস আমরা জানি এবং বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের যে ইতিহাস কোনো কোনো সরকার লিখেছে, তা ইতিহাসের বিকৃতি অতি সংক্ষেপের নামান্তর বলতে হয়, পাকিস্তান আমরা যে কারণে চেয়েছিলাম, বাংলাদেশও একই কারণে আমরা চেয়েছি এবং রক্ত দিয়ে অর্জন করেছি। পাকিস্তান আমলে সাধারণ মানুষ পাকিস্তান চেয়ে ও পেয়ে বঞ্চিত হয়েছে, বাংলাদেশ আমলে কি সাধারণ মানুষের বঞ্চনার শেষ হয়েছে?
পাকিস্তান আন্দোলনের সময় উঠতি মুসলিম পুঁজিপতিরা প্রতিষ্ঠিত হিন্দু পুঁজিপতিদের প্রতিযোগিতা থেকে মুক্ত একটি বাজার চেয়েছিলেন। তার জন্য আন্দোলন করে সাধারণ মানুষের ত্যাগের বিনিময়ে তা পেয়েও ছিলেন। পরবর্তীকালে বাঙালি উঠতি পুঁজিপতিদের তুলনায় অপেক্ষাকৃত ভাগ্যবান ও আঞ্চলিক বৈষম্যবাদী পাকিস্তানি পুঁজিপতিদের হাত থেকে নিষ্কৃতি লাভের আশায় বাঙালিদের বাংলাদেশ নামক এই অঞ্চলটির প্রয়োজন ছিল। তা পাওয়া গেল সাধারণ মানুষের রক্তের বিনিময়ে। ১৯৪৭ সালে মুসলিম পুঁজিপতিরা তখন সাধারণ মানুষের ধর্মবিশ্বাসকে হাতিয়ার করে এগিয়ে গিয়েছিলেন আর ১৯৭১ সালে উঠতি বাঙালি পুঁজিপতিরা সাধারণ মানুষের ভাষা ও দারিদ্র্যকে ভিত্তি করে এগিয়ে গিয়েছিলেন। উভয় ক্ষেত্রেই কারণ প্রায় একইÑ পুঁজির বিকাশের একটি নিশ্চিত বাজার।
পুঁজিপতিদের জন্য সবল প্রতিপক্ষহীন সেই নিশ্চিত বাজার গড়ে দিয়েছেন শ্রমিক-কৃষক মেহনতি গণমানুষ যারা আশা করেছিলেন হয়তো একটা কিছু তাদেরও হবে। ১৯৪৭ সালে জাতীয় দলগুলোর রাজনৈতিক কৌশলী কার্যকলাপের জন্য নয়, মেহনতি জনগণের ব্যাপক আন্দোলনের ফলেই ঔপনিবেশিক সরকার শেষ পশ্চাৎপসরণে বাধ্য হয়েছিল। ১৯৭১ সালের মুক্তি সংগ্রামের বীজ পাকিস্তান আমলব্যাপী মেহনতি মানুষের আন্দোলনের মধ্য দিয়েই উপ্ত হয়েছিল। মূল্য যা দেয়ার মেহনতি জনগণ এবং তাদের সন্তানরাই দিয়েছেন, সুবিধা ভোগ করেছেন শেষাবধি বুর্জোয়া ও পাতি-বুর্জোয়া গোষ্ঠী।
ফলে ১৯৪৭ সালের ভারত ভাগ এমনকি ১৯৭১ সালের মুক্তি সংগ্রাম দেশের আর্থ-সামাজিক এবং প্রশাসনিক কাঠামোতে গুণগত বেশি পরিবর্তনের সূচনা করেনি। তাই উত্তরাধিকার-সূত্রে ব্রিটিশ আমলের ঔপনিবেশিক আমলাতন্ত্র-নির্ভর শাসন-শোষণের মানসিকতা পাকিস্তান যুগ পেরিয়ে এলেও একই ধারায় বিকশিত হয়ে আসছে। এই আমলাতন্ত্রের সাথে উপরের স্তরের বুর্জোয়া (মুসলিম লীগ তাদের প্রতিনিধি) এবং উদীয়মান বুর্জোয়ার (আওয়ামী লীগ তাদের প্রতিনিধি) স্বার্থের অভিন্নতা ছিল। বাংলাদেশ আমলে কিছু রাজনৈতিক নিযুক্তি দেয়া হয়েছিল এবং ১৯৭২ সালের দালাল আইনের আওতায় পাকিস্তানপন্থী আমলাদের ছাঁটাই করার চেষ্টাও করা হয়েছিল। এমনও সময় এসেছিল, যখন মনে হচ্ছিল ক্ষমতার ভারসাম্য আমলাতান্ত্রিক এলিট ও রাজনৈতিক এলিটদের মধ্যে, স্পষ্টতই শেষোক্তের দিকে ঝুঁকে পড়েছিল।
পাকিস্তানে আটকে পড়া তাদের সদস্য ও মুরব্বিরা আসতে শুরু করলে এবং ক্ষমতাসীন দলের অভ্যন্তরীণ সঙ্কট ঘনীভূত হলে, এই আমলারা নিজেদের শক্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হলো। রাজনৈতিক শক্তি এবং অর্থনৈতিক সুবিধার প্রশ্নে কখনো কখনো তাদের মধ্যে সামান্য সংঘাত দেখা দিলেও শহুরে ও গ্রামীণ ধনিকদের স্বার্থরক্ষার মতো মৌলিক প্রশ্নে, রাজনৈতিক-আমলাতান্ত্রিক এলিটদের মধ্যে সহযোগিতা ও সমঝোতার অভাব হয়নি। রাজনৈতিক আমলাতান্ত্রিক এলিটদের মধ্যে এহেন সহযোগিতা বাংলাদেশের পুরো আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনে কালো ছায়াপাত করেছে। এই সহযোগিতা ও সমঝোতার মনোভাবকে পাকাপোক্তভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এদেশের শিক্ষাব্যবস্থাও সেভাবেই গড়ে তোলা হয়েছে এবং শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক জীবনে আজো মোটামুটি ব্রিটিশ আমলের ধারা অব্যাহত রয়েছে।
বিভাগপূর্ব ব্রিটিশ ভারত থেকে পাকিস্তান হয়ে বাংলাদেশের এই সময় পর্যন্ত অনেক শিক্ষা কমিশন অথবা শিক্ষা-বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবাবলি এদেশে গৃহীত হয়েছে। কিন্তু কোনো কমিশন কিংবা প্রস্তাবই এদেশের ঔপনিবেশিক আমলের কেরানি এবং এ-জাতীয় কর্মচারী সৃষ্টির শিক্ষাব্যবস্থার কোনোরকম গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার আনতেও সক্ষম হয়নি।
একটি জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়নের উদ্দেশ্যে ব্রিটিশ আমল থেকে এ যাবৎ গঠিত কতগুলো শিক্ষা কমিশন অথবা বিশেষ উদ্যোগের সূত্রাকার করলে দাঁড়ায় : ১. ১৯৩৪ সালের সাপ্র“ কমিশন; ২. ১৯৪৪ সালের সার্জেন্ট কমিশন; ৩. ১৯৫২ সালের পূর্ববঙ্গ শিক্ষা কমিটি; ৪. ১৯৫৭ সালের পূর্বপাকিস্তান শিক্ষা কমিশন; ৫. ১৯৫৯ সালের শরীফ কমিশন; ৬. ১৯৬৪ সালের হামুদুর রহমান শিক্ষা কমিশন; ৭. ১৯৬৯ সালের নূর খানের শিক্ষা কমিশন; ৮. ১৯৭২ সালের কুদরত-এ-খুদা শিক্ষা কমিশন; ৯. ১৯৭৯ সালের কাজী জাফর আহমদের অন্তর্বর্তীকালীন শিক্ষা রিপোর্ট (অপ্রকাশিত) এবং ১০. ১৯৮২ সালের ড. মজিদ খানের শিক্ষানীতি বিষয়ক-রিপোর্ট। এরপরও স্বাধীন বাংলাদেশে শিক্ষা-বিষয়ক নীতিমালা প্রণীত হয়েছে।
উপরোক্ত শিক্ষা কমিটি এবং কমিশনগুলোর (বিশেষত ৪ থেকে ১০ পর্যন্ত) মূল লক্ষ্য ছিল অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে কোন ভাষা ব্যবহৃত হবে এবং শিক্ষার ব্যয়ভার সরকার ও শিক্ষার্থীর অভিভাবক কতটুকু বহন করবে সে-বিষয়ে নীতি নির্ধারণ করা। কিন্তু বিষয়গত দিক থেকে শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য লর্ড ম্যাকলের ঋরষঃৎধঃরড়হ ঃযবড়ৎু থেকে বিচ্যুত হওয়া নয়। শিক্ষা সঙ্কোচন নীতিও ওই সব কমিশন ও কমিটি প্রদত্ত সুপারিশমালা বিশ্লেষণ করলে ধরা পড়ে।
শিক্ষাব্যবস্থায় ধর্মকে কোনো কোনো রিপোর্টে স্পষ্টতই প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। যেমনÑ ১৯৬৯ সালের এয়ার মার্শাল নূর খান প্রণীত শিক্ষা কমিশন রিপোর্টে বলা হয়েছেÑ ‘ঞযব ধরসং ড়ভ ঃযব হবি ঢ়ড়ষরপরবং ংযড়ঁষফ নব ঃড় রসঢ়ধৎঃ ধ পড়সসড়হ ংবঃ ড়ভ পঁষঃঁৎধষ াধষঁবং নধংবফ ড়হ ঢ়ৎবপবঢ়ঃ ড়ভ ওংষধস.’ ১৯৭২ সালে গঠিত কুদরত-ই-খুদা কমিশনের রিপোর্টে নানা অসঙ্গতি এবং নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য অর্জনে সঠিক পাঠক্রমের সুপারিশের অনুপস্থিতি সত্ত্বেও শিক্ষার লক্ষ্য সম্পর্কে বলা হয়, ‘দীর্ঘ দিনের শোষণজর্জরিত সমাজ দ্রুত সামাজিক রূপান্তর ও অগ্রগতির জন্য শিক্ষাকে বিশেষ হাতিয়ার রূপে প্রয়োগ করতে হবে।’(পৃষ্ঠা-২) অন্যত্র, ‘নতুন সমাজতান্ত্রিক সমাজে স্বাধীন চিন্তা, সৃজনশীলতা, সংগঠন ক্ষমতা ও নেতৃত্বের গুণাবলি বিকাশের ওপর গুরুত্বারোপ করতে হবে।’(পৃষ্ঠা-৩) শিক্ষার উদ্দেশ্য হিসেবে এটা সঠিক, তবে এই উদ্দেশ্য অর্জনের লক্ষ্যে একদিকে যেমন ‘সমাজতন্ত্রের’ পথে সামাজিক বিবর্তনের ধারাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে, ঠিক তেমনি সেই লক্ষ্যে বিভিন্ন পর্যায়ে শিক্ষার পাঠক্রমও ঢেলে সাজাতে হবে যেন নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জিত হয়।’ কিন্তু একটি মুসলিম অধ্যুষিত দেশে তা কতটুকু বাস্তবসম্মত, তা ভেবে দেখা হয়নি।
কিন্তু হতাশাজনকভাবে সত্য, পরবর্তীতে দেখা গেছে শিক্ষার উপরোক্ত উদ্দেশ্যগুলো ঠিক রাখা হয়নি বরং ম্যাকলের ‘প্রেতাত্মা’রা বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা নির্ণয়ের ভার নিয়েছেন, যার ফলে আমরা আজ দেখি প্রকৃত শিক্ষার বা বিপরীত শিক্ষার অতীতের অনুরাগী ও প্রবক্তারা পর্যন্ত নিজেদের আদর্শ জলাঞ্জলি দিয়ে পাশ্চাত্যপন্থীদের কাতারে শামিল হচ্ছেন। শিক্ষাপ্রাপ্ত তরুণ সমাজের মধ্যে তারা শিকড় গাড়তে পারছেন না। বর্তমান ব্যবস্থায় ওই সকল ব্যক্তিকে দোষী না করে বিদ্যমান সুবিধাবাদী প্রতিক্রিয়াশীল শিক্ষাব্যবস্থা এবং বিদ্যমান সমাজব্যবস্থাকেই দায়ী করা সমীচীন মনে হয়। বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা দেশের তেমন উপকারে আসছে না। যাদের কাছ থেকে কর আদায় করে এই শিক্ষাব্যবস্থা চালু রাখা হয়েছে তাদের অবস্থার পরিবর্তনে তেমন কোনো ভূমিকাই রাখছে না এটা। তবু অভিজ্ঞতা থেকে এটুকু বলা যায়, বর্তমানে শিক্ষার বিভিন্ন স্তরে যেসব পাঠক্রম চালু আছে এবং যার ভিত্তিতে পরীক্ষা নেয়া হয়, সেই অবস্থা বিবেচনা করলে, বিপরীত শিক্ষা যতটা যুক্তিগ্রাহ্য এবং বাস্ত—বানুগই মনে করি না কেন, কেউ যদি তা দিতে চেষ্টা করেন তবে তিনি নিজে যতটা প্রতিকূলতার মুখোমুখি হবেন ঠিক সমভাবে তা ছাত্রদের পরীক্ষা পাসের ব্যাপারে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
এ কথা পরীক্ষক ও সংখ্যাগুরু শিক্ষক সম্প্রদায়ের মন-মানসিকতা ও শ্রেণীগত অবস্থান এবং শিক্ষা সম্বন্ধে বুর্জোয়া সরকারগুলোর দৃষ্টিভঙ্গির দিকে নজর রেখেই বলা চলে। তার কারণ, আমাদের শিক্ষার গোড়ায় গলদ আছে। পরীক্ষায় কৃতী ছাত্ররা যতটা স্মৃতিশক্তির সাধনা করেন, বিচার বিশ্লেষণশক্তির সাধনা ততটা করেন না। প্রচলিত শিক্ষাপদ্ধতিই এমন যে, তার মধ্যে একমাত্র যান্ত্রিক স্মৃতিশক্তি ছাড়া অন্য কোনো শক্তির অনুশীলনের সুযোগ থাকে না। বিশেষ করে, পাঠ্যপুস্তকের বাইরে যে বিরাট জ্ঞানজগৎ আছে, যান্ত্রিক পরীক্ষা-প্রধান শিক্ষা ধারায় সে সম্বন্ধে কোনো কৌতূহলও জাগে না। শিক্ষিত মন অনুসন্ধানী হয় না, বিচারমুখী হয় না, কেবল মুখস্থবিদ্যার গণ্ডির মধ্যে থেকে নিশ্চিত চাকরিগত জীবন কাটাতে চায়। সমাজবিজ্ঞান-চর্চা এ জন্য আজো আমাদের দেশে প্রচলিত হয়নি। ইতিহাস, দর্শন, সাহিত্য, কোনো ক্ষেত্রেই আজো আমাদের বৈজ্ঞানিক অনুশীলনের স্পৃহা বাড়েনি। সর্বত্রই আমরা স্মৃতি, শ্র“তি ও অলীক কল্পনার জগতে বিচরণ করতে ইচ্ছুক। এটি এমনিতেই গড়ে ওঠেনি। সুদীর্ঘ কালের প্রথাগত বা প্রচলিত শিক্ষার ফলেই এমন ধারার জন্ম হয়েছে। আজো তাই চলছে।
বাংলাদেশের মতো মুসলিম অধ্যুষিত একটি দেশের অনুকূলে যেটা প্রয়োজন তা হলোÑ এমন একটি শিক্ষানীতি ও শিক্ষাব্যবস্থা যা এ দেশের মানুষে আধ্যাত্মিক বিশ্বাস ও ঐতিহ্যের অনুকূল। একমাত্র সেটাই হতে পারে একটি টেকসই ও বাস্তবানুগ শিক্ষাব্যবস্থা যা এ জাতির বৈষয়িক ও আধ্যাত্মিক ভবিষ্যৎ অগ্রগতির পথে সহায়ক। অধিকন্তু সে শিক্ষানীতি অপরাপর দেশের অনুকরণ না হয়ে হতে হবে স্বদেশের স্বাধীনতা, ধর্ম বিশ্বাস ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক। হ
লেখক : অর্থনীতির অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও ভাইস প্রিন্সিপাল, মহিলা
সরকারি কলেজ, কুমিল্লা


আরো সংবাদ



premium cement