সরকারের ঢালাও ঋণ গ্রহণে জনগণের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হচ্ছে : বিএনপি
- অনলাইন প্রতিবেদক
- ০৯ জুলাই ২০২৪, ২০:০৯
সরকার দেশ ও দেশের বাইরের ব্যাংকগুলো থেকে ঢালাওভাবে ঋণ গ্রহণের ফলে ঋণ ফাঁদ সৃষ্টি হচ্ছে এবং জনগণের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হচ্ছে বলে মনে করে দেশের প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপি।
তাই বিষয়টির বিস্তারিত তথ্যসমৃদ্ধ প্রতিবেদন তৈরি করে জনগণের সামনে নিয়ে আসার জন্য কর্মসূচি গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে।
সোমবার (৮ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত ভাচুর্য়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে দলটি।
ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। উপস্থিত ছিলেন জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহ উদ্দিন আহমেদ, বেগম সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
সভায় দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে অনুষ্ঠিত ঢাকাসহ সারাদেশের মহানগর ও জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশগুলো সফল করায় সন্তোষ প্রকাশ করা হয়। সিদ্ধান্ত হয়, দলীয় প্রধানের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণের জন্য ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন।
এছাড়া বলা হয়, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি, নজিরবিহীন দুর্নীতি, দেশের ও বাইরের ব্যাংকগুলো থেকে সরকারের ঢালাও ঋণ গ্রহণের ফলে ঋণ ফাঁদ সৃষ্টি হচ্ছে এবং জনগণের উপরে বাড়তি চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। এ বিষয়গুলোকে নিয়ে বিস্তারিত তথ্যসমৃদ্ধ প্রতিবেদন তৈরি করে জনগণের সামনে নিয়ে আসার জন্য লিফলেট বিতরণ, সমাবেশ, মিছিল ইত্যাদির মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধির বিষয়ে কর্মসূচি গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এছাড়া, সম্প্রতি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী কর্তৃক লালমনিরহাট ও ঠাকুরগাঁও সীমান্তে দুই বাংলাদেশীকে গুলি করে হত্যার তীব্র নিন্দা জানানো হয়। সীমান্ত হত্যা বন্ধের জন্য সরকারি কোনো উদ্যোগ না থাকায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করা হয় সভায়। সভা মনে করে, এই অবৈধ সরকার সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে ভারতের উপরে প্রয়োজনীয় চাপ সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হওয়ায় এ ধরনের হত্যাকাণ্ড ঘটছে। অবিলম্বে এই সীমান্ত হত্যা বন্ধ করার জন্য কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয় সভায়।