ঈদের খুশি বিত্তশালীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল : ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৯ জুন ২০২৪, ১২:০৭, আপডেট: ২৯ জুন ২০২৪, ১২:০৭
ঈদের খুশি সরকার সংশ্লিষ্ট বিত্তশালীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল, অপশাসন-দুশাসন, জুলুম-নির্যাতন, দুর্নীতি-লুটপাট ও সুশাসনের অভাবেই এবারের ঈদ পুরোপুরি আনন্দঘন ও অর্থবহ হয়ে ওঠেনি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
শনিবার (২৯ জুন) রাজধানীর মোহাম্মদপুরে একটি মিলনায়তনে বাংলাশে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের মোহাম্মদপুর উত্তর থানা আয়োজিত এক ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
থানা আমির মনিরুজ্জামান শামীমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- থানা নায়েবে আমির রবিউল ইসলাম রিজু ও সেক্রেটারি নজরুল ইসলামসহ থানা কর্মপরিষদ সদস্য ও ওয়ার্ড নেতৃবৃন্দ।
ড. রেজাউল করিম বলেন, দেশ ও জাতি এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। সরকারের অবৈধ ক্ষমতালিপ্সা ও রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ করার জন্যই পরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। তারা সুশাসন উপহার দিতে পারেনি বরং দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হয়েছে। সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা না বাড়লেও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। ফলে জনদুর্ভোগ চরমে। সঙ্গত কারণেই এবারের ঈদের খুশি পুরোপুরি সার্বজনীন হয়নি বরং তা সরকার সংশ্লিষ্ট বিত্তশালীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। তাই আগামীর ঈদ অর্থবহ করতে হলে জুলুমবাজ সরকারে পতনের কোনো বিকল্প নেই। তিনি সরকারের জুলুম-নির্যাতন মোকাবেলায় সকলকে রাজপথে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, জামায়াত একটি গণমুখী, আদর্শবাদী ও কল্যাণকামী রাজনৈতিক সংগঠন। আর এই কল্যাণকামীতার অংশ হিসেবে আমরা সুখে-দুঃখে সাধারণ মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি সব সময়। এবারের ঈদেও আমরা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে সাধ্যমতো কোরবানীর গোশত বিতরণ করেছি। এতে কেউ ন্যূনতম উপকৃত হলে আমাদের শ্রম সার্থক হয়েছে বলে মনে কবরো। তিনি সাধারণ মানুষের ঈদ পরবর্তী সমস্যা সমাধানে দলীয় নেতাকর্মীসহ সমাজের সক্ষম মানুষদের সহমর্মীতা ও আন্তরিকতার সাথে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
তিনি আরো বলেন, ‘দ্বীনই হচ্ছে মোমিনের জীবনোদ্দেশ্য। হাদিসে রাসূল সা: বলা হয়েছে, যার মধ্যে দ্বীন প্রতিষ্ঠার যযবা নেই তার মধ্যে ঈমানই নেই। তাই দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য ইসলামী দলের কর্মীদের দাওয়াতি কার্যক্রমের বাড়াতে হবে। প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছাতে দ্বীনের সুমহান আর্শের কথা। এজন্য কর্মীদেরকে জন সম্পৃক্ততা বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা শুনে তা সাধ্যমতো সমাধানেরও চেষ্টা চালাতে হবে। তাহলে দ্বীনের বিজয় অবশ্যাম্ভাবী হয়ে উঠবে। তিনি দ্বীন প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে সকলকে ময়দানে আপসহীন ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
তেজগাঁও উত্তরে ঈদ পুনর্মিলনী
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তেজগাঁও উত্তর থানার ঈদ পুনর্মিলনী থানা আমির হাফেজ আহসান উল্লাহর সভাপতিত্বে ও থানা সেক্রেটারি রাসিবুল হক নাসিফের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ হেমায়েত হোসাইন এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রচার-মিডিয়া সেক্রেটারি মু. আতাউর রহমান সরকার।
আরো উপস্থিত ছিলেন- তেজগাঁও উত্তর থানা কর্মপরিষদ সদস্য কাজী মুজিবুর রহমান, মো: সোলায়মান হোসেন, মো: রফিকুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার মহসিন খান, শ্রমিক নেতা খন্দকার শফিকুল আলম, বাবর আলী, ছাত্রনেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন, ওয়ার্ড সভাপতি ইউনুস শেখ ও নো’মান উদ্দীন প্রমুখ।-বিজ্ঞপ্তি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা