ঐক্যবদ্ধভাবে এই সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে : যুবদল সভাপতি
- অনলাইন প্রতিবেদক
- ০৮ জুন ২০২৪, ২৩:০৭
ঐক্যবদ্ধভাবে এই সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এখন নিয়ন্ত্রিত। এখন প্রয়োজন সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা।
শনিবার (০৮ জুন) চট্রগ্রাম মহানগর যুবদল আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
চলমান আন্দোলন সংগ্রামে কারাবরণকারী ও হামলা-মামলার শিকার যুবদল নেতৃবৃন্দের খোঁজ খবর নেয়া এবং সংগঠনকে সুসংগঠিত, শক্তিশালী এবং গতিশীল করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাথে তৃণমূলের মতবিনিময়ের ধারাবাহিকতায় চট্রগ্রাম মহানগরে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
টুকু বলেন, বাংলাদেশের অস্তিত্ব প্রশ্নের সম্মুখীন। এমন একটি শাসকগোষ্ঠী জোর করে ক্ষমতার দখল করে বসে আছে যারা বাংলাদেশ সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। অবৈধ সরকার বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। দেশে আইনের শাসন নেই, প্রশাসন এখন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। এটি জনগণের নিরাপত্তার জন্য নয়। খুনী, দুর্নীতিবাজ ও লুটেরাদের রক্ষা করাই যেন প্রশাসনের কাজ। বিচারপতিই স্বাধীন না। সরকারের বিরুদ্ধে রায় দিলে দেশ ত্যাগ করতে হয়।
বেনজীর-আজিজদের দুর্নীতির দায় আপনারা কখনোই এড়াতে পারবেন না। এ দায় এড়াতে পারে না সরকার। বেনজীর-আজিজের দায় এই সরকারের।
বাংলাদেশেন স্বাধীনতাকে বিকৃতি করা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধে যে অবদান রেখেছে সেই অবদান আওয়ামী লীগের পক্ষে রাখা সম্ভব ছিল না এখনো নাই। জিয়াউর রহমান শুধু স্বাধীনতার ঘোষণাই দেননি তিনি তার স্ত্রী সন্তানদেরকে রেখে সরাসরি যুদ্ধে চলে গিয়েছিলেন। এই কারণে তারা জিয়াউর রহমানকেও সহ্য করতে পারে না।
এমপি আনার হত্যা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আনার একসময় সন্ত্রাস চোরাকারবারী ছিলেন, তার বিরুদ্ধে ২২টি মামলা ছিল। আওয়ামী লীগে যোগদান করে মুক্তিযোদ্ধা হয়ে গেলেন। আনার যে খুন হয়েছে তা এখনো প্রমাণ করতে পারেনি। তার শরীরের টুকরো নাকি বাথরুমে পাওয় যায়। আর যদি খুন হয়েই থাকে তাহলে তাকে খুনের দায়ে যাদের আটক করা হয়েছে খুনীরা কেনো তাকে খুন করল তা কেনো প্রকাশ করছেন না?
তিনি বলেন, আমরা সবাই একসাথে যুগপৎ আন্দোলন করছি। আমাদের অধিকার ফিরিয়ে আনা, ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনা, বেঁচে থাকার অধিকার নিশ্চিত করা, কথা বলার অধিকার নিশ্চিত করা আমাদের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে এবং এগুলোই আমাদের অর্জন করতে হবে।
ঐক্যবদ্ধভাবে এই সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করতে হবে সেই সাথে ভারতীয় পণ্য বর্জন করতে হবে। তাহলে আমরা হারানো গণতন্ত্র ফেরত পাব।
চট্রগ্রাম মহানগর যুবদল সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তির সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবদল সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন, চট্রগ্রাম বিভাগীয় সহ-সভাপতি ও মহানগর যুবদল সাধারণ সম্পাদক মো: সাহেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: ফিরোজ আব্দুল্লাহ, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কামরুজ্জামান নান্নু, চট্রগ্রাম উত্তর জেলা যুবদল সভাপতি মো: জসিমউদ্দীন, দক্ষিণ জেলা যুবদল সভাপতি শাজাহান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মো: আজগর, উত্তর জেলা যুবদল সাধারণ সম্পাদক মুরাদ চৌধুরী প্রমুখ।