শপথ গ্রহণের পরই শেখ হাসিনা-নরেন্দ্র মোদির বৈঠক
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৮ জুন ২০২৪, ২২:৩৩, আপডেট: ০৮ জুন ২০২৪, ২২:৪৩
রোববার সন্ধ্যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে টানা তৃতীয় মেয়াদে শপথ নিচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে দিল্লি পৌঁছেছেন। শপথ গ্রহণের পর শেখ হাসিনার সাথে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর একান্তে বৈঠকের কথা রয়েছে।
রোববার রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, ভুটান, নেপাল, মরিশাস এবং সেশেলসের শীর্ষ নেতারাও যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানে ৮ হাজার জনের বেশি বিশিষ্টজনের উপস্থিতি দেখা যাবে। এছাড়াও নেতারা রাষ্ট্রপতি শ্রীমতি দ্রৌপদী মুর্মুর আয়োজিত সন্ধ্যায় ভোজসভায় যোগ দেবেন।
শেখ হাসিনা আজ সন্ধ্যায় নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার আয়োজিত নৈশভোজে যোগ দেন। আগামীকাল রোববার সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগদানের পর নরেন্দ্র মোদির সাথে ওয়ান-টু-ওয়ান বৈঠক করবেন। পরে তিনি ভারতের রাষ্ট্রপতির দেয়া রাষ্ট্রীয় নৈশভোজে যোগ দেবেন।
সোমবার বিকেল ৫টায় (নয়া দিল্লির সময়) ঢাকার উদ্দেশে নয়াদিল্লি ত্যাগ করার কথা রয়েছে এবং ওই দিন রাত ৮টায় (বাংলাদেশ সময়) ঢাকা পৌঁছার কথা রয়েছে।
এর আগে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট প্রায় দেড় ঘণ্টা আকাশে ওড়ার পর আজ সকাল ১১টা ৫১ মিনিটে (স্থানীয় সময়) পালাম এয়ার ফোর্স স্টেশন, ভিভিআইপি বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
পালাম বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব (সিপিভি ও ওআইএ) মুক্তেশ পরদেশী, বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো: মুস্তাফিজুর রহমান স্বাগত জানান।
এর আগে, গত বুধবার টেলিফোনে আলাপের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানান এবং শেখ হাসিনা আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন।
মোদি ৯ জুন শপথ নিতে চলেছেন। এর আগে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ১৮তম লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ ২৯৩টি আসন জিতেছে এবং নির্বাচনে বিরোধী ইন্ডিয়া ব্লক ২৩৪টি আসন পেয়েছে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন জানানো প্রথম বিদেশী নেতাদের অন্যতম। যা দুই নেতার মধ্যে ব্যক্তিগত সম্পর্কের উষ্ণতা প্রতিফলিত করে।
অভিনন্দন বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের নেতা হিসাবে আপনি ভারতের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক।’
ভারতের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর তথ্য অনুসারে শেখ হাসিনা বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ’র বিজয়ের জন্য মোদিকে টেলিফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
নির্বাচনে বিজয়ের পর শেখ হাসিনার উষ্ণ শুভেচ্ছার জন্য মোদি তাকে ধন্যবাদ জানান।
মোদি বলেন,‘ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে, যা গত এক দশকে অভূতপূর্বভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।’
এক্স-এ শেয়ার করা এক বার্তায় মোদি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে জনগণকেন্দ্রিক অংশীদারিত্ব আরো জোরদার করতে তিনি একসাথে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছেন।
দুই নেতা বিকশিত ভারত ২০৪৭ এবং স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ অর্জনের লক্ষ্যে নবায়নকৃত ম্যান্ডেটের আওতায় ঐতিহাসিক ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে আরো গভীর করার জন্য একসাথে কাজ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
সূত্র : বাসস
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা