১৭ জুন ২০২৪
`

এমপি আনার হত্যা : ভারতের আদালতে ‘কসাই’ জিহাদ

- সংগৃহীত

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডে বৃহস্পতিবার ভারতের বনগাঁ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে জিহাদ হাওলাদার নামে বাংলাদেশের এক যুবককে। তিনি পেশায় কসাই।

শুক্রবার সকালে জিহাদকে বারাসত আদালতে হাজির করেছে সিআইডি।

জিহাদ হাওলাদার বাংলাদেশী নাগরিক এবং তিনি অবৈধভাবে ভারতের মুম্বাইতে বাস করতেন। তার আদি বাসস্থান বাংলাদেশের খুলনা জেলার দিঘলিয়া থানার অন্তর্গত বারাকপুরে।

বারাসত আদালতে জিহাদকে হাজির করানো হলে তাকে ঘিরে ধরেন সাংবাদিকেরা। একটাই প্রশ্ন বারবার করা হয় তাকে, ‘কেন মারলে?’ জিহাদের মুখ কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিল। পুলিশের গাড়ি থেকে নেমে তিনি আদালতে ঢুকে যান। কোনো প্রশ্নের জবাব দেননি তিনি।

সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করার পর জিহাদকে ভাঙড়ের একটি জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এমপি আনারকে হত্যার পর সেখানেই লাশের অংশ ফেলা হয়েছে বলে জেরায় উঠে এসেছে। কিন্তু রাতের অন্ধকারে সেখান থেকে কিছুই মেলেনি। তাই শুক্রবার জিহাদকে লাশের অংশ উদ্ধারের প্রয়োজনেই হেফাজতে নিজেদের চাইতে পারে সিআইডি।

এক্ষেত্রে অভিযুক্তেরা কোনোভাবে তদন্তকারীদের ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হবে। সেই সূত্রেই জিহাদকে হেফাজতে প্রয়োজন। রহস্য উদ্ঘাটনের স্বার্থেই তাকে ১৪ দিনের জন্য হেফাজতে চাওয়া হতে পারে।

সিআইডি সূত্র জানায়, হানিট্র্যাপের শিকার হয়েছিলেন বাংলাদেশের সংসদ সদস্য। সিলাস্তি রহমান নামের এক নারীকে সামনে রেখে তাকে ফাঁদে ফেলা হয়েছিল। নিয়ে যাওয়া হয়েছিল নিউটাউনের ওই আবাসনে। তারপর সেখানে তাকে হত্যা করা হয়। জিহাদের বিরুদ্ধে খুনের জন্য অপহরণ, তথ্য নষ্ট করা, ভুল তথ্য দেয়া, খুন এবং অপরাধের চক্রান্ত করার ধারা যোগ করা হয়েছে।

এই ঘটনায় বাংলাদেশ পুলিশ এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে সিআইডির একটি দল বৃহস্পতিবারই ঢাকায় পৌঁছেছে। সন্দেহভাজনদের ঢাকায় জেরা করা হবে।

সিআইডি জানতে পেরেছে, হত্যাকাণ্ডের অন্তত দু’মাস আগে মুম্বাই থেকে কলকাতায় নেয়া হয়েছিল কসাই জিহাদকে।

সিআইডির এক শীর্ষ কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সংসদ সদস্য আনারকে হত্যার পরে কিভাবে লাশ লোপাট করা হয়েছিল, তার ভয়ঙ্কর বর্ণনা দিয়েছেন।

গ্রেফতার হওয়া জিহাদ সিআইডির জেরায় স্বীকার করেন, আখতারুজ্জামানের নির্দেশে ওই ফ্ল্যাটে সে এবং আরো চারজন বাংলাদেশী নাগরিক এমপি আনারকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন।

সিআইডির ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘হত্যা করার পরে লাশ থেকে চামড়া ছাড়িয়ে শরীরে মাংস আলাদা করে নেয় তারা। শরীরের মাংস এমনভাবে টুকরো করা হয় যেন তাকে চেনা না যায়। মাংস-খণ্ডগুলি পলি প্যাকেটে ভরা হয়। হাড়ও ছোট টুকরো করা হয়। এরপরে ফ্ল্যাট থেকে প্যাকেটগুলো বের করে বিভিন্নভাবে কলকাতার নানা জায়গায় ফেলে দেয়া হয়।’
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা ও অন্যান্য


আরো সংবাদ



premium cement