ঢাকা মেডিক্যাল কেন্দ্রিক কোনো দালাল থাকবে না : বাহাউদ্দিন নাছিম

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম (এমপি) বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষকে ভালো রাখার জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যার ঐকান্তিক ইচ্ছা, প্রচেষ্টা, নিষ্ঠা, সততা ও ভালোবাসার যে নিদর্শন ও আন্তরিকতা এটি বিরল। আমরা যদি তার দিকে তাকিয়ে সবাই একটু একটু করে পরিবর্তন আনতে পারি তাহলে সে পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে দেশের মানুষের কল্যাণ সাধিত হবে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ম্যানেজিং কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আমরা চাই প্রতিটি মানুষই চিকিৎসা পাক। একজন মানুষও বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর মুখে পতিত হোক সেটি আমরা চাই না। এটি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল। তিনি বৈষম্য দূর করার জন্য, মানুষের দারিদ্রতা কমিয়ে আনার জন্য ও চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার জন্য এবং মানুষের চাহিদাগুলো পূরণ করার জন্যই বাংলাদেশ স্বাধীন করেছেন। আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাই। তার সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা দেশের মানুষকে ভালো রাখার জন্য তার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়গুলো ব্যয় করে যাচ্ছেন।

ঢাকা ৮ আসনের এই সংসদ সদস্য বলেন, ঢাকা মেডিক্যাল বাংলাদেশের সকল মানুষের চিকিৎসা পাওয়ার আস্থার জায়গা। বাংলাদেশের কোথাও যে রোগী চিকিৎসা পান না তিনিও ঢাকা মেডিক্যাল থেকে কখনো ফেরত যান না। নিজেদের সামর্থের মধ্যে ঢাকা মেডিক্যালের চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মানুষের জন্য কাজ করেন। তবে রোগীরা যাতে আরো ভালো সেবা পান, ডাক্তার নার্সসহ চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট সবাইকে সেজন্য আরো সচেষ্ট হতে হবে।

তিনি বলেন, ১৯৪৬ সালে ঢাকা মেডিক্যাল ২৫০ শয্যা নিয়ে কর্যক্রম শুরু করে। ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকা মেডিক্যাল কলেজকে ১০৫০ শয্যায় উন্নীত করেন এবং ২০১৩ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজকে ২৬০০ শয্যায় উন্নীত করেন। বর্তমানে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ১২০টি আইসিইউ বেড আছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ যাতে আরো উন্নত ও বিস্তৃত চিকিৎসা সেবা দিতে পারে সেজন্য বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

বৈঠক শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ কেন্দ্রিক কোনো দালাল চক্র থাকবে না। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় তাদেরকে নির্মূল করা হবে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ প্রাঙ্গণে কোনো অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেট যাতে না থাকে সেজন্য ওয়ান স্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে রোগীর চাহিদার ওপর ভিত্তি করে নির্ধারিত ভাড়ায় এম্বুলেন্স রোগী পরিবহন করবে। ঢাকা মেডিক্যাল যাতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে সেজন্য সরকারি বেসরকারি উদ্যোগে এবং এনজিওর সমন্বয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চলবে। ঢাকা মেডিক্যালকে ৫০০০ বেডে উন্নীতকরণের উন্নয়ন প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নে জোর দেয়া হবে।

তিনি বলেন, হাসপাতালের শূন্য পদে নিয়োগ, নতুন পদ সৃষ্টি, হাসপাতালের মূল প্রবেশ মুখে হকার উচ্ছেদ, হাসপাতালের যুগপোযোগী পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ, স্বাস্থ্যকর্মীদের যাতায়াতের জন্য যানবাহনের ব্যবস্থা করাসহ নানা বিষয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ম্যানেজিং কমিটি কাজ করছে।

সভায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব ও পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: আসাদুজ্জামান, অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শফিকুল আলম চৌধুরী, সিনিয়র সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদ, স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রতিনিধি, সমাজসেবা অধিদফতরের প্রতিনিধিসহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।