সরকার সহিংসতা করে দায় বিএনপির ওপর চাপিয়েছে : নজরুল ইসলাম খান
- অনলাইন প্রতিবেদক
- ১৩ মে ২০২৪, ১৯:৩৯
সরকার সহিংসতা করে এর দায় বিএনপির ওপর চাপিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
এ সময় তিনি জানান, জনগণের সমস্যা সমাধানে এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বিএনপির কর্মসূচি চলবে।
সোমবার (১৩ মে) বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের অফিসে দলের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘বিএনপি ও আমাদের জোট কেউ সহিংস আন্দোলনে বিশ্বাস করি না। সহিংসতা সরকার করে এবং সেটার দায় অতীতে আমাদের ওপর চাপিয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীকে হত্যা করছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করেছে। কিন্তু তারা যে অপরাধ করে তার দায় বিরোধীদের ওপর চাপাতে চায়। আগামী দিনেও সে রকম চক্রান্ত বা ষড়যন্ত্র আছে তাদের। সেটা আগেই বলার চেষ্টা করছে তারা। তবে এতে আমরা ভীত নই। জনগণের সমস্যা সমাধানে এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আমাদের কার্যক্রম চলবে।’
বৈঠকের প্রসঙ্গ নিয়ে তিনি বলেন, ‘সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সসমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছি। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনজীবন বিপর্যস্ত এ নিয়ে আলোচনা করেছি। বিদ্যুৎ, পানি সংকট ও যোগাযোগ সীমিত এসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সর্বোপরি অর্থনীতি নিয়ে দেশের যে সংকট, টাকা অবমূল্যায়ন, ব্যাংকসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান লুট, রাষ্ট্রীয় ঋণের দ্রুত বৃদ্ধি এ বিষয়গুলো আলোচনায় এসেছে।’
‘এছাড়া সীমান্তে মানুষ হত্যা, মিয়ানমার সীমান্তে যে বিষয়গুলো ঘটছে তা নিয়ে আলোচনায় একমত হয়েছি জনগণকে সম্পৃক্ত করে আমরা কিভাবে আগামী দিনে অগ্রসর হতে পারি। আমরা কর্মসূচি গ্রহণ করার চিন্তা করছি। আমাদের জোটগুলো নিজেরা বসবেন এবং আলোচনা করবেন। তারা আমাদের সাথে আবার বসবেন। আরো যেসব জোটের সাথে বসছি বা বসবো তারপরে কর্মসূচির কথা আপনাদের জানাবো। বিষয়গুলোতে একমত হয়েছি যে দেশ ও দেশের মানুষ আজ আরো বেশি করে সংকট ও সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। তারা এ অবস্থা থেকে মুক্তি চায়,’ বলেন নজরুল ইসলাম খান।
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র বাংলাদেশ আগমন প্রসঙ্গে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘ডোনাল্ড লু’র আসা নিয়ে কিছু আসে-যায় না। লু’র আসাটা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ না। কুকি চিনের আচরণ নিয়ন্ত্রণ করতে সরকার ব্যর্থ। লু তো অনেক দূরের কথা। আমরা শঙ্কিত দেশের অবস্থা নিয়ে। বাংলাদেশের মানুষ তাদের সমস্যা সব সময়ে নিজেরা করেছে। ’৬৯-এ গণঅভ্যুত্থান, ৯০-এর গণঅভ্যুত্থান, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ আমরাই করেছি। যারা মানুষের ন্যায্য আন্দোলন সমর্থন করতে চায় আমরা তাদের ধন্যবাদ জানাই। আর কেউ বিরোধিতা করলে তার নিন্দা জানাই।’
বৈঠকে জরুল ইসলাম খান ছাড়াও বিএনপির পক্ষ থেকে আরো উপস্থিত ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মো: শাহজাহান।
জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের যারা উপস্থিতি ছিলেন তারা হলেন, এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাগপার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান, বিকল্পধারা বাংলাদেশ মহাসচিব শাহ আহমেদ বাদল, গণদলের চেয়ারম্যান এ টি এম গোলাম মাওলা চৌধুরী, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান ক্বারী মো: আবু তাহের, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান এম এন শাওন সাদেকী, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল সাধারণ সম্পাদক কমরেড ডা: সৈয়দ নুরুল ইসলাম।