১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

সকল দল-মতের মানুষকে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান মির্জা ফখরুলের

সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছেন মির্জা ফখরুল - ছবি : নয়া দিগন্ত

সকল দল ও মতের মানুষদের, বিশেষ করে শ্রমিক সংগঠনগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সকল রাজনৈতিক দল ও মতবাদের মানুষরা ঐক্যবদ্ধ হোন। বিশেষ করে শ্রমিক সংগঠনগুলো, আপনাদের অধিকার ফিরিয়ে আনার সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন। আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমাদের স্থির লক্ষ্য ফিরিয়ে আনব। আন্দোলনের মধ্য দিয়েই ভোটের অধিকার, শ্রমিকের অধিকার ফিরিয়ে আনব। এই হোক আজকের সমাবেশের মূল লক্ষ্য।

আজ নয়া পল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে শ্রমিক দলের ডাকা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা। সভাপতিত্ব করেন শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন। সমাবেশ শেষে শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি নাইটিঙ্গেল থেকে শুরু হয়ে ডানে মোড় ঘুরে আরামবাগ হয়ে নয়া পল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে এসে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, এমন সময় আমরা মে দিবস পালন করছি। শ্রমিক তার শ্রমের মর্যাদা পান না। শ্রমিক তার ন্যায্য মূল্য পান না। গোটা দেশটা দৈত্য দানবের কাছে তছনছ হচ্ছে। গণতন্ত্রের অধিকার প্রতিষ্ঠার নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বন্দী।

প্রধানমন্ত্রী বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আপনারা (প্রধানমন্ত্রী) বুঝতে পান না। শুধু অতি বাম ডান নয়, দেশের সকল মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ। তারা জানেন, আপনারা থাকলে তাদের অধিকারটুকু তারা পাবে না।

আবার বলেছেন, আপনার দোষ কী এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, আপনারা নিজেরাই প্রার্থী দিয়ে ডামি নির্বাচন করেছেন।

অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আরো ত্যাগ স্বীকার করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, শুধু বিএনপি নয়, সকল স্বাধীনতাকামী মানুষ আবার জেগে উঠছে। আমি বার বার বলি, বিএনপি হলো ফিনিক্স পাখি। আবার জেগে উঠে, পাখা গজিয়ে মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, সুন্দর স্লোগানে বাংলাদেশের মানুষের মুক্তি মিলবে না। এই সরকারের পতন না ঘটিয়ে শ্রমজীবী মানুষের মুক্তি মিলবে না। সরকার আমাদের আন্দোলনকে নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে নস্যাৎ করেছে। আমরা অনেক চেষ্টা করেছি। পুলিশ দিয়ে, বোমা ও টিয়ারশেল মেরে আমাদের ওপর হামলা করে নিষ্পেষিত করার চেষ্টা করেছে সরকার।

২৮ অক্টোবর আমাদের ওপর হামলা না হলে আমরাও জয়ী হতাম জানিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদের জেলে পাঠিয়ে স্মার্ট হয়েছে। বাস্তবতায় কোনো স্মার্ট করতে পারেনি সরকার।

স্থায়ী কমিটির সদস্য ড আব্দুল মঈন খান বলেন, শ্রমিকের অধিকার, মানুষের ভোটের অধিকার ও গণতন্ত্রের অধিকার এ দেশের মানুষের হাতে ফিরে দিতে হবে।

মানুষের অধিকারের সংগ্রাম কোনো দিন সহজ ছিল না জানিয়ে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় রক্ত দিতে হয়েছে। এই সরকার তাঁত শিল্প, পাটশিল্প ধ্বংস করেছে। বর্তমান সরকার বুলেটের জোরে ক্ষমতায় এসেছে, মানুষের ভোটে নয়।

বক্তব্য রাখেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব এমরান সালেহ প্রিন্স, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, মহানগরের উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক সহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।


আরো সংবাদ



premium cement
স্বাধীনতা যুদ্ধের সঠিক, প্রকৃত ইতিহাস লেখা হয়নি: বদরুদ্দীন উমর রাজশাহীতে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ২ কর্মী গ্রেফতার জামায়াত নেতা ড. তাহের সম্পর্কে সাংবাদিক ইলিয়াসের মন্তব্যের প্রতিবাদ গাজীপুরে নতুন ট্রেন ও অসমাপ্ত বিআরটি লেনে বিআরটি বাস সার্ভিসের উদ্বোধন বেনজীর ও মতিউরের বিরুদ্ধে দুদকের ৬ মামলা ছিনতাই রোধে রাজধানীতে শেষ রাতে পুলিশি টহল বাড়ানোর নির্দেশ পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্টের সাথে বিএনপি নেতাদের সৌজন্য সাক্ষাৎ জামায়াতের একজন নেতাও মানবতাবিরোধী অপরাধ করেনি: ড. মাসুদ মালয়েশিয়ায় বেতন না পেয়ে কোম্পানির অফিস ঘেরাও-অবরোধ, যা বলল বাংলাদেশ দূতাবাস সংস্কার বা পরিবর্তন সবকিছু শুরু হয়েছিল বিএনপির হাত ধরেই : মির্জা ফখরুল ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে নতুন ভর্তি ৩৭৩

সকল