দেশকে অপশাসন মুক্ত করতে আলেমদের ভূমিকা রাখতে হবে : ড. রেজাউল করিম
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২৫
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, ‘আলেম সমাজ উম্মাহর পদপ্রদর্শক ও জাতির কাণ্ডারী। সমাজের সবচেয়ে প্রভাবশালী ও সম্মানীয় হচ্ছেন আলেম সমাজই। তাই তাদের পক্ষে এমন কোনো কাজ করা উচিত হবে না যাতে জাতি বিভক্ত এবং জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়।’
তিনি ক্ষুধা, দারিদ্র্য, অপশাসন-দুঃশাসন মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে দেশের আলেম সমাজ ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানান।
মঙ্গলবার সকালে লক্ষ্মীপুরের স্থানীয় একটি মিলনায়তনে লক্ষ্মীপুর শহর ১১ নম্বর ওয়ার্ড উন্নয়ন ফোরাম আয়োজিত স্থানীয় ওলামায়ে কেরামের ঈদ প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় তিনি পবিত্র মাহে রমজানের তাকওয়া ও তাজকিয়ার শিক্ষা বাস্তবজীবনে প্রতিফলনের মাধ্যমে দেশের এই ক্রান্তিকালে জাতিকে দিকনির্দেশনা দিতে আলেম সমাজকেই অকূতোভয় কাণ্ডারীর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
ড. রেজাউল করিম বলেন, “আলেমরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। হাদিসে রাসূল সা.-এ তাদের নায়েবে নবী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। অতীতে দেশ ও জাতির যেকোনো ক্রান্তিকালে আলেম সমাজই জাতিকে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন এবং এখনো দিয়ে যাচ্ছেন। আর আলেমরাই আল্লাহকে সবচেয়ে বেশি ভয় করেন। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পবিত্র কালামে হাকিমের সূরা আল ফাতিরের ২৮ নম্বর আয়াতে ইরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে কেবল আলেমগণই আল্লাহকে বেশি ভয় করেন।’ এই আয়াতের ব্যাখ্যায় হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন, ‘আলেম যিনি আল্লাহর সাথে কাউকে শরিক করেন না। আল্লাহ তা’য়ালার কৃত হালালকে হালাল এবং হারামকে হারাম মনে করেন। তার আদেশ যথাযথভাবে পালন করেন। আল্লাহর সাথে সাক্ষাতের ব্যাপারে দৃঢ় বিশ্বাস রাখেন এবং বিশ্বাস রাখেন যে তার আমলের হিসাব হবে।’ (ইবনু কাসীর) তাই আলেম সমাজকে জালিমের সকল রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে দেশ, জাতি, ইসলাম ও উম্মাহর কল্যাণে ময়দানে আপসহীন ভূমিকা পালন করতে হবে।”
তিনি অগণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনে আলেম সমাজকে জনগণের সাথে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি আরো বলেন, “আলেমদের কাজই হলো দেশ, জাতি ও উম্মাহ ঐক্যবদ্ধ করা। সঙ্গত কারণেই তাদের উচিত ইখতিলাফি বিষয়ে উপসংহার বা প্রান্তিকতায় না গিয়ে ইখতিলাফকে ইখতিলাফের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা। যেসব বিষয়ে ইমাম এবং মুজতাহিদগণ একমত হতে পারেননি, সেসব বিষয় নিয়ে টানাহেঁচরা করলে নিজেদের মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টি হবে। এতে উপকৃত হয় ইসলামবিরোধী ও কুফরী শক্তি। মনে রাখতে হবে, ইসলামে ইখতিলাফের গ্রহণযোগ্যতা থাকলেও বিভেদ সৃষ্টি করা হারাম। এ প্রসঙ্গে তিরমিজি শরীফের ৩১৩৮ নম্বর হাদিসে বলা হয়েছে, কা’ব বিন মালেক রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইলম শিখে এ জন্য যে তার দ্বারা সে আলেমদের সাথে বিতর্ক করবে ও মুর্খদের সাথে ঝগড়া করবে কিংবা মানুষকে তার দিকে আকৃষ্ট করবে, আল্লাহ তাকে জাহান্নামে প্রবেশ করাবেন।”
ফোরামের সভাপতি মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন লক্ষ্মীপুর জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা নাসির উদ্দিন মাহমুদ। আরো বক্তব্য রাখেন শহর আমির অধ্যক্ষ আবুল ফারাহ নিশান, কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মাদরাসার মুহতামিম, অধ্যক্ষ ও মসজিদের খতিব-ইমামগণ।
ঈদ প্রীতি সমাবেশের বক্তব্যে সম্মানিত ওলামায়ে কেরাম বৃহত্তর ইসলামী ঐক্যের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। সমাবেশ শেষে উপস্থিত সকলকে ক্রেস্ট ও উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা