বাংলা ইনসাইডারসহ কিছু গণমাধ্যমে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:২০
গতকাল ৭ এপ্রিল বিতর্কিত অনলাইন পোর্টাল বাংলা ইনসাইডার এবং দৈনিক শিক্ষা'য় 'বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে সক্রিয় হচ্ছে শিবির' শীর্ষক প্রতিবেদনে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম বলেন, নীতিহীন ও হলুদ সাংবাদিকতার নিকৃষ্ট নজির হলো দলীয় মনোভাবাপন্ন নাম সর্বস্ব এ গণমাধ্যম দুটি। প্রতিবেদনে ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ সংগঠন উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ইফতারকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ক্যাম্পাসে ছাত্রশিবির সক্রিয় হচ্ছে, বুয়েটে তৎপর হচ্ছে ছাত্রশিবির। কিন্তু এসব বানোয়াট অভিযোগের পক্ষে প্রতিবেদক তার মস্তিস্ক বিকৃত শব্দ প্রয়োগ ছাড়া আর কোনো তথ্য দিতে পারেনি।
অন্যদিকে পুরো প্রতিবেদনের ভাষা সম্পূর্ণ অপেশাদার, আক্রমণাত্মক ও বিদ্বেষপূর্ণ। যা প্রতিবেদক ও কর্তৃপক্ষের নিন্ম মানষিকতার বহিপ্রকাশ ঘটেছে। এগুলো কোনোভাবেই সাংবাদিকতার ভাষা হতে পারে না। বরং সাংবাদিকতার আড়ালে দলীয় বিদ্বেষ ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার প্রতিফলন হয়েছে।
আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, ছাত্রশিবির এদেশে আইনি ও সাংবিধানিকভাবে বৈধ ছাত্রসংগঠন। একটি বৈধ সংগঠনকে নিষিদ্ধ সংগঠন বলা মানে সংবিধান অবমাননা। ছাত্রজনতার সম্পৃক্ততা ও ভালবাসা নিয়ে ছাত্রশিবির প্রকাশ্যে তার সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। আর ইফতার মাহফিল ছাত্রশিবিরের সক্রিয় হওয়ার মাধ্যম নয় বরং তা নিয়মিত কর্মসূচির অংশ যা প্রতি বছরই সারাদেশে ছাত্রশিবির পালন করে থাকে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে নানা প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে ছাত্রশিবিরের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে। অবৈধ সরকারের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ও দলকানা গণমাধ্যমের তথ্য সন্ত্রাস ছাত্রশিবিরের পথ চলাকে এক মুহুর্তের জন্য দমিয়ে দিতে পারেনি। ছাত্রশিবির শুধু বিভিন্ন ক্যাম্পাসে নয় সব সময় সর্বত্র সক্রিয় ছিল, আছে এবং থাকবে ইনশাআল্লাহ।
অন্যদিকে ছাত্রশিবির ছাত্রসমাজের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। ২০১৯ সালে আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পর বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে বুয়েট প্রশাসন ক্যাম্পাসে সকল প্রকার সাংগঠনিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করে। শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সম্মান রেখে তখনই ছাত্রশিবির বুয়েট শাখা বিলুপ্ত করে।
নেতারা বলেন, অতীতেও অসদুদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে অবৈধ সরকার বাংলা ইনসাইডার এবং দৈনিক শিক্ষা'র মত কিছু দলবাজ ও হলুদ মিডিয়াকে ব্যবহার করেছে এবং এখনো করছে। কিন্তু ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে এসব দলকানা গণমাধ্যমের অপপ্রচার দেশ-বিদেশে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান হয়েছে।
নেতারা আরো বলেন, ছাত্রশিবির তার প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই দেশের ছাত্রসমাজকে সাথে নিয়ে তার নিয়মতান্ত্রিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, যার সাক্ষী এদেশের আপামর ছাত্রজনতা। আমরা বলব, বাংলা ইনসাইডার এবং দৈনিক শিক্ষা'র বিতর্কিত অবস্থান জনগণের কাছে পরিষ্কার। এমন নির্লজ্জ অপপ্রচার অব্যাহত রাখলে জনগণের কাছে তাদের নীতিহীন অবস্থান আরো পরিষ্কার হবে।
নেতাদ্বয় এ ধরনের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন প্রতিবেদন প্রকাশ থেকে বিরত থাকতে সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক ও গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি