১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

থাইল্যান্ড-সৌদি আরব ও গাম্বিয়া সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা - সংগৃহীত

চলতি এপ্রিল ও আগামী মে মাসে বহুপক্ষীয় ফোরামের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে থাইল্যান্ড, সৌদি আরব ও গাম্বিয়া সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) ঢাকার কর্মকর্তারা জনিয়েছেন, তার এই ত্রিদেশীয় সফরের কর্মসূচি চূড়ান্ত করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে।

আগামী ২২ থেকে ২৬ এপ্রিল থাইল্যান্ডের ব্যাংককে জাতিসঙ্ঘ সম্মেলন কেন্দ্রে ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিকের (এসকাপ) অষ্টম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে।

প্রধানমন্ত্রী আগামী ২৪ এপ্রিল ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

‘লিভারেজিং ডিজিটাল ইনোভেশন ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ইন এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে অষ্টম অধিবেশনটি টেকসই উন্নয়নের জন্য ২০৩০ অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করবে। একই সাথে এটি ডিজিটাল উদ্ভাবনকে কাজে লাগাতে অঞ্চলব্যাপী সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ জোরদার করারও একটি সুযোগ হবে।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ডিজিটাল উদ্ভাবন কিভাবে আরো অন্তর্ভুক্তিমূলকভাবে অবদান রাখতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করতে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সরকারি নেতা ও মন্ত্রী এবং অন্যান্য মূল অংশীজনদের এই অধিবেশনে একত্রিত করবে।

এছাড়াও অংশগ্রহণকারীরা ডিজিটাল উদ্ভাবনের রূপান্তরমূলক সম্ভাবনাকে সম্পূর্ণরূপে উন্মোচনের সুযোগগুলো চিহ্নিত করতে এবং টেকসই উন্নয়নে তাদের অবদান জোরদার করার পন্থাগুলো নিয়ে আলোচনা করতে সক্ষম হবে।

একটি ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা বিস্তৃত অংশীদার এবং স্টেকহোল্ডারদের সাথে যুক্ত হওয়ার সুযোগ করে দেবে, যা ডিজিটাল উদ্ভাবনগুলো প্রদর্শন করবে। যা ইতোমধ্যে এই অঞ্চল জুড়ে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অবদান রাখছে।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী আগামী ২৮-২৯ এপ্রিল রিয়াদে অনুষ্ঠেয় ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ‘গ্লোবাল কোলাবরেশন, গ্রোথ অ্যান্ড এনার্জি ফর ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক বিশেষ বৈঠকে যোগ দেবেন।

প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২৮ এপ্রিল তিনি রিয়াদে থাকবেন।

এই বিশেষ বৈঠক সরকারি ও বেসরকারি খাতের নেতাদেরকে অভিন্ন বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়তা করবে।

বৈঠকটি এই অঞ্চল এবং এর বাইরেও ফোরামের মূল উদ্যোগগুলোকে এগিয়ে নেবে। এর লক্ষ্য ক্রমবর্ধমান উত্তর-দক্ষিণ বিভাজন দূর করা, যা উদীয়মান অর্থনৈতিক নীতি, শক্তি রূপান্তর এবং ভূ-রাজনৈতিক অভিঘাতের মতো বিষয়গুলো আরো প্রশস্ত হয়েছে।

এটি সমস্ত খাত এবং শিল্প থেকে ৭০০ জনেরও বেশি নেতাকে একত্রিত করবে, অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বিশ্বব্যাপী সহযোগিতাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে একটি বিস্তৃত সংলাপ সক্ষম করবে, টেকসই উন্নয়ন এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতিকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি বিশ্বব্যাপী শক্তি রূপান্তরকে উন্নীত করবে, আরো ন্যায়সঙ্গত এবং সহনশীল বিশ্ব অর্থনীতি গঠনে ফোরামের কাজকে সমর্থন করবে।

অন্যদিকে গাম্বিয়া ৪-৫ মে বাঞ্জুলে ১৫তম ওআইসি শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের জন্য প্রস্তুত।

গাম্বিয়া বলেছে, বাঞ্জুলে অনুষ্ঠেয় ১৫তম ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনের সাফল্য নিশ্চিত করতে তারা সম্ভাব্য সবকিছু করবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওআইসি সম্মেলনে যোগ দিতে আগামী ৩ মে গাম্বিয়া যাবেন। ৭ মে প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
সূত্র : ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement
হাসিনার রাজনৈতিক মৃত্যু হয়েছে, ফিরে আসার সুযোগ নেই : সোহেল আমাদের সংবিধান ও পার্বত্য শান্তিচুক্তি চব্বিশের নতুন বাংলাদেশে বিজয় দিবস বাংলাদেশের ধর্মীয় শিক্ষার গুরুত্ব চীনের রাষ্ট্রদূতের সাথে মঈন খানের বৈঠক বীর মুক্তিযোদ্ধারা চিরদিন স্মরণীয় হয়ে থাকবে : অ্যাডভোকেট জুবায়ের ভারতীয় চলচ্চিত্রে বাংলাদেশকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন! স্বাধীনতা যুদ্ধের সঠিক, প্রকৃত ইতিহাস লেখা হয়নি: বদরুদ্দীন উমর রাজশাহীতে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ২ কর্মী গ্রেফতার জামায়াত নেতা ড. তাহের সম্পর্কে সাংবাদিক ইলিয়াসের মন্তব্যের প্রতিবাদ গাজীপুরে নতুন ট্রেন ও অসমাপ্ত বিআরটি লেনে বিআরটি বাস সার্ভিসের উদ্বোধন

সকল