২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের জন্য সংগঠন মজবুত করতে হবে : শামসুল ইসলাম

কথা বলছেন সাবেক এমপি আ.ন.ম শামসুল ইসলাম - ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক এমপি আ.ন.ম শামসুল ইসলাম বলেছেন, শ্রমজীবী মানুষরা সর্বক্ষেত্রে অধিকার বঞ্চিত। তাদের অধিকার আদায়ের জন্য সংগঠনকে সম্প্রসারণ ও মজবুত ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে হবে। এক্ষেত্রে দায়িত্বশীলদের পরিকল্পিতভাবে কাজ করতে হবে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি মিলনায়তনে ফেডারেশনের অঞ্চল পরিচালক বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমানের সঞ্চালনায় এতে আরো উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান, গোলাম রব্বানী, লস্কর মো: তসলিম, কবির আহমেদ, মুজিবুর রহমান ভূঁইয়া ও মনসুর রহমান প্রমুখ।

শামসুল ইসলাম বলেন, শ্রমিক সংগঠনের একমাত্র লক্ষ্য শ্রমজীবী মানুষের মুক্তি নিশ্চিত করা। খেটে খাওয়া ও প্রতিনিয়ত শোষণ-বঞ্চনার শিকার হওয়া মানুষদের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য শক্তিশালী সংগঠনের কোনো বিকল্প নেই। সংগঠনের শিকড় যত ছড়িয়ে পড়বে ততই সংগঠন শক্তিশালী হবে। জনমতকে ধারণ করে সংগঠন মজবুতির দিকে ধাবিত হবে। আর একটি মজবুত সংগঠন কেবল সকল অন্যায় অবিচার ও শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে পারে। মজবুত সংগঠন শ্রমিকদের পক্ষ নিয়ে মালিকদের সাথে দরকষাকষি করতে পারে। শ্রমিকদের অন্যায়ভাবে ঠকানো হলে শ্রমিক সংগঠন তার প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করতে পারে। অপরদিকে সংগঠন দুর্বল হলে শ্রমিকরা সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা ও ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত থেকে যায়। শ্রমিকরা বিপদে পড়লে দুর্বল সংগঠন তাদের কোনো ধরনের সহযোগিতা করতে পারে না।

তিনি বলেন, আদর্শিক শ্রমিক সংগঠন মালিকদের থেকে অন্যায্য সুবিধা গ্রহণ করে না। মালিকদের সাথে যোগসাজশে শ্রমিকদের ঠকানোর পায়তারা করে না। বরং প্রতিনিয়ত শ্রমিকরা কীভাবে স্বস্তির সাথে জীবন অতিবাহিত করবে সেই লক্ষ্যে চিন্তা ও কাজ করে। শ্রমিকদের স্বার্থে এই সংগঠনের নেতারা জীবন উৎসর্গ করে দেয়। দিনরাত একাকার করে শ্রমিকদের সেবায় তারা নিয়োজিত থাকে। যখনই কোনো শ্রমিকের বিপদের সংবাদ পায় তখন তারা পঙ্গপালের ন্যায় ছুটে যায়। শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়ে বিপদ-আপদ মোকাবিলা করে। সংগঠন যত শক্তিশালী হবে ততই শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করতে পারবে।

আ.ন.ম শামসুল ইসলাম বলেন, পবিত্র মাহে রামাদ্বান শেষ দিকে চলে আসছে। আমরা অতীতের ন্যায় মালিক ও রাষ্ট্রকে স্মরণ করে দিতে চাই, অবশ্যই ২০ রামাদ্বানের পূর্বে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ করুন। প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক উভয় প্রকার শ্রমিকের ঈদকে আনন্দময়ী করতে হবে। অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমিকদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ ভাতার ব্যবস্থা করতে হবে। একটি শ্রমিকও যেন ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত না হয় সে জন্য এখনই কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আমরা প্রতিবছর দেখি ঈদের পূর্বে শ্রমিকরা বেতন-বোনাসের দাবিতে রাজপথে নেমে আসে। পুলিশের নির্বিচারে লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেলের মুখে দাঁড়িয়ে ন্যায্য দাবির পক্ষে স্লোগান দিতে হয়। আমরা আশা প্রকাশ করবো এইবারের ঈদে এই দৃশ্য আর দেখা যাবে না। রাষ্ট্র ও মালিক স্ব-উদ্যোগে শ্রমিকদের সকল পাওনা বুঝিয়ে দেয়ার উদ্যোগ করবে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি


আরো সংবাদ



premium cement