২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

হাসপাতাল থেকে বাসার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন খালেদা জিয়া

গুলশানের বাসভবন ফিরোজার উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছেন খালেদা জিয়া। - ছবি : নয়া দিগন্ত

স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজার উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সাড়ে ৪টার দিকে হাসপাতাল থেকে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি।

বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া গুলশানের বাসভবনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন।

গত ২৯ এপ্রিল নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের যান খালেদা জিয়া। নিয়মিত চেকআপ করার পর বাসায় ফেরার কথা থাকলেও তার মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তে রাতেই তাকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।

এভারকেয়ারে হাসপাতালের ৭২২৩ নম্বর কেবিনে ভর্তি ছিলেন খালেদা জিয়া। চিকিৎসকের পরামর্শ ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন তিনি।

এর আগে গত বছরের জুনে খালেদা জিয়ার হার্টের তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। তার একটি ব্লকে রিং পরানো হয়েছে।

খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। ২০২১ সালের এপ্রিলে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। নানা শারীরিক জটিলতায় ওই বছরের ২৭ এপ্রিল খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

একপর্যায়ে তাকে সিসিইউতে নেয়া হয়। প্রায় দুই মাস তিনি সিসিইউতে ছিলেন। ১৯ জুন বাসায় ফেরেন। এর মধ্যে করোনার টিকা নেয়ার জন্য খালেদা জিয়া দুই দফায় মহাখালীর শেখ রাসেল ন্যাশনাল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালে যান। ১৯ জুলাই করোনার প্রথম ডোজ টিকা নেয়ার পর ১৮ আগস্ট দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেন তিনি।

গত বছর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার ‘পরিপাকতন্ত্রে’ রক্তক্ষরণ এবং লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার কথাও জানান চিকিৎসকরা।

দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে খালেদা জিয়া ২০০৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান। করোনা মহামারীর প্রেক্ষাপটে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার শর্ত সাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। এ পর্যন্ত ছয় দফায় খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। ফলে তিনি তার গুলশানের বাসায় অবস্থান করছেন।

উল্লেখ্য, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকায় এভারকেয়ার হাসপাতালে যান খালেদা জিয়া।


আরো সংবাদ



premium cement