২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বিএনপির আন্দোলনকে সমর্থন করতে ১২ দলীয় জোট গঠন

এলো বিএনপির সমমনা ১২ দলীয় জোট - ছবি : সংগৃহীত

বিএনপির পরিকল্পিত যুগপৎ সরকারবিরোধী আন্দোলনে যোগ দিতে ১২টি দলের একটি নতুন রাজনৈতিক জোট আত্মপ্রকাশ করেছে।

বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলন করে জোটটি আত্মপ্রকাশ করে।

এর আগে এই ১২টি দল বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অংশ ছিল।

সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) একাংশের চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার নতুন এই জোট গঠনের ঘোষণা দেন।

নতুন জোটের শরিকরা হলো- জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় দল, এনডিপি, এলডিপি (সেলিম), মুসলিম লীগ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, ইসলামী ঐক্যজোট, জাগপা, ইসলামিক পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এবং সাম্যবাদী দল।

মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বলতে পারি দেশের সবচেয়ে বড় বিরোধী দল বিএনপির সাথে আমাদের বোঝাপড়া ও ঐক্য আগের মতোই থাকবে। যে রাজনৈতিক দলগুলো এই ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে, তাদের অংশগ্রহণে বৃহত্তর ঐক্য গড়তে আমরা নতুন কৌশল নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।’

মোস্তফা বলেন, ভুল বোঝাবুঝির কোনো সুযোগ নেই এবং আমরা সবাই একযোগে আন্দোলনের পথে এগোচ্ছি।

নবগঠিত ১২ দলীয় জোটের ঘোষণাপত্র পাঠ করেন লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান।

মোস্তাফিজুর বলেন, আমরা গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং আমরা ১২ দলীয় জোট হিসেবে স্বীকৃতি পাব।

তিনি বলেন, ‘সরকারকে পদত্যাগ করতে এবং নতুন নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে বাধ্য করতে বিএনপির সাথে একযোগে সরকারবিরোধী আন্দোলনে রাজপথে সক্রিয় থাকবে ১২ দলীয় জোট। চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।’

তিনি আরো বলেন, ১২ দলীয় জোট বিএনপির ২৭ দফা রূপরেখা ‘রাষ্ট্রের কাঠামোগত সংস্কার’ একটি ‘জাতীয় মুক্তির সনদ’ হিসেবে বিবেচনা করে এবং এর সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে।

কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ‘বিলুপ্তির আগে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ২০-দলীয় জোটের শেষ বৈঠক হয়েছিল ২০২২ সালের ৯ ডিসেম্বর। যেখানে জোটের নেতারা পূর্বের নাম ২০-দল ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত নেন। জোট ২০ দলীয় জোট গঠিত হয় ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল।

তিনি আরো বলেন, ১২-দলীয় জোটে দুটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে- একটি বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি এবং অন্যটি বাংলাদেশ মুসলিম লীগ।

মেজর ইবরাহিম বলেন, অন্যান্য দল নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে তাদের আবেদন করেছে এবং আশা করা হচ্ছে একটি ইতিবাচক ফলাফল আসবে।

জোটটি ৩০ ডিসেম্বরের পর বিভাগীয় শহরে সফর করার পরিকল্পনা করছে এবং তারা শিগগিরই এ বিষয়ে তাদের সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান ইবরাহিম।

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা বিএনপির সকল কর্মসূচিতে যোগ দেব এবং যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে ৩০ ডিসেম্বর আমরা গণমিছিল বের করব। আমরা দুপুর ২টার দিকে বিজয় নগর এলাকায় সমবেত হব।’

সূত্র : ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement
‘মুক্ত সাংবাদিকতা চরম সঙ্কট’ ‘রাফা হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরাইলি সেনারা’ ৪৬তম বিএসএস প্রিলি পরীক্ষা : শুরুতেই স্বপ্নভঙ্গ ৮১ শিক্ষার্থীর মরুর উষ্ণতায় ক্ষতির মুখে কৃষি ছেলেদের কারণে বিপাকে মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির দুই বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে ফ্রান্স, ব্রাজিল ও প্যারাগুয়ে সফরে যাচ্ছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ড সফরকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে মাইলফলক বললেন প্রধানমন্ত্রী লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী যুবক নিহত এখনো শেষ হয়নি বিতর্কিত আউটের রেশ, ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ মুশফিকের ‘ফ্রি ভিসার গল্প’ আর শূন্য হাতে ফেরা লাখো শ্রমিক

সকল