গুলশানের বাসার পথে খালেদা জিয়া
- অনলাইন প্রতিবেদক
- ২৫ মার্চ ২০২০, ১৬:৫৭, আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২০, ১৭:৫১
দুই বছর এক মাস ১৭ দিন কারবন্দি থাকার পর বুধবার দুপুরে সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বেলা ৪ টা ২০ মিনিটে হুইলচেয়ারে করে বিএসএমএমইউ হাসপাতালের ৬ তলা কেবিনব্লক থেকে নিয়ে আসা হয় তাকে। এরপর হাসপাতালে থেকে ঢাকা মেট্রো-ভ ১১-০৬৯২ নম্বর গাড়ি করে তাকে গুলশানের ফিরোজা বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
হাসপাতাল থেকে বের হয়ার সময় হাল্কা গোলাপি রংয়ের শাড়িতে খালেদা জিয়াকে মাথা ঢেকে পুরোনো সেই চশমায় দেখা যায়। তবে কারাগারে যাওয়ার আগের তুলনায় তিনি অনেক শুকিয়ে গেছেন। মুখে মাস্ক ছিলো ।
এদিকে দীর্ঘদিন পর নেত্রীর মুক্তির খবরে হাসপাতালে ভিড় জমায় হাজারো নেতাকর্মী। হাসপাতালে বারান্দা দাঁড়িয়ে অনেকে অপেক্ষা করে খালেদা জিয়াকে এক নজর দেখতে।
হাসপাতালের সামনে নেতাকর্মীদের ভিড় ছিলো। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মাইক হতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন ভিড় কমাতে। অবশেষে খালেদা জিয়া গাড়িতে উঠার সময় গাড়ির চারপাশ গিরে নেতাকর্মীরা শ্লোগান দিতে থাকেন।
নেতাকর্মীরা বলছেন, দুই বছর পর নেত্রীর মুক্তি আমাদের জন্য খুব আবেগের। আমরা একনজর উনাকে দেখতে এসেছি।
এদিকে খালেদা জিয়াকে বরণ করে নিতে মঙ্গলবারই তার গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’ প্রস্তুত করা হয়েছে। বাসায় ফিরার পর আত্বীয়-স্বজনরা খালেদা জিয়ার সাথে স্বজনদের সাক্ষাতের কথা রয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত রেখে তাকে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। মঙ্গলবার জরুরি সংবাদ সম্মেলনে সরকারের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
মঙ্গলবার এক বৈঠকে পরিবারের সদস্যদের কেউ কেউ তাকে বাসায় রেখে চিকিৎসা করার পক্ষে মত দেন। তবে কেউ কেউ মুক্তি পাওয়ার পর তাকে সরাসরি হাসপাতালে নেয়ার পক্ষে মত দেন। এ ক্ষেত্রে বেসরকারি হাসপাতাল ইউনাইডেটে ভর্তির কথা বলেন তারা। তবে এ ব্যাপারে খালেদা জিয়ার মতাতমকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে লন্ডন থেকে স্কাইপে যুক্ত ছিলেন তারেক রহমান।
প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়ে ছিলো বেগম খালেদা জিয়াকে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা