১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১ পৌষ ১৪৩০, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

সেলফ সেন্সরশিপ, মিডিয়া-পলিটিক্স ও প্রোপাগান্ডা মডেল থিওরি

সেলফ সেন্সরশিপ, মিডিয়া-পলিটিক্স ও প্রোপাগান্ডা মডেল থিওরি - ফাইল ছবি

কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থায় মিডিয়ার সেলফ সেন্সরশিপ লক্ষণীয় বিষয়। বিশেষত ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট কিংবা সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের মতো নিবর্তনমূলক আইন সাংবাদিকদের মধ্যে এবং মিডিয়াপাড়ায় ভীতির সৃষ্টি করেছে। এর ফলে গণমাধ্যমে সেলফ সেন্সরশিপের চর্চা বেড়ে গেছে। আর সাংবাদিকদের প্রতি সহিংসতার ঘটনা অহরহ ঘটছে। আইন ও সালিশকেন্দ্রের এক রিপোর্টে জানা যায়, এ বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ৮১ জন সাংবাদিক নির্যাতন, মামলা, হুমকি ও হয়রানির শিকার হয়েছেন। রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস নামে একটি সংগঠন বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বলেছে, ‘Media self-censorship is growing as a result of the endemic violence against journalists and media outlets, and the almost systematic impunity enjoyed by those responsible.’ (অর্থাৎ, সাংবাদিকরা তীব্র আক্রমণের শিকার হওয়ার কারণে এবং দায়ী কালপ্রিটরা প্রক্রিয়াগতভাবে ছাড় পাওয়ায় মিডিয়ার সেলফ সেন্সরশিপ ক্রমেই বাড়ছে)।

অন্যদিকে, প্রায়ই আমরা দেখি, সেক্যুলার ঘরানার মিডিয়াগুলো মাদরাসা, আলেম-ওলামা এবং ইসলামী মূল্যবোধসংশ্লিষ্ট ইস্যুগুলো কাভারেজ করার ক্ষেত্রে ভারসাম্য ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখে না। এসব ইস্যুতে তারা সাধারণ জনগণের নিজস্ব মূল্যবোধ, দৃষ্টিভঙ্গি ও বোধজ্ঞানকে থোড়াই কেয়ার করে। এ ক্ষেত্রে তাদের মিডিয়া-অ্যাজেন্ডা ও মিডিয়া-বায়ার্স একাকার হয়ে যায়। একপক্ষীয়, অবাস্তব, বানোয়াট অথবা খণ্ডিতভাবে সংবাদ বা প্রতিবেদন প্রকাশ করে তাদের বিশেষ রাজনৈতিক বা মতাদর্শিক অ্যাজেন্ডা পূরণের চেষ্টা করে থাকে (এ ক্ষেত্রে ২০১৩ সালে শাহবাগ ও হেফাজতের আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে সেক্যুলার মিডিয়াগোষ্ঠীর তুলনামূলক ভূমিকা স্মরণযোগ্য)। তাছাড়া, ভাষা ও শব্দের রাজনীতি তো আছেই। একদল মিডিয়ার ভাষায় ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনের হামলা হচ্ছে দুই পক্ষের ‘সংঘর্ষ’ কিন্তু পুলিশের নির্বিচার হামলায় হেফাজতে ইসলামের ন্যায্য প্রতিরোধ হয়ে যায় ‘তাণ্ডব’।

যাই হোক, অ্যাজেন্ডা সেটিংয়ের সুযোগে মূলধারার কিছু মিডিয়াকে পেইড প্রোপাগান্ডা অ্যাপারেটাস (propaganda apparatus) হিসেবে ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়। কখন কোন ইস্যু পাবলিককে খাওয়াতে হবে কিংবা এক ইস্যুকে চাপা দিতে আরেক ইস্যু ফাঁপিয়ে তোলা- এসবই এক শ্রেণীর মিডিয়া দক্ষতার সাথে করে আসছে। ‘অ্যাজেন্ডা সেটিং থিওরি’ দিয়ে বিশেষত দলকানা মিডিয়াগোষ্ঠীর এসব কারিকুরি সহজে বোঝা যায়। সংবাদ বা প্রতিবেদন প্রকাশের আগেই mass media কর্তৃক অ্যাজেন্ডা ঠিক করে নেয়াকে বলা হয় অ্যাজেন্ডা সেটিং। অর্থাৎ, কোনো ইস্যুকে অন্য ইস্যুগুলোর চেয়ে বেশি গুরুত্ব ও ফোকাস দেয়া হবে এবং কোন ইস্যু পাবলিককে বিশেষভাবে গলাধঃকরণ করানো হবে- এসব আগেভাগে ঠিক করে নেয়ার বিষয়াদি অ্যাজেন্ডা সেটিং তত্ত্বের আলোচনার অংশ। অ্যাজেন্ডা সেটিং প্রায়ই মিডিয়া-বায়াসনেস দিয়ে তাড়িত হয়- বিশেষত রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়গুলোতে। কিছু পক্ষপাতদুষ্ট সংবাদপত্র ও টিভিচ্যানেল অ্যাজেন্ডা সেটিংয়ের মাধ্যমে তাদের মিডিয়া-অ্যাজেন্ডাকে পাবলিক অ্যাজেন্ডার ঊর্ধ্বে স্থান দেয়; অর্থাৎ- তাদের মিডিয়া-অ্যাজেন্ডাকে পাবলিক অ্যাজেন্ডায় রূপ দেয়ার চেষ্টা করে। যেমন- নিকট অতীতে দেখা গেছে, ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে গেলে মূলধারার একটি বিতর্কিত টিভিচ্যানেল ইসলামের নির্ধারিত ‘পর্দা ও পোশাক নীতি’র বিরুদ্ধে তাদের নিজস্ব মিডিয়া-অ্যাজেন্ডা ফোকাস করে। অথচ তারা ধর্ষণের আর অন্যসব কারণকে (ধর্ষকদের রাজনৈতিক দলীয় পরিচয়) প্রকারান্তরে আড়াল করে দেয়ার চেষ্টা করেছিল। ধর্ষণের রাজনৈতিক ক্ষমতাসম্পর্ক নিয়ে তাদের কোনো আলাপ লক্ষ করা যায়নি। এর ফলে ধর্ষণের রাজনৈতিক ফেনোমেনা থেকে দৃষ্টি সরিয়ে পাবলিক ডিবেটকে নিছক পর্দা ও পোশাকের তর্কে পর্যবসিত করায় বস্তুত সুবিধা হয়েছে ক্ষমতাসীনদেরই। কিছু নতজানু মিডিয়া এভাবে অ্যাজেন্ডা সেটিংয়ের মাধ্যমে এস্টাবলিশমেন্টের পক্ষে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এ ছাড়া উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় প্রদানকালে উদ্ভূত শাহবাগ আন্দোলনের সময় সুস্পষ্ট মিডিয়া ট্রায়ালও অ্যাজেন্ডা সেটিং থিওরির আলোচনার মধ্যে পড়ে।

অন্যদিকে, এটি সত্য যে, বাংলাদেশে সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের পরিসরে পেশাদারিত্ব এখনো পরিপূর্ণ প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করতে পারেনি। এর কারণ, এ দেশের বেশির ভাগ মিডিয়াই হলো করপোরেট মালিকানাধীন মিডিয়া। ফলে প্রফেশনালিজমের টার্মস বিবেচনায় এরা স্বাধীন বা স্বতন্ত্র হতে পারেনি। তাই করপোরেট মিডিয়াগুলোকে সহজেই প্রভাবিত ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে ক্ষমতাসীন মহল। এ বিষয়টি প্রোপাগান্ডা মডেলের আলোচনার অংশ। প্রোপাগান্ডা মডেল তত্ত্বের প্রবর্তক হলেন নোয়াম চমস্কি ও এডওয়ার্ড এস হারম্যান। ১৯৮৮ সালে তারা তাদের যৌথভাবে লেখা, ‘Manufacturing Consent : The Political Economy of the Mass Media’ নামক বইয়ে সবিস্তারে এই তত্ত্বের অবতারণা করেন। সাংবাদিকতার অ্যাকাডেমিক পড়াশোনায় এ বইটি অবশ্যপাঠ্য। যাই হোক, এই প্রোপাগান্ডা মডেলের আলোকে এখন আমাদের দেশের মিডিয়ার বিষয়াশয় নিচে আলোচনা করব।

প্রোপাগান্ডা মডেল থিওরি মতে, মিডিয়ায় প্রচারিত বা প্রকাশিত সংবাদের উপাদানগুলো পাঁচটি ফিল্টার বা ছাঁকনির মধ্য দিয়ে যায় এবং এর ফলে অডিয়েন্স যে নিউজগুলো পায়, সেগুলো আসলে ফিল্টারিং করে তৈরি করা। অনেক সময় অতিরঞ্জিত বা একদেশদর্শী নিউজ ও রিপোর্টও প্রচার করা হয়, যেটিকে আমরা হলুদ সাংবাদিকতাও বলি। ওই পাঁচটি ছাঁকনিই নির্ধারণ করে দেয় কোন নিউজ কতটুকু প্রকাশিত হবে, কোন দৃষ্টিকোণ থেকে প্রকাশিত হবে, কোন জায়গায় স্থান পাবে এবং কতটুকু কাভারেজ পাবে। সেই ‘five filters of the mass media’ হলো :

১. মালিকানা (Ownership) : করপোরেট মালিকানাধীন মিডিয়া হাউজগুলোর পক্ষে স্বাধীন ও স্বচ্ছ সাংবাদিকতার চর্চা করা সম্ভব হয় না। তাদের মালিক করপোরেট কোম্পানির স্বার্থ ক্ষুণ্ন হয় এমন কোনো নিউজ বা রিপোর্ট তারা করতে পারে না। শুধু তা-ই নয়, তাদের এডিটোরিয়াল পলিসি ও মিডিয়া-অ্যাজেন্ডাও নির্ধারিত হয় কোম্পানির স্বার্থের সাথে সামঞ্জস্য রেখেই। ফলে তারা বস্তুনিষ্ঠতার নীতি থেকে বিচ্যুত হয়ে নির্দিষ্ট রাজনৈতিক বা আদর্শিক কাঠামোর মধ্যে পতিত হয়। এখন আমাদের দেশের মূলধারার সংবাদপত্র ও মিডিয়া হাউজগুলোর দিকে তাকালে দেখা যায়, বেশির ভাগ সংবাদপত্র ও টিভিচ্যানেলের মালিক কোনো না কোনো করপোরেট গ্রুপ। এদের মিডিয়া-অ্যাজেন্ডা বেশির ভাগ সময়ই পাবলিক অ্যাজেন্ডার বিপরীত হতে দেখা যায়। এরা প্রায়ই জনস্বার্থের পরিবর্তে কায়েমি স্বার্থের পক্ষেই তাদের মিডিয়া-অ্যাজেন্ডা নির্ধারণ করে।

২. বিজ্ঞাপন (Advertising) : অধিকাংশ মিডিয়ার আয় আসে প্রধানত বিজ্ঞাপন থেকে। বড় বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠান প্রচুর বিজ্ঞাপন দেয় মিডিয়ায়। ফলে কখনো ওসব প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে তাদের বিজ্ঞাপন গ্রহীতা মিডিয়াগুলো সে বিষয়ে ফিল্টারিং করে নিউজ প্রকাশ করে অথবা নিউজ করা থেকেই বিরত থাকে। আবার কখনো কখনো উল্টো অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সাফাই গেয়ে নিউজ করতে দেখা যায়। এ ছাড়া, সরকারের সমালোচক মিডিয়াগুলোকে শায়েস্তা করার জন্য সরকারি বিজ্ঞাপন থেকে বঞ্চিত করা হয়। ফলে আর্থিকভাবে টিকে থাকার স্বার্থে অনেক মিডিয়াই আপস করে চলে এবং ক্ষমতাসীনরা প্রশ্নবিদ্ধ বা বিতর্কিত হতে পারে এমন নিউজ তারা ফিল্টারিং করে প্রকাশ করে অথবা কখনো কখনো ব্ল্যাকআউটও করে দেয়।

৩. মিডিয়া এলিট (The Media Elite) : ফ্যাসিবাদপন্থী সেক্যুলার সংবাদপত্র ও টিভিচ্যানেলে আমরা বেশ কিছু পক্ষপাতদুষ্ট বুদ্ধিজীবী ও বক্তাকে কথা বলতে বা লিখতে দেখি। এমন পক্ষপাতদুষ্ট মিডিয়া এলিটদের মধ্যে কিছু রাজনীতিবিদ ও আমলাও রয়েছেন। এদের কৃত্রিম ফেসভ্যালুর কারণে এ দেশের সেক্যুলার মিডিয়াগোষ্ঠী নিজস্ব ফ্যাক্ট-চেকিং ও অনুসন্ধানের পরিবর্তে এসব বায়াসড মিডিয়া এলিটদের থেকে প্রাপ্ত বক্তব্য ও তথ্যের ভিত্তিতে তাদের মিডিয়া-অ্যাজেন্ডা সেট করে এবং তদনুসারে সংবাদ-প্রতিবেদন প্রকাশ করে। আর বলার অপেক্ষা রাখে না, এসব মিডিয়ার বেশির ভাগ টকশোতেই মডারেটরের পক্ষপাত (media bias) দৃষ্টিকটুভাবে লক্ষণীয়।

৪. ফ্ল্যাক (Flak) : কোনো মিডিয়া যখন কোনো ইস্যুতে একদমই ভিন্নমত প্রকাশ করে, তখন ওই মিডিয়াকে নানা ট্যাগ, মামলা ও নিষেধাজ্ঞা দিয়ে কোণঠাসা করার চেষ্টা করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, ২০১৩ সালে শাহবাগ আন্দোলন শুরু হলে আমার দেশ পত্রিকা তখন ঝুঁকি নিয়ে সাহসের সাথে স্রোতের বিপরীতে অবস্থান নেয়। সে সময় ‘জামায়াত-শিবিরের দালাল’, ‘রাজাকারদের পত্রিকা’, ‘স্বাধীনতাবিরোধী পত্রিকা’ ইত্যাকার ট্যাগ ও অপবাদ দিয়ে পত্রিকাটিকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করা হয়। এ ছাড়া, স্কাইপি কেলেঙ্কারি প্রকাশের কারণে পত্রিকাটির সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়। ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে ইনকিলাব পত্রিকার সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা করাসহ পত্রিকাটির অফিস সিলগালা করে দেয়া হয়। কোনো নিউজ বা রিপোর্টের প্রতিক্রিয়ায় এ ধরনের ট্যাগ, অপবাদ বা মামলাকে এই ফিল্টারে ‘ফ্ল্যাক’ বলে অভিহিত করা হয়। এভাবেই ভয়ভীতি ও চাপ প্রদর্শন করে অনেক সাংবাদিক ও মিডিয়াহাউজকে তাদের নিউজ ও রিপোর্ট ফিল্টারিং করতে বাধ্য করা হয়।

৫. কমন শত্রু (The common Enemy) : সম্মতি উৎপাদন ও সমর্থন তৈরির জন্য ক্ষমতাসীনরা একটি কমন শত্রু বা টার্গেট ঠিক করে (যেমন- স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি)।

‘স্বাধীনতাবিরোধী’ ট্যাগ দিয়ে গুম-খুন-হামলাসহ মানবাধিকার হরণ করাও জায়েজ- এমন একটি অপধারণা মিডিয়ার মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে মানুষের সম্মতি বা কনসেন্ট আদায় করার প্রয়াস আমরা দেখেছি। এই তথাকথিত রাজনৈতিক কমন শত্রুর জুজু দেখিয়ে বিরোধী দলগুলোকে বছরের পর বছর দমন করা হয়েছে এবং নিজেদের সমস্ত অবৈধতাকে বৈধ করার অপচেষ্টা দেখা গেছে। এ ক্ষেত্রে তথাকথিত প্রগতিশীল সেক্যুলার মিডিয়াগোষ্ঠীকে কোলাবোরেটরের ভূমিকায় দেখা গেছে। উল্লেখ্য, ঠাণ্ডা যুদ্ধের সময় কমিউনিস্টরা পাশ্চাত্যের কমন শত্রু হলেও নাইন-ইলেভেনের পর ইসলাম হয়ে ওঠে তাদের সেই কমন শত্রু। এই কমন শত্রুকে নিশানা করেই ওয়ার অন টেররের নামে কয়েকটি মুসলিম দেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরিচালিত সামরিক আগ্রাসন ও গণহত্যা জায়েজ করার চেষ্টা করেছে পশ্চিমা মিডিয়া। আমাদের সেক্যুলার মিডিয়াগোষ্ঠীও সেই ইসলামবিরোধী ‘ওয়ার অন টেরর’-এর সাথে তাল মিলিয়ে এ দেশে ইসলামবিদ্বেষ ছড়িয়েছে এবং এস্ট্যাবলিশমেন্টের মসনদ পাকাপোক্ত করতে সহায়তা করেছে। যাই হোক, এই প্রোপাগান্ডা মডেল অনুযায়ী করপোরেট-স্পন্সরড মিডিয়াগোষ্ঠী প্রধানত ‘ম্যানুফ্যাকচারিং কনসেন্ট’ তথা সম্মতি উৎপাদনের জন্যই কাজ করে থাকে। তার মানে এদেশের সেক্যুলার মিডিয়াগোষ্ঠী উপরোল্লিখিত ফাইভ ফিল্টারস থেকে মুক্ত নয়; ফলে দিনদিন গণমাধ্যমের চরিত্র হারিয়ে এরা এস্ট্যাবলিশমেন্টের ভাড়াটে প্রচারযন্ত্রে পরিণত হয়েছে।

লেখক : রাজনৈতিক বিশ্লেষক
Email: [email protected]


আরো সংবাদ



premium cement