শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ সঙ্কুচিত হলো
- আবদুর রহমান
- ০৬ জুন ২০২৪, ০৫:৫৬
বহিরাগতদের সাথে নিয়ে গত ২৭ মার্চ রাত দুপুরে বুয়েট চত্বরে অবৈধভাবে প্রবেশের দায়ে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেনের দায়েরকৃত রিটে গত ১ এপ্রিল হাইকোর্ট বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করে ২০১৯ সালের ১৯ অক্টোবর বুয়েট কর্তৃপক্ষের জারিকৃত বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা স্থগিত করেন। ফলে অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বুয়েটেও ছাত্রলীগের রাজনীতির দ্বার উন্মুক্ত হয়ে পড়ে। এতে ৯৬-৯৭ শতাংশ শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
কারণ আগের মতো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাজনীতি যদি বুয়েটেও শুরু হয়ে যায় তাহলে গত সাড়ে চার বছর শিক্ষার্থীরা নিরাপদ পরিবেশে শিক্ষা লাভের যে সুবিধা ভোগ করে আসছিলেন তা বিঘ্নিত হবে।
প্রকৌশল ও মেডিক্যালের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো না হয়ে বিশেষায়িত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হওয়ায় শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পড়াশোনা ও ক্লাস পরীক্ষার চাপে থাকতে হয়। তাই সাধারণ বিশ^বিদ্যালয়ে চলমান ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সংযুক্ত থেকে সময় নষ্ট করার মতো অফুরন্ত সময় প্রকৌশল ও মেডিক্যালের শিক্ষার্থীদের থাকে না। শুধু প্রকৌশল ও মেডিক্যাল প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক নয়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরাও চান না শিক্ষাজীবন চলাকালীন বা পাস করে বের হওয়ার পরও বর্তমানে চলমান ছাত্র রাজনীতিতে তারা জড়িয়ে পড়ুক।
গত ১৫ বছর যাবত যারা ছাত্র রাজনীতি করছেন তারা একটি বিষয়ে পাস করার পরও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগার শিক্ষকদের সহায়তায় অন্য বিভাগে ভর্তি হন। এরা নতুন করে ভর্তির সুযোগ পাওয়ার সুবাদে শুধু ছাত্র সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়নি অনেকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদও অলঙ্কৃত করেছেন।
সাধারণ ছাত্রদের প্রবল আন্দোলনের মুখে বুয়েট কর্তৃপক্ষ ২০১৯ সালের ১৯ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি জারি করে বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে বাধ্য হয়েছিল। কিন্তু এ বিষয়ে রিটের শুনানিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে কোনো আইনজীবী না থাকায় বিজ্ঞপ্তি জারির প্রেক্ষাপট আদালতের নজরে আনা হয়েছিল বলে মনে হয় না। বুয়েটে প্রকাশ্য ছাত্র রাজনীতি বন্ধ থাকলেও গোপনে যে তা চলছিল তা প্রমাণ করে ২০১৯ সালের পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া রিটকারী ইমতিয়াজ হোসেনের ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পাওয়া দেখে। ঘরপোড়া গরু যেমন সিঁদুরে মেঘ দেখে ভয় পায়, সাধারণ শিক্ষার্থী ও জনগণের হয়েছে সেই অবস্থা। কারণ ১৪ দলের ১২৭ ও জামায়াতের ২০ জন এমপি নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার দাবিতে ১৯৯৪ সালে সংসদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। অসাংবিধানিক দাবিতে ১৪৭ জন এমপির পদত্যাগপত্র স্পিকার গ্রহণ না করে সুপ্রিম কোর্টের অভিমত প্রার্থনা করেছিলেন। পদত্যাগকারীরা পদত্যাগের অধিকার তাদের জন্মগত মৌলিক অধিকার বলে যুক্তি প্রদর্শন করায় সুপ্রিম কোর্ট পদত্যাগপত্র গ্রহণের পক্ষে অভিমত দিয়েছিলেন। তারপর ১৪ দল ও জামায়াত ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৬ সালের মার্চ পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকার দাবিতে ১৭৩ দিন হরতাল পালন শেষে সরকারি কর্মচারীদের বিদ্রোহ ঘটিয়ে দেশ অচল করে দেয়ায় ক্ষমতাসীন বিএনপি সরকার ২৫ মার্চ ১৯৯৬ সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী পাসের মাধ্যমে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গঠন প্রণালী সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করে ৩০ মার্চ ১৯৯৬ পদত্যাগ করেছিলেন। অথচ আওয়ামী লীগের একজন আইনজীবী তা বাতিলের দাবিতে ১৯৯৯ সালেই হাইকোর্টে রিট করেছিলেন। ২০০৪ সালের শুনানি করে হাইকোর্ট ওই রিট খারিজ করে দিলেও আপিল বিভাগের প্রধান বিচারপতির কাস্টিং ভোটের ৪-৩ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় ১০ মে ২০১১ দেয়া রায়ে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকার অবৈধ কিন্তু ড. ফখরুদ্দীনের সরকার বৈধ বলে ঘোষণা করায় নির্বাচনকালীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রিসভা ও এমপিরা ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করার সাংবিধানিক ক্ষমতার অধিকারী হওয়ায় ২০১৪ সাল থেকে জনগণ ভোটাধিকারবঞ্চিত হয়ে চলেছে।
কী পরিস্থিতে বিএনপি সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রবর্তন করতে বাধ্য হয়েছিল তার প্রেক্ষাপট রায় প্রদানকালীন বিচারপতিরা বিবেচনায় নেননি বলে মনে হয়। কারণ ওই চারজন বিচারপতি আইনজীবী হিসেবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দাবিতে আন্দোলনে যুক্ত থাকার পুরস্কারস্বরূপ সচিব মহিউদ্দিন খান আলমগীরের মন্ত্রিত্ব পাওয়ার মতো তারাও ’৯৬-২০০১ শাসনামলে হাইকোর্টের বিচারপতি পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন।
বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি করা ইমতিয়াজ হোসেনের সাংবিধানিক অধিকার বলে উচ্চ আদালতের রায়ে স্বীকৃতি পাওয়ায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপদ পরিবেশে হলে অবস্থান করে শিক্ষা লাভের সুযোগ অন্যান্য বিশ^বিদ্যালয়ের মতো ছাত্রলীগের অনুগ্রহের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বে, যেমন- জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে জাতীয় পার্টির চেয়ে একটি আসন বেশি পাওয়াও বিএনপির জন্য আওয়ামী লীগের অনুগ্রহের ওপর নির্ভর করে। ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করার সাংবিধানিক অধিকার যেমন বিরোধী দলের সমর্থক ও দলনিরপেক্ষ ভোটার যাদের সংখ্যা মোট ভোটারের ৮০ শতাংশ তাদের ২০১৪ সাল থেকেই ভোটাধিকারবঞ্চিত থাকতে হচ্ছে। তেমনি ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত ৩-৪ শতাংশ শিক্ষার্থীর সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠার নামে ৯৬-৯৭ শতাংশ শিক্ষার্থীর সাংবিধানিক অধিকার সঙ্কুচিত হয়ে পড়ল।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ১৫ বছর যাবত ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি-হানাহানি-সংঘর্ষের কারণে বেশ কয়েকজন খুন হয়েছে ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস বন্ধ রাখতে হয়েছে। পত্রিকার খবরে প্রকাশ, বিবদমান দুই গ্রুপের মধ্যে এক গ্রুপ হচ্ছে সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী যিনি বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী তার অনুসারী, আরেক গ্রুপ হচ্ছে সাবেক মেয়র ও বর্তমান শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের অনুসারী। প্রতিটি সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ছাত্রলীগের বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও হানাহানি চলে আসছে যার কারণে প্রায়ই অনেক মেডিক্যাল কলেজ বন্ধ রাখতে হচ্ছে। ফলে একমাত্র বুয়েট ব্যতীত অন্য কোনো পাবলিক বিশ^বিদ্যালয়, প্রকৌশল ও মেডিক্যাল কলেজের সনদ বিদেশে স্বীকৃতি পায় না। বুয়েটে ছাত্রলীগের রাজনীতির অধিকার প্রতিষ্ঠার অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্যই নিরপেক্ষতার ধ্বজাধারী সত্যপ্রসাদ মজুমদারকে ভিসি নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির একতরফা ভোটারবিহীন নির্বাচনের পর গঠিত মন্ত্রিসভায় শিক্ষা উপমন্ত্রী ডাবল প্রমোশন পেয়ে শিক্ষামন্ত্রী হওয়ার পরই বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি চালুর পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয় গত ২৭ মার্চ গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট খুলে দিয়ে বহিরাগতদের সাথে করে ছাত্রলীগের নেতা শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেনকে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের সুযোগ দানের মাধ্যমে। ইমতিয়াজ যদি গভীর রাতে গেটের তালা ভেঙে বা নিরাপত্তারক্ষীদের জিম্মি করে গেটের তালা খুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরে অবৈধভাবে প্রবেশ করে থাকত তাহলে বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল ২৮ মার্চ সকালে ইমতিয়াজের নাম উল্লেখ করে তার সাঙ্গপাঙ্গদের অজ্ঞাত আসামি করে থানায় এফআইআর দায়ের করা। তাহলে ইমতিয়াজকে আগাম জামিন না পাওয়া পর্যন্ত পালিয়ে বেড়াতে হতো। ফলে বুয়েটের রাজনীতি করা তার সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য হাইকোর্টে রিট করাও সম্ভব হতো না। অবশ্য শিক্ষামন্ত্রী, দলের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীসহ অনেক নেতাই আগেই ইমতিয়াজের পক্ষে বক্তব্য প্রদান করায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইমতিয়াজকে সুযোগ দিতে হয়েছিল বলে মনে হয়। না হলে যে অপরাধে তার পালিয়ে বেড়ানোর কথা, সেখানে প্রতিবাদকারী সাধারণ শিক্ষার্থীকে তার বিরুদ্ধে আন্দোলন করে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করায় উল্টো তাদেরকেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে হচ্ছে। সরকারি কর্মচারীরা নিজেদেরকে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী দাবি করে ১৯৯৬ সালে বিদ্রোহ ঘোষণা করার পর যেমন সরকারি কর্মচারীতে পরিণত হয়েছে, তেমনি গত ১৫ বছরে সব কিছু সরকারি দলের বিশেষ করে সাবেক ছাত্রলীগারদের প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় একমাত্র ষোড়শ সংশোধনী বাতিল ব্যতীত উচ্চ আদালতের একটি রায়ও সরকারের বিপক্ষে যায়নি।
গত ৩০ জুন ২০১১ সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী পাসের মাধ্যমে নির্বাচনকালীন ক্ষমতায় থাকা সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সব পদও সাবেক ছাত্রলীগারদের দখলে চলে গেছে। তেমনি সরকারি চাকরিতে নিয়োগে অফিস সহায়ক পদ থেকে সচিব পর্যন্ত, পুলিশের কনস্টেবল থেকে আইজি পর্যন্ত এবং বিচার বিভাগের সব পদে প্রাক্তন ছাত্রলীগারদের জয়জয়কার। উচ্চশিক্ষার সব প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী থেকে অধ্যক্ষ ও ভিসি পর্যন্ত সব পদে নিয়োগে প্রাক্তন ছাত্রলীগারদের প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ফলে ছাত্র রাজনীতিবিমুখ ৯৬-৯৭ শতাংশ শিক্ষার্থীর যেমন কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই, তেমনি দলনিরপেক্ষ ও বিরোধী দলের সমর্থক ভোটারদেরও ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার অধিকার নেই।
ইমতিয়াজের রিটের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কোনো উদ্যোগ বুয়েট কর্তৃপক্ষ না নিয়ে রায় শিরোধার্য বলে ভিসির বক্তব্য ৯৬-৯৭ শতাংশ সাধারণ শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবককে হতাশ করেছে। একই রকম ঘটনার ভিন্ন ভিন্ন রায় হওয়ায় জনগণ হতবাক হয়েছে। যেমন- যে প্রধান বিচারপতি কাস্টিং ভোটের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার অবৈধ কিন্তু ওয়ান-ইলেভেনের সরকার বৈধ বলে রায় দিলেন, তিনিই হাইকোর্টের বিচারপতি থাকাকালীন মুন সিনেমা হলের পরিত্যক্ত সম্পত্তি ফিরে পাওয়ার দাবিতে পূর্বতন মালিকের করা রিটের ২০০৫ সালে শুনানি করে রাষ্ট্রপতি বিচারপতি এ এম সায়েম ও জেনারেল জিয়াউর রহমানের সরকার অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়ে তার বিরুদ্ধে যাতে বিএনপি সরকার নিয়মিত আপিল করতে না পারে তজ্জন্য পূর্ণাঙ্গ রায়ে স্বাক্ষর করেছিলেন ওয়ান-ইলেভেন সরকারের শাসনামলে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের ছয় কোটি টাকা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট হিসাবে জমা করার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিম্ন আদালতে দেয়া পাঁচ বছরের কারাদণ্ড আপিলে উচ্চ আদালতে যে বিচারপতি কারাদণ্ড ১০ বছর করেছিলেন তিনি আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতের বিচারপতি হয়ে এস আলম গ্রুপের ১০০ কোটি ডলার বিদেশে পাচার করার অভিযোগের তদন্ত আট মাস স্থগিত করে রাখায় পাচারকারীরা প্রমাণ লোপাটের সুযোগ পেয়েছে বলে জনগণ মনে করে। জনগণের ভোটের রাজনীতি বিদায় করে ক্ষমতার দাপট দেখানোর রাজনীতি যেমন চালু হয়েছে, তেমনি ছাত্র রাজনীতি বিদায় করে ক্ষমতার দাপটের ছাত্র রাজনীতি চালু হওয়ায় প্রকৌশল ও মেডিক্যাল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো বিশেষায়িত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ছাত্ররাজনীতির সাংবিধানিক অধিকার মুক্ত রাখাই শ্রেয়তর বলে জনগণ মনে করে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা