আইনের শাসনের কতদূর
- ড. মোহাম্মদ এনামুল হক চৌধুরী
- ০৮ মে ২০২৪, ০৫:৫২
বর্তমানে কঠিন সময় পার করছে বাংলাদেশ। ক্ষমতাসীনদের অবৈধ ক্ষমতালিপ্সার কারণে বাংলাদেশ আজ বিশাল কারাগার। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। হামলা-মামলা, খুন-গুম, ধর্ষণ, চুরি-ডাকাতি নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। ভোট ও ভাতের অধিকারের জন্য লড়াই করা আজ বড় অপরাধ। স্বৈরাচারমুক্ত দেশের স্বপ্নে বিভোর তরুণ প্রজন্ম। নতুন ভোরের প্রত্যাশায় সব শ্রেণীর মানুষ।
২০২৪ সালের রমজানের শুরুতে পারিবারিক আমন্ত্রণে লন্ডন যাই। আমার মেজো ভাই, ছোট ভাই ও ছোট বোন হিথ্রো বিমানবন্দরে আমাকে স্বাগত জানায়। ভাইয়ের গাড়িতে উঠে ড্রাইভারের পাশের সিটে বসি। তখন আমার প্রতি ভাই এবং বোনের প্রচণ্ড ক্ষোভ দেখে অবাক হই। তারা সমস্বরে বলে উঠল, আমরা আপনার জীবন নিয়ে উদ্বিগ্ন, আপনি চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছেন। তাই আপনাকে যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশ ছেড়ে চলে আসতে হবে। কারণ বাংলাদেশে এখন আইনের শাসন নেই, মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নেই। এক পর্যায়ে আমার মেজো ভাই বলল, বড় ভাই আপনার কি মনে আছে আমি ১৯৯০ সালে মদিনার কিং আবদুল আজিজ সেকেন্ডারি কলেজ থেকে পাস করার পর কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার জন্য সৌদি আরবের বাইরে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চেয়েছিলাম। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের মান এবং সাবজেক্টের গুণগত মান সম্পর্কে চিন্তা করিনি; বরং এমন একটি দেশে যেতে চেয়েছিলাম, যেখানে আইনের শাসন রাষ্ট্র ও সমাজের মূলভিত্তি। তখন আপনি আমাকে বলেছিলেন, তোমাকে আমি প্রফেসর অ্যালবার্ট ভেন ডিসির দেশে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি। আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম, তিনি কে? আপনি বলেছিলেন, তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবিধানিক আইনের অধ্যাপক এবং তিনিই প্রথম ‘আইনের শাসন’ নীতি ঘোষণা করেছিলেন।
মেজো ভাই বলল, হ্যাঁ, মনে আছে। কিন্তু আমরা কবে দেখব বাংলাদেশে আইনের শাসন? বাংলাদেশে আইনের চোখে সব মানুষ কবে সমান হবে?
আমি বললাম, বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের সব মানুষ, ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সত্তা, সরকারি বা বেসরকারি যাই হোক না কেন, রাষ্ট্র নিজেও জনসমক্ষে জারি করা আইনের প্রতি দায়বদ্ধ থাকবে- ১. যখন আইন সবার জন্য সমানভাবে প্রয়োগ করা হবে এবং একটি স্বাধীন বিচার বিভাগ দ্বারা পরিচালিত হবে। ২. যখন বাংলাদেশের আইন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিধি ও মানদণ্ডের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে।
আমার ছোটবোন পেশায় ডাক্তার। সে একটি প্রতিবেদনের প্রতি আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ওয়ার্ল্ড জাস্টিস প্রজেক্ট (ডব্লিউজেপি) তাদের গ্লোবাল রুল অব ল ইনডেক্সে ১৩৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশকে ১২৪তম র্যাংকিংয়ে প্রকাশ করেছে। আমরা খুবই দুর্বল অবস্থানে আছি। এই অবনতি শুধু আইনের শাসনে নয়, গণতন্ত্র, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার সূচকেও যেখানে আমরা প্রতিনিয়ত পিছিয়ে পড়ছি। এই রিপোর্ট করার জন্য বিদেশী সংস্থার প্রয়োজন নেই, আমরা আমাদের নিজের চোখেই দেখতে পারি। এই সূচকটি সাতটি বিষয় বিবেচনা করে করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা, নিয়ন্ত্রক ক্ষমতার প্রয়োগ, ফৌজদারি বিচার ও দেওয়ানি বিচারের অ্যাক্সেস, জননিরাপত্তা এবং সরকারি তথ্য প্রকাশ। এগুলোর কোনোটিতেই বাংলাদেশের অগ্রগতির কোনো লক্ষণ নেই। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আমরা আমাদের আগের র্যাংক ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছি।
তাকে বললাম, প্রিয় বোন আমার, প্রথমত, আমাদের বাবা (আল্লাহ তার প্রতি রহমত বর্ষণ করুন) বাংলাদেশকে ভালোবাসতেন এবং তিনি আমাদের দেশকে ভালোবাসতে শিখিয়েছিলেন। ১৯৭১ সালে বাবা সৌদি আরবে প্রবাসীদের সাথে মুক্তিযুদ্ধের জন্য আর্থিক অনুদান সংগ্রহে অংশ নিয়েছিলেন, যা মুক্তিযুদ্ধের কাজে সহায়তার জন্য তখন ব্রিটেনে পাঠানো হয়েছিল।
দ্বিতীয়ত, স্বৈরাচারী সরকারের সময়ে সবাই যদি বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যায় এবং আমরা রাজনীতিবিদ হিসেবে কাজ না করি তাহলে দেশের জনগণকে ফ্যাসিবাদী সরকারের হাত থেকে কে রক্ষা করবে?
ছোটবোন আমার কথায় বাধা দিয়ে বলল, বাংলাদেশী হিসেবে আমাদের লজ্জার বিষয় যে, আমরা আইনের শাসনের নীতি বাস্তবায়নে নেপাল রাষ্ট্রের পর্যায়ে পৌঁছাতে পারিনি। দেখুন আন্তর্জাতিক রিপোর্ট নেপালের বিষয়ে কী বলছে, আইনের শাসনের দিক থেকে নেপাল দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর তালিকায় ৭০তম স্থানে রয়েছে। নেপালের পরই রয়েছে শ্রীলঙ্কা ৭৬তম এবং ভারত ৭৯তম স্থানে। এখানে আমার ছোটভাই হস্তক্ষেপ করে বলে, আমি যখন ১৯৯৯ সালে ঢাকায় ইস্ট-ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে বিবিএ পড়ছিলাম তখন আমার বড় ভাই সামাজিক, ধর্মীয় ও দাতব্য ক্ষেত্রে আগ্রহী ছিলেন। তিনি শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করেছিলেন, তাই দেশে অলাভজনক স্কুল ও কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন এবং প্রতিকূল সময়ে ত্রাণ প্রদান করেন।
কিন্তু আমার বড় ভাই রাজনৈতিক কাজের দিকে ঝুঁকলেন যখন তিনি দেখলেন বাংলাদেশে আইনের শাসনের নীতি প্রয়োগ হচ্ছে না। ছোট ভাই আরো বলল, আমার মনে আছে ২০০৬ সাল থেকে ২০০৮ সালের মধ্যে, যখন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানকে ফখরুদ্দীন-মঈনউদ্দিন সমর্থিত সরকারের মাধ্যমে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তখন তার রাজনৈতিক কার্যক্রম শুরু হয়। তিনি দেশে গণতন্ত্রের প্রত্যাবর্তনের জন্য রাজনৈতিক আন্দোলনে অংশ নিতে শুরু করেন। এখন আমার ভাই পুরাদস্তুর রাজনীতিবিদ এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সদস্য। আমি মনে করি, ভাইয়ের পক্ষে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গন ছেড়ে ব্রিটেনে অভিবাসন করা কঠিন হবে।
দ্বিতীয়ত, এখন বেগম খালেদা জিয়া একটি মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় বন্দী এবং অসুস্থ। এ অবস্থায় তাকে রেখে আমার ভাইয়ের বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়া ঠিক নয়।
তৃতীয়ত, বাংলাদেশের কারাগারে বর্তমানে হাজার হাজার বিরোধী নেতাকর্মী, উলামা-মাশায়েখ বন্দী রয়েছেন। দেশ জাতির এই চরম ক্রান্তিলগ্নে ভাইয়ের জন্য বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গন ছেড়ে আসা কঠিন।
আমি বললাম, ২০০৮ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পরে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে গণতন্ত্রের নীতি থেকে শেখ হাসিনার স্পষ্ট বিচ্যুতি ঘটেছে। আইনের শাসনের নীতির প্রতি তার বিরূপ মনোভাব দেখা দেয়। পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহ ট্র্যাজেডিতে সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের ওপর তার সরকারের মানবতাবিরোধী অপরাধ, বিরোধী দলের নেতা যেমন ইলিয়াস আলী ও চৌধুরী আলম ও দিনারসহ ছয় শতাধিক লোককে জোরপূর্বক গুম করেছে। সেই সময় গাড়ির চালকের আসনে থাকা আমার ভাই ঘোষণা করলেন, আমরা সমুদ্র উপকূলে অবস্থিত সুন্দর শহর পোটস মাউথের উপকণ্ঠে এসেছি। এখানে আমাদের শহরে আপনাকে স্বাগতম। আমি বললাম, তোমরা আমার পরিবার, আমি আমার জন্য তোমাদের ভয়ের মূল্যায়ন করি। বিশেষ করে বাংলাদেশে আইনের শাসনের বর্তমান অবনতির বিষয়ে। যে কেউ বাংলাদেশের পরিস্থিতি অনুসরণ করে নোট করে যে, বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা দলীয়করণ এবং বিচার একপেশে হয়ে গেছে। আমাদের বাংলাদেশ মুসলিমপ্রধান দেশ। তাই তাদের উচিত ছিল মদিনা সরকারের উত্তরাধিকার অনুসরণ করা। আইনের শাসন ইসলামী ঐতিহ্য ও সভ্যতার অংশ। এটি ১৪৪৫ বছর আগে মদিনা সরকার কর্তৃক বাস্তবায়িত হয়েছিল।
হজরত আবদুর রাজ্জাক তার মুসান্নাফে আবু সাঈদ আল-খুদরি থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেছেন : আল্লাহর রাসূল সা: সালাত আদায়ের ইচ্ছায় তার ঘর থেকে বের হয়েছিলেন এবং এক ব্যক্তি তার উটের লাগাম ধরেছিলেন এবং বলল, আমার প্রয়োজন হে আল্লাহর রাসূল সা: এবং নবী সা: বললেন : আমাকে ছেড়ে দাও, তোমার প্রয়োজন পূরণ হবে। তিনি তিনবার তা করলেন, কিন্তু লোকটি তার কথা মানল না। তাই নবী সা: চাবুক তুলে তাকে আঘাত করলেন এবং বললেন : ‘আমাকে ছেড়ে দাও’।
নবী সা: লোকদের নামাজের ইমামতি করলেন এবং যখন তিনি নামাজ শেষ করলেন, তখন রাসূলুল্লাহ সা: বললেন, ‘আমি যাকে আগে চাবুক মেরেছি সে কোথায়? লোকেরা একে অপরের দিকে তাকিয়ে বলল, আল্লাহর রাসূলের সাহাবিরা, এ কে যে আল্লাহর রাসূল সা: তাকে চাবুক মেরেছেন? অতঃপর লোকটি সারির পেছন থেকে এসে বলল, আমি আল্লাহর ক্রোধ ও তাঁর রাসূলের ক্রোধ থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। তখন রাসূলুল্লাহ সা: তাকে বললেন, ‘কাছে এসো এবং চাবুক নাও আর আমাকে আঘাত করো।’ অর্থাৎ, একজন রাষ্ট্রপ্রধান জনগণকে বলছেন, ‘আমার কাছ থেকে তোমার অধিকার প্রতিষ্ঠিত করো।’ লোকটি বলল, আমি আপনাকে ক্ষমা করলাম। আল্লাহর রাসূল বললেন, ‘তুমি কি আমাকে ক্ষমা করেছ?’
লোকটি বলল, হে আল্লাহর রাসূল সা:, আমি আপনাকে ক্ষমা করে দিয়েছি। মদিনার সরকারের রাষ্ট্রপ্রধানকে দেখুন, যিনি আইনের সামনে সমতা অর্জন করেন এবং এটিকে একটি সাংবিধানিক নীতি ঘোষণা করেন যার মাধ্যমে আইনের শাসন অর্জিত হয়।
আইনের শাসনের আরেকটি গল্প এখানে দেখুন। হজরত আয়েশা রা: থেকে বর্ণিত, মাখজুমি গোত্রের একজন মহিলা চুরি করলে তার (প্রতি হদ প্রয়োগের ব্যাপারে) কুরাইশরা বিভক্ত হয়ে পড়ল। তারা বলল, কে এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সা:-এর কাছে কথা বলতে (সুপারিশ করতে) পারে। তখন তারা বলল, এ ব্যাপারে উসামা রা: ব্যতীত আর কারো হিম্মত নেই। তিনি হলেন রাসূলুল্লাহ সা:-এর প্রিয় ব্যক্তি।
রাসূলুল্লাহ সা:-এর সাথে তিনি এ ব্যাপারে কথা বলতে গেলেন। রাসূলুল্লাহ সা: বললেন, ‘তুমি কি আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত হদের ব্যাপারে সুপারিশ করতে চাও?’ অতঃপর রাসূলুল্লাহ সা: দাঁড়িয়ে ভাষণ দিলেন। তিনি বললেন, ‘হে লোক সকল! তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মাতরা ধ্বংস হয়েছে এই কারণে যে, তাদের মধ্যে যখন কোনো সম্ভ্রান্ত লোক চুরি করত, তখন তারা তাকে ছেড়ে দিত। আর যদি কোনো দুর্বল লোক চুরি করত, তবে তারা তার ওপর শাস্তি প্রয়োগ করত। আল্লাহর কসম! যদি ফাতিমা বিনতে মুহাম্মদও চুরি করত, তার বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগ করা হতো।’
সুতরাং, ফাতিমা বিনতে মুহাম্মদ এবং ফাতিমা বিনতে আল-আসওয়াদ আল-মাখজুমিয়া মদিনা সরকারের আইনের কাছে সমান, তার এবং রাসূলের কন্যার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।
চার খলিফাদের সরকার নবীর উদাহরণ অনুসরণ করেছিলেন।
একদা উমার ইবনুল খাত্তাব রা: জনগণের সম্মুখে ভাষণ দেয়ার সময় বলেন, আমি আমার কর্মচারীদের এ জন্য প্রেরণ করি না যে, তারা আপনাদের ওপর শারীরিক নির্যাতন চালাবে এবং আপনাদের সম্পদ ছিনিয়ে নেবে। যদি কারো ওপর এ ধরনের কোনো কিছু করা হয়ে থাকে তাহলে সে যেন আমার কাছে অভিযোগ করে। আমি তার প্রতিশোধ নেবো। আমর ইবনুল আস রা: বললেন, যদি কোনো ব্যক্তি তার কোনো নাগরিককে আদব শিখানোর জন্য শাস্তি দেয় তাহলে কি তার কিসাস নেয়া হবে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। সেই পবিত্র সত্তার কসম! যাঁর হাতে আমার জীবন! জেনে রাখো! আমি তার কিসাস গ্রহণ করব। আমি রাসূলুল্লাহ সা:-কে তাঁর নিজের বিরুদ্ধে কিসাস কার্যকর করতে দেখেছি।
মেজো ভাইয়ের বাসায় ঢোকার পরও ইফতারির সময় হতে কিছু সময় বাকি ছিল। আমি পরিবারের সাথে ইফতারের টেবিলে বসলাম এবং আমরা আল্লাহর কাছে হাত তুলে বললাম, হে আল্লাহ! বাংলাদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আমাদের সফলতা দান করুন। তারা সবাই বলেছিলেন, আমিন। শেষ পর্যন্ত আমার পরিবার সম্মত হয়েছে যে আমি বাংলাদেশে থাকব এবং দেশের জনগণের ওপর অন্যায় ও নিপীড়ন প্রতিরোধে কাজ করব।
শেষ পর্যায়ে আমার ছোটবোন বলল, আল্লাহ আপনাকে রক্ষা করুন। মানবতার সেবায় এবং বাংলাদেশে আইনের শাসনের নীতি প্রতিষ্ঠায় আপনাকে সফল করুন। আমিন।
আওয়ামী দুঃশাসনের কারণে আমরা প্রতিনিয়ত নিষ্পেষিত হচ্ছি। আর এই দৃশ্য দেখে বিশে^র বিভিন্ন দেশে বসবাসরত আমাদের পরিবার, স্বজনরা উদ্বিগ্ন থাকবে এটিই স্বাভাবিক। তাদের বাস্তবতা বোঝাতে হবে, তাদের ভেতরে থাকা দেশপ্রেমের চেতনা জাগ্রত করতে হবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে দেশে গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হোক এই প্রত্যাশা সবার।
লেখক : বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা