১৮ মে ২০২৪, ০৪ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫
`


নির্বাচনের পোস্টমর্টেম

নির্বাচনের পোস্টমর্টেম - নয়া দিগন্ত

আওয়ামী লীগ নির্বাচন করিয়েই নেবে, আওয়ামী লীগ নির্বাচন দেবে জিততে, হারতে নয়। একথা বহুবার উচ্চারিত হয়েছে। এখন দেখার, কেমন হলো নির্বাচনটি। দেশের রাজনীতি এখন দু’টি বৃহৎ ধারায় বিভক্ত- আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। এই সাথে চরম বাম ও চরম ডান থাকলেও তারা মেইন স্ট্রিমে নেই; বরং কোনো কোনো চরম বাম ও চরম ডান দল বড় দুই দলের সাথে শামিল হয়ে আনন্দে ঢেঁকুর তুলতে আরামবোধ করে। ফলে দেশের রাজনীতিতে বাম এবং ইসলামী আদর্শের স্বতন্ত্র ধারাটি ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়ছে। কমিউনিস্ট পার্টি ও জামায়াতে ইসলামী কিছুটা সবল থাকলেও প্রথমটির জনসম্পৃক্তিহীনতা এবং পরেরটি নিবন্ধন জটিলতাসহ নানা সমস্যা মোকাবেলায় জেরবার।

নির্বাচন নিয়ে মোটাদাগে কয়েকটি প্রশ্ন বহুল আলোচনায় এসেছে। এগুলো এক এক করে দেখা যেতে পারে। আমরা বাকশালের অধীনে কোনো নির্বাচন পাইনি। এর বিরূপতা নিয়েই বেশি আলোচনা হয়েছে। বাকশালের নির্বাচনের ধরনটি চীনের মতো ভাবা যায়। বহুদল আছে, বিরোধী দল আছে- কিন্তু সবই সরকারনিয়ন্ত্রিত। এবারের নির্বাচনটি তেমন মনে করার কারণ আছে- ফলে বাকশালের নির্বাচনী আস্বাদ আছে এই নির্বাচনে, এমনই মনে করছে বহুজন। অধ্যাপক আসিফ নজরুল একটি টকশোতে বলেছেন (বিবিসি বাংলায়), একজন মাত্র ভোট দিয়েছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী- তিনি যাকে চেয়েছেন, তিনিই এমপি হয়েছেন। তাকে ড. মিজান প্রশ্ন করেছেন, পিএম কি মন্ত্রীদের হারিয়ে দিতে বলেছেন? নজরুলের উত্তর ছিল- যাকে দরকার মনে করা হয়েছে তাকে জেতানোর জন্যই এটি ঘটেছে। তিনি সৈয়দ ইবরাহিম আর শাহজাহান ওমরের উদাহরণ টেনেছেন। দলীয় তথা নৌকার অর্ধশতাধিক প্রার্থী হেরেছেন আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্রী-প্রার্থীর কাছে। হেরে যাওয়া সবাই দলীয়প্রধানের মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচনী যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ফলে মাঠপর্যায়ে দলীয় অবস্থা বিবেচনার চেয়ে একজনের ইচ্ছেতেই মনোনয়ন হয়েছে- এখানেই আসিফ নজরুলের কথার সারবত্তা।

উত্তর কোরিয়ার সংবিধানে কর্তৃত্ববাদের কথা নেই, কিন্তু চলছে। কেউ কেউ বলেন, আমাদের সংবিধানেও কর্তৃত্ববাদের গন্ধ আছে; স্মর্তব্য, সংবিধান প্রণয়নকালে চোখের সামনে সেই অর্থে বিরোধী দল ছিল না। দুর্জনরা এ কথাও বলে, দুটো সামরিক শাসনের উদয় না ঘটলে ’৭৩ থেকে একটি দলই রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকত। হ্যাঁ, পাঁচ বছর অন্তর একটি নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন হতো। এমনও বলতে শুনেছি, ১৯৯৬ সালে মাগুরা না হলে কেয়ারটেকার হতো না এবং ’৯৬-এর ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের পর জিতে এসে আওয়ামী লীগই আজ অবধি দেশ চালাত। এখন সেটিই হচ্ছে।

অনির্বাচিত সরকার কাম্য নয়। কিন্তু দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে কী হয়, তা জাতি একাধিকবার প্রত্যক্ষ করেছে। কেয়ারটেকার একটি আন্দোলন ও ত্যাগের ফসল। এটি বিলোপ করার কোনো দাবি ছিল না। কেয়ারটেকার বাতিল মানেই ক্ষমতায় বসে নির্বাচন, যাতে হেরে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই- আমাদের নির্বাচনী ব্যবস্থায় এটিই এখন সমস্যা। এই সমস্যাটি ২০১৪, ২০১৮-এর মতো পুনরায় জাতি প্রত্যক্ষ করল।

নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলাই যায়। তারপরও একতরফা-একদলীয় নির্বাচনে মানুষ হতাহত হয়েছে। নির্বাচন-পরবর্তী গোলযোগও চলছে। জালভোট ও ছাপ্পাভোট পড়েছে অনেক জায়গায়। খোদ নৌকা, আওয়ামী স্বতন্ত্রী, জাপা, ইনুর এমন অভিযোগ এন্তার। ভোটার উপস্থিতির হার নিয়ে তর্ক চলছে, চলবেও। কেননা, বিএনপিবিহীন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য ছিল বেশি সংখ্যায় ভোটারের উপস্থিতি। নির্বাচনের পরপরই শাসকদল ব্যাপক ভোটার উপস্থিতির কথা বলে আনন্দ প্রকাশ করেছে। পক্ষান্তরে নির্বাচন বর্জনকারী বিএনপি ও সমমনারা কমিশনের দেয়া ভোটার উপস্থিতির হার প্রত্যাখ্যান করে ভোটকেন্দ্রে না-যাওয়ার জন্য জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়েছে।

একটি দেশে অনির্বাচিতদের হাতে রাষ্ট্রক্ষমতা থাকবে না, এটিই আদর্শিক অবস্থা। এখানে প্রশ্ন, তাহলে নির্বাচনকালে কী হবে? বলা হয়, দেশের প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী হবে এবং তারাই বিতর্কহীন গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করে দেবে। কিন্তু এই দেশে রাজনৈতিক সরকারগুলো প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভেঙেচুরে তছনছ করে দিয়েছে এবং এ কারণেই নির্বাচন কমিশনের তথ্যেও বহুজনের অনাস্থা। ভোটের হাজিরা নিয়ে উভয়পক্ষেরই নানা যুক্তি আছে। এ ক্ষেত্রে কমিশনের খানিকটা দায় তো আছেই, তাদের প্রচারব্যবস্থায় গোলমাল ছিল। এ-ও মানতে হবে, নির্বাচনী আচরণ ভঙ্গের দায়ে সর্বত্র ব্যবস্থা গ্রহণে ঘাটতি আর এই ভোটের হার নির্বাচন কমিশনের জন্য কলঙ্ক হয়ে থাকতে পারে। এখন নির্বাচন কমিশন ঠিক বলছে না, না বাড়িয়ে বলছে- গবেষণার বিষয়। এখানে বিশ^াস বলে কিছু নেই আর।

নির্বাচনের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, আওয়ামী লীগ ও দলের স্বতন্ত্র ২৮০, আওয়ামী লীগের মিত্র ও ভাগ পাওয়া জাপা ১১, আওয়ামী লীগের শরিক নৌকা দুই, খাঁটি স্বতন্ত্র দুই, আওয়ামী লীগের দয়ায় প্রাপ্ত কল্যাণ পার্টি এক। সবটিই একদলের। বিরোধী দল কে হবে তাই নিয়ে কথা চলছে। ৫২ বছরের ইতিহাসে বিরোধী দল গঠন নিয়ে জটিলতা এই-ই প্রথম। ট্রেজারি বেঞ্চে নৌকার সংসদ সদস্য। বিরোধী শিবিরে নৌকাহীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য। দৃশ্যটি কেমন হবে!

২০২৪-এর নির্বাচনে দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ব্যতীত জাপা, মেননের ওয়ার্কার্স পার্টি, ইনুর জাসদ ও কল্যাণ পার্টি যথাক্রমে- ১১, এক, এক ও একটি আসন পেয়েছে। সবটাই আবার আওয়ামী লীগের আনুকূল্যে। কল্যাণ পার্টি নিয়ে আলোচনার আবশ্যকতা নেই। জেনারেল সাহেবের বয়সের সাথে অংশত দলটির ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে। তিনি আদতে কিছুটা গুড়-বাতাসা খেতে চেয়েছিলেন, সে আশা মিটেছে; নৈতিকতার বালাই ষাট। জাপা ও ইনু-মেননের ভবিষ্যৎ অনেকটি প্রশ্নের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। জাপার প্রধানের মুখ থেকে এখনই ‘বলির পাঁঠা’, ‘কোরবানি দেয়া’ ইত্যাকার শব্দ বেরুচ্ছে। প্রশ্ন আছে, পা চেটে-চেটে (এই শব্দ প্রয়োগের জন্য দুঃখিত) প্রাপ্ত ভিক্ষায় জাপা কি এগিয়ে না পিছিয়ে গেল!

এই নির্বাচনে বিএনপিকে নিয়ে আওয়ামী লীগের দু’টি বড় পরিকল্পনা ছিল বলেই প্রাজ্ঞজনরা মনে করেন। দলটিকে নির্বাচনের বাইরে রাখা এবং দলটি ভেঙে দেয়া। বলাই বাহুল্য, প্রথমটিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ যতটা সফল হয়েছে দ্বিতীয়টিতে ততটাই ব্যর্থ- এমনকি দু’-দশজনকেও ভাগাতে পারেনি, যাকে অনেকে মুরগি ধরা বলেছে। এখানেই বিএনপির টিকে থাকার কারিশমা; দলটিকে অবর্ণনীয় নির্যাতন সইতে হয়েছে, কেউ কেউ বলছে, দলটির শক্তি বরং বেড়ে যাবে। বিএনপিকে ভাঙতে না পেরে জেনারেল ইবরাহিমকে কাছে টানা এবং কৌশল করে জিতিয়ে আনা এবং ওমরকে জেল থেকে বের করে সরাসরি পিএমের সাথে সাক্ষাৎ (তখনো গাড়ি ভাঙার আসামি), তাকেও জিতিয়ে আনা এবং সর্বোপরি তৈমূর আর শমসের মুবিনকে অতলে ডুবিয়ে দেয়া থেকে আমাদের খুচরো রাজনীতিকরা কোনো শিক্ষা নেবেন কি? জেপির মঞ্জু কি হারিয়ে যাবেন- হেরেছেন তো শিষ্যের কাছেই। তৈমূর-শমসের গংরা বুঝে গেছেন, হালুয়া-রুটির ভাগ পেতেও কিছু জনসমর্থনের দরকার হয়। আতাউর রহমান সাহেবকে নিয়ে একটি কথা আছে- মাটি অনেক পবিত্র। মাটি দিয়ে তায়াম্মুম করে পবিত্র হওয়া যায়। আবার মাটি দিয়ে কুলুখ করে কেউ কেউ। আতাউর রহমানকে এরশাদ শাহেব কুলুখ করে ছুড়ে দিয়েছেন; কথাটি সেই সময়ে চালু ছিল। এবারো কি কারো কারোর ক্ষেত্রে সেটি ঘটেছে? বিএনপি থেকে বের হয়েও কেউ ভালো করেনি। বগুড়ায় একজন হেরেছেন। বি-বাড়িয়ায় একজন জিতেছেন। এর বাইরে কাউকে নিয়ে আলোচনা নেই। দলছুটদের কী হয়, সে-ও এক শিক্ষা বটে। জোটের ১৪ দলের মধ্যে নির্বাচন করছে মাত্র চারটি দল। বাকিদের ভবিষ্যৎ রাজনীতি কিসের জন্য টিকে থাকবে? আবার শাহজাহান ওমর দেখিয়ে দিয়েছেন, রাজনীতিতে সততা বলতে কিছু নেই, আছে হ্যাডম। তার জামিন পাওয়ায় দেশের আদালত নিয়ে এক-প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে। আওয়ামী লীগ ওমর সাহেবকে এভাবে নিয়ে নিজেদের দেউলিয়াত্বই দেখাল যেন! জে. ইবরাহিমকে জিতিয়েও কি বহুদলের অংশগ্রহণ প্রমাণ করা যাবে? লম্ফঝম্ফ দিয়েও শূন্যে পড়ে আছেন মেজর আখতার, কাদের সিদ্দিকীরা। জিততে পারেননি রওশনীয় জাপার কোনো প্রার্থী। হায়, নির্বাচন নামের কঠিন খেলা!

ক্ষমতাসীন ও নির্বাচিত আওয়ামী লীগেরও শেখার আছে। দলীয় মনোনয়ন নিয়েও বাঘা বাঘা প্রার্থীরা হেরে গেছেন দলের মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থীর কাছে, এটি দেখার জন্য বহুজন টিভির সামনে অপেক্ষা করেছিলেন।

প্রধান বিরোধীদলহীন একটি নির্বাচনে ৪০ শতাংশ ভোটারের ভোট আন্তর্জাতিক মহল কিভাবে নেয় দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। আওয়ামী লীগের জন্য এটিই বড় চ্যালেঞ্জ। নির্বাচনের পরের দিনই ভারত-চীন-রাশিয়াসহ কয়েকটি দেশ প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছে। সমর্থন জানিয়েছে কমনওয়েলথ। কিন্তু ‘বাংলাদেশের নির্বাচন অবাধ বা সুষ্ঠু হয়নি’ মর্মে মতামত জানিয়েছে আমেরিকা ও যুক্তরাজ্য; দু’টি দেশের বক্তব্যে অভিন্ন সুর। গতকাল জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার কমিশন বলেছে, অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতন্ত্রের পরিবেশ সৃষ্টির কথা। আবার সব দলের অংশগ্রহণ না হওয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়নও হতাশা ব্যক্ত করেছে। এই চার বিবৃতিতেই বিরোধী দলের উপর দমন-পীড়নের কথা ব্যক্ত হয়েছে। সরকার এসব আমলে নিয়ে পাইকারি হারে গ্রেফতারকৃত বিএনপির লোকদের ছেড়ে দেবে কি? অন্যদিকে আমেরিকাসহ পশ্চিমা দেশের সাথে আমাদের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক বহু ব্যাপার আছে। এই দু’টি ক্ষেত্রে তারা বিরূপ পদক্ষেপ নিলে ভারত-রাশিয়া-চীন দিয়ে সেটি মেরামত করা যাবে না। এখানেই নতুন সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ। আমাদের কোনো বিপদ না হোক, সেটিই একান্ত প্রত্যাশা।

নিবন্ধকার ও গবেষক মহিউদ্দিন সাহেব তার একটি বইয়ে এই দেশের একটি অতীত নির্বাচনের পোস্ট মর্টেম করেছেন (তিনি নানা অনুষ্ঠানে এসবের পুনরাবৃত্তিও করছেন)। তার মতে, সত্তরের নির্বাচনটি ভালো ছিল কেবল ইয়াহিয়ার কোনো দল ছিল না বলে (অনেকেই এটি বলেন)। অনুরূপভাবে ’৯১, ’৯৬ (জুন), ২০০১, ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনেও ক্ষমতাসীনদের দল বা প্রার্থী ছিল না বলেই নির্বাচন নিয়ে অপেক্ষাকৃত কম বিতর্ক ছিল এবং মোটাদাগে নির্বাচন চারটি গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। তিনি আরো দেখিয়েছেন, দলীয় সরকারের অধীনে কখনোই নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। তার বইয়ে আছে, ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে ভোলার একটি আসনে ডাক্তার আজাহার উদ্দিনকে মনোনয়ন দাখিল থেকে বিরত রাখার নানা জোর-জবরদস্তির বিবরণ। ইতিহাস থেকেই যায়। ২০২৪ সালের নির্বাচনের ইতিহাসও মুছে যাবে না। দেশের সর্ববৃহৎ দলটি একাদিক্রমে চার টার্ম তথা চতুর্থবারে ক্ষমতায় বসতে যাচ্ছে- এই ইতিহাসের পাশাপাশি নির্বাচনী বৈতরণী পেরোবার প্রয়োগ-পদ্ধতিও ইতিহাসের পাতায় অবশ্যই লিপিবদ্ধ থাকবে। আদপেই ইতিহাস বড় নিষ্ঠুর। নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ আবারো দেশ শাসনের সুযোগ নিয়েছে, কিন্তু নৈতিকতার দিক থেকে বৈধতার সঙ্কট থেকেই যাবে তাদের।


আরো সংবাদ



premium cement
আফগানিস্তানে নতুন করে ভারী বৃষ্টি ও বন্যায় ৫০ জনের মৃত্যু বগুড়ায় বন্ধু হত্যার ঘটনায় সৈনিক লীগ সভাপতি গ্রেফতার ইয়েমেনে তেলের ট্যাঙ্কারে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা অলিম্পিকে ইকুয়েস্ট্রিয়ানে পদক জেতার আশা সৌদি আরবের ভালুকায় কারখানা শ্রমিকের মৃত্যু ইসরাইলের ব্যাপক ক্ষতি করেছে হিজবুল্লাহ, স্বীকার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর ন্যায়বিচার পাওয়া প্রত্যেকের মৌলিক অধিকার : প্রধান বিচারপতি তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে চকলেট খাওয়ানোর প্রলোভনে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ এবার কি যুক্তরাষ্ট্র-ব্রিটেনও ভারতীয় মশলা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে? গাইবান্ধায় চাচার ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল ভাতিজির শিশুদের নিয়ে বিশ্বকাপের জার্সি উন্মোচন করলো আফগানিস্তান (ভিডিও)

সকল