ক্যারিবীয় অঞ্চলে হারিকেন বেরিলের তাণ্ডবে নিহত ১০
- রয়টার্স
- ০৫ জুলাই ২০২৪, ০০:০৫
ক্যারিবীয় অঞ্চলের ছোট দ্বীপপুঞ্জগুলোতে কয়েকদিন ধরে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর হারিকেন বেরিল বৃষ্টিসহ প্রচণ্ড শক্তি নিয়ে জ্যামাইকায় আছড়ে পড়ে। এখানে অন্তত একজন নিহত হয়েছেন। এতে শক্তিশালী এ হারিকেনটির তাণ্ডবে নিহতের সংখ্যা অন্তত ১০ জনে দাঁড়িয়েছে; তবে এ সংখ্যা আরো বাড়বে বলে ব্যাপকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
হারিকেনের প্রভাবে ক্যারিবীয় অঞ্চলের দ্বিপপুঞ্জগুলোতে বন্যা ও প্রাণঘাতী ঝড় বয়ে যাওয়ার পর আস্তে আস্তে যোগাযোগ স্বাভাবিক হওয়া শুরু করেছে, ফোন ও ইন্টারনেটের লাইন সচল হচ্ছে। এতে হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির চিত্রও পরিষ্কার হচ্ছে। জ্যামাইকায় বেরিলের সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক অংশটি দ্বীপটির দক্ষিণ উপকূল দিয়ে স্থলে উঠে সামনে পড়া এলাকাগুলো তছনছ করে দেয়। বন্যাপ্রবণ এই এলাকাটি থেকে বাসিন্দাদের আগেই সরানো শুরু করেছিল জরুরি বিভাগের কর্মীরা।
জ্যামাইকার দুর্যোগ সংস্থার ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক রিচার্ড থম্পসন স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, হ্যানোভার এলাকায় ঘরের উপর গাছ পড়ে এক নারী মারা গেছেন। বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় এক হাজার জ্যামাইকান আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে উঠেছে বলে জানান তিনি।
জ্যামাইকার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্ড্রু হোলনেস বুধবার দেশব্যাপী কারফিউ জারি করার পর থেকে দ্বীপটির প্রধান বিমানবন্দরগুলো বন্ধ রয়েছে আর রাস্তাগুলো প্রায় ফাঁকা হয়ে গেছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে হোলনেস বলেন, ‘মানবিকভাবে যতটুকু সম্ভব আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। এখন বাকিটা সৃষ্টিকর্তার হাতে ছেড়ে দিচ্ছি।’
এবারের ঘূর্ণিঝড়ের রূপ আগের চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা বলে জানান স্থানীয়রা। পূর্ব ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের অন্যতম ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সেন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড দ্য গ্রেনাডাইনসের প্রধানমন্ত্রী রালফ গনসালভেস এক রেডিও সাক্ষাৎকারে বলেছেন, বেরিলের আঘাতে দেশটির ইউনিয়ন দ্বীপ ‘চূর্ণ’ হয়ে গেছে। ‘সবাই গৃহহীন। এমন দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতির পুনর্নির্মাণ একটি দানবীয় প্রচেষ্টা হতে চলেছে।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা