১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

উৎক্ষেপণের পর বসতি এলাকায় খসে পড়ল রকেটের অংশ

-

চীন ও ফ্রান্স মিলে গত ২২ জুন লং মার্চ ২-সি নামের একটি রকেট উৎক্ষেপণ করে। চীনের শিচাং স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টার থেকে ভোর ৩টার দিকে স্পেস ভেরিয়েবল মনিটর মহাকাশযানের সাথে সেটি উৎক্ষেপণ হয়। রকেটটি ছিল আসলে বুস্টার। উৎক্ষেপণের কিছুক্ষণের মধ্যেই এর কিছু অংশ খসে পড়ে দেশের বসতি এলাকায় এবং তীব্র শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। যা ক্যামেরাবন্দী করেছেন সেখানকার বাসিন্দারা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই মুহূর্তের ছবি এবং ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, আকাশ থেকে হলুদ ধোঁয়ার একটি রেখা দ্রুতগতিতে নিচের দিকে নেমে আসছে, যার অগ্রভাগে রয়েছে রকেটের অংশ। বাড়িঘর, গাছপালার মধ্যেই আছড়ে পড়ে রকেটের ওই অংশ এবং বিস্ফোরণ ঘটে। পুরো ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। রকেটটিকে আকাশ থেকে নেমে আসতে দেখেই ছুটতে শুরু করেন লোকজন এবং শিশুরা। দূর থেকে সেটিকে আছড়ে পড়তে দেখে তারা।
লং মার্চ ২-সি রকেটে নাইট্রোজেন টেট্রোক্সাইড এবং আনসিমেট্রিক্যাল ডাইমিথাইলহাইড্রাজিন ব্যবহৃত হয়েছিল, যা মানবশরীরের জন্য বিষের সমান। তাই বসতি এলাকায় রকেটের ওই অংশ ভেঙে পড়া নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। ওই বিষাক্ত গ্যাস মানুষের শরীরে প্রবেশ করার ফল মারাত্মক হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রকেটের অংশ বিশেষ খসে পড়লেও মহাকাশযান উৎক্ষেপণ সফল হয়েছে বলে জানিয়েছে চীন। এযাবৎকালীন সবচেয়ে শক্তিশালী মহাকাশযান হিসেবে লং মার্চ ২-সিকে চিহ্নিত করেছে তারা। বহু দূরের নক্ষত্রের বিস্ফোরণও সেটি ক্যামেরাবন্দী করতে পারে বলে জানানো হয়েছে। মহাকাশযানটি পৃথিবীর কক্ষপথে পৌঁছে গেছে বলে খবর।
চীনের ন্যাশনাল স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানিয়েছে, গামা-রে’র বিস্ফোরণ থেকে মহাজাগতিক বস্তুগুলো নিয়ে গবেষণা চালাবে লং মার্চ ২-সি মহাকাশযানটি। মহাকাশ গবেষণার পথও আগামী দিনে এতে প্রশস্ত হবে বলে দাবি চিনা বিজ্ঞানীদের। এই প্রথম মহাকাশ গবেষণায় যৌথভাবে অংশ নিল চীন এবং ফ্রান্স। মহাকাশ গবেষণায় যে চীনের আধিপত্য ক্রমেই বাড়ছে, তার ইঙ্গিত মিলছে।


আরো সংবাদ



premium cement