পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন অনানুষ্ঠানিক বৈঠক
- রয়টার্স
- ২২ জুন ২০২৪, ০২:৫১
পাঁচ বছরের মধ্যে প্রথম পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। গত মার্চে পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে আধা সরকারি আলোচনা নতুন করে শুরু করে দেশ দু’টি। আলোচনায় বেইজিংয়ের প্রতিনিধিরা মার্কিন প্রতিনিধিদের জানান, তারা তাইওয়ানের বিরুদ্ধে পারমাণবিক হুমকির আশ্রয় নেবেন না। আলোচনায় অংশ নেয়া দুই আমেরিকান প্রতিনিধি এ কথা জানিয়েছেন।
তাইওয়ানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে হেরে গেলে চীন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে বা এই অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দিতে পারে বলে বৈঠকে শঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রতিনিধিরা। তখন চীন এমন কিছুই করবে না বলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের আশ্বস্ত করেন চীনা প্রতিনিধিরা। দ্বীপরাষ্ট্র তাইওয়ানকে চীন বরাবরই নিজ ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ মনে করে। অন্য দিকে তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীন বলেই গণ্য করে। নিজস্ব পরিচয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে পরিচিত হতে চায় তারা। তাইওয়ানের এ আকাক্সক্ষা রোধেই চীন প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগের হুমকি দিয়ে আসছে বরাবর।
মার্চে অনুষ্ঠিত ট্র্যাক টু টকস বৈঠকের মার্কিন আয়োজক ডেভিড সান্টোরো বলেন, ‘মার্কিন প্রতিনিধিদেরকে চীন বলেছে যে, পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার না করেই তাইওয়ানের বিরুদ্ধে একটি প্রচলিত লড়াইয়ে বেইজিং জয়লাভ করতে সক্ষম এ ব্যাপারে তারা পুরোপুরি নিশ্চিত।’
সাংহাই হোটেলের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত দুই দিনের এ বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক কর্মকর্তা ও পণ্ডিত ব্যক্তিরাসহ প্রায় আধা ডজন প্রতিনিধি অংশ নিয়েছিলেন। তবে বৈঠকে মার্কিন সরকারের কোনো প্রতিনিধি ছিলেন না। চীনও পণ্ডিত এবং বিশ্লেষকদের একটি প্রতিনিধিদল পাঠায়, যার মধ্যে পিপলস লিবারেশন আর্মির বেশ কয়েকজন সাবেক কর্মকর্তাও ছিলেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স প্রথম এই বৈঠক নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করল।
রয়টার্সের একটি প্রশ্নের জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, ট্র্যাক টু আলোচনা ‘ফলপ্রসূ’ হতে পারে। তারা বৈঠকে অংশ না নিলেও এ বিষয়ে অবগত। তবে বৈঠকটি নিয়ে চীনের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পায়নি রয়টার্স।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা