হাইফা বন্দরে ইয়েমেন ও ইরাক যোদ্ধাদের হামলা
- আলজাজিরা
- ০৯ জুন ২০২৪, ০০:০৫
ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ আন্দোলনের নেতৃত্বাধীন সরকারের সশস্ত্র বাহিনী ও ইরাকের ইসলামী প্রতিরোধ যোদ্ধারা ফিলিস্তিনের ভূমধ্য সাগর-সংলগ্ন ইসরাইলের বন্দরে দুটি যৌথ অভিযান চালিয়েছে। এই যৌথ অভিযানে বেশ কয়েকটি ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। গাজার রাফাহ শহরে সাম্প্রতিক ইসরাইলি গণহত্যার জবাবে এসব হামলা চালিয়েছে ইয়েমেন ও ইরাকের প্রতিরোধ যোদ্ধারা।
গাজার ওপর ইসরাইলি আগ্রাসন ও অবরোধ তুলে না নেয়া পর্যন্ত এ ধরনের এ ধরনের অভিযান আরো চালানো হবে বলে এই সম্মিলিত প্রতিরোধ যোদ্ধারা হুশিয়ারি দিয়েছে। অধিকৃত ফিলিস্তিনের সাথে ইরাক ও ইয়েমেনের অভিন্ন স্থল-সীমান্ত নেই যেমনটি রয়েছে ফিলিস্তিনি, লেবাননি ও সিরীয় প্রতিরোধ যোদ্ধাদের। তাই সাগরে ও আকাশ-পথে ইসরাইলের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুগুলোতে হামলা তথা ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলাই আপাতত তাদের কর্মপন্থা।
ইসরাইলি লক্ষ্যবস্তুগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালানোর পাশাপাশি ইসরাইলগামী ও ইসরাইল-সম্পর্কিত এবং ইসরাইলের মিত্র বাহিনীর জাহাজগুলোতে হামলা চালিয়ে ইয়েমেন প্রতিরোধ অক্ষের অন্যতম প্রধান বা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শক্তিতে পরিণত হয়েছে। এসব হামলার কারণে ইসরাইলের এইলাত বন্দরটি কার্যত অচল হয়ে পড়েছে যা ছিল পূর্ব এশিয়ার সাথে ইসরাইলের যোগাযোগের এবং তেল আবিবের জন্য সুয়েজ খালের বিকল্প যোগাযোগের মাধ্যম।
পূর্ব এশিয়া থেকে ইসরাইলে বছরে প্রায় ৯ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করা হয়। ইয়েমেনের প্রতিরোধ যোদ্ধারা ইসরাইলগামী জাহাজগুলোর জন্য বাব আল মান্দেব প্রণালি বন্ধ করে দেয়ায় আফ্রিকার উপকূলীয় অঞ্চল ঘুরে ইসরায়েলে মালামাল পাঠাতে চার থেকে পাঁচ সপ্তাহ বেশি সময় লাগে। ফলে ওইসব পণ্য আমদানির পেছনে ইসরায়েলকে পরিশোধ করতে হচ্ছে তিন শতাংশ বাড়তি মূল্য যা প্রায় ৩০০ কোটি ডলারের সমান।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা