মার্কিন অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় হামলা শুরু ইউক্রেনের
- এএফপি ও তাস
- ০৭ জুন ২০২৪, ০০:০৫
মার্কিন অস্ত্র দিয়ে ইউক্রেন এরই মধ্যে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা শুরু করেছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের একজন সিনেটর ও এক পশ্চিমা কর্মকর্তা জানিয়েছেন। তবে কোনো ধরনের অস্ত্র মার্কিন অস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে এবং তা রাশিয়ার কোন কোন অঞ্চলে আঘাত হেনেছে।
এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন গত ৩১ মে বলেছেন, বাইডেন প্রশাসন মার্কিন অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় হামলা চালানোর অনুমোদন দিয়েছে। তবে এসব অস্ত্র দিয়ে প্রাথমিকভাবে ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী রুশ অঞ্চল খারকোভে হামলার অনুমোদ দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। ভবিষ্যতে এ অঞ্চলের বাইরেও হামলার অনুমোদন দেয়া হবে কি না তা পরিষ্কার করেননি ব্লিনকেন ।
এনই দিনে (৩১ মে) জার্মানির মন্ত্রিসভাও তাদের অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার খারকোভ অঞ্চলে হামলার অনুমোদন দেয়। সম্প্রতি, ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহের ক্ষেত্রে পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে কোনো সমন্বয় নাই বলেও জার্মান চ্যন্সেলার দুঃখ প্রকাশ করেন।
ইউক্রেনে ন্যাটোর সেনা
এ দিকে ন্যাটোপ্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ বৃহস্পতিবার বলেছেন, জোটের অনেক সদস্য ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর থেকে কিয়েভকে অস্ত্র সরবরাহ করলেও ইউক্রেনে বাহিনী মোতায়েনের কোনো পরিকল্পনা নেই। স্টলটেনবার্গ ফিনল্যান্ড সফরের সময় বলেন, ‘ইউক্রেনে বাহিনী মোতায়েনের কোনো পরিকল্পনা ন্যাটোর নেই।’ পাশাপাশি তিনি জানান, তার জোট ‘যত দিন সময় লাগে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ানো নিশ্চিত করতে দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক প্রতিশ্রুতি চাইছে’।
তিনি আরো বলেন, ‘গত মাসগুলোতে আমরা ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা প্রদানে কিছু ফাঁক, কিছু বিলম্ব দেখেছি। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে, এটি আবার ঘটবে না।’ রাশিয়ার ইউক্রেনে আক্রমণের কারণে ২০২৩ সালের এপ্রিলে ফিনল্যান্ড ন্যাটোতে যোগদান করে। এরপর থেকে দেশটিতে স্টলটেনবার্গের প্রথম সফর এটি। জোটে দেশটির যোগদানের ফলে কয়েক দশকের সামরিক নিরপেক্ষতার অবসান হয়েছে।
অন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বৃহস্পতিবার ফ্রান্সে পশ্চিমা নেতাদের সাথে সফর করছেন। সেখানে জেলেনস্কি সাম্প্রতিক রুশ অগ্রগতির পর ইউক্রেন কিভাবে আগের অবস্থানে ফিরে যেতে পারে সে বিষয়ে আলোচনার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে দেখা করার কথা রয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা