স্থিতিশীলতা ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় আরব বিশ্বের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে চীন
বেইজিংয়ে চীন-আরব স্টেটস কো-অপারেশন ফোরামের বৈঠকে শির ঘোষণা- রয়টার্স ও সিনহুয়া
- ৩১ মে ২০২৪, ০০:০৫
ন্যায্যতা, ন্যায়বিচার, দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা ও শান্তি অর্জনে আরব বিশ্বের দেশগুলোর সাথে চীন কাজ করতে চায় বলে জানিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। গতকাল বৃহস্পতিবার চীন সফররত আরব বিশ্বের দেশগুলোর নেতাদের সাথে এক বৈঠকে চীনা প্রেসিডেন্ট এ কথা বলেন।
চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত চীন-আরব স্টেটস কো-অপারেশন ফোরামের বৈঠকে তিউনিসিয়া, মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইসরাইলসহ বেশ কয়েকটি আরব দেশের প্রতিনিধিরা যোগ দেন। ফোরামের বৈঠকে চীনা প্রেসিডেন্ট বলেন, চীন আরব বিশ্বের দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক শক্তিশালী করতে আগ্রহী, যাতে বিশ্বের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য একটি মডেল তৈরি করা যায়।
গাজায় চলমান ইসরাইলি আগ্রাসন প্রসঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, এই যুদ্ধ অনির্দিষ্টকালের জন্য চলতে পারে না। চিরদিনের জন্য ন্যায়বিচার অনুপস্থিত থাকতে পারে না এবং দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান অবশ্যই গুরুত্ব দিয়ে এগিয়ে নিতে হবে, যাতে ইসরাইলি ও ফিলিস্তিনিরা শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করতে পারে।
বাহরাইন, মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও তিউনিসিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানদের পাশাপাশি আরব লিগের অন্যান্য দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের উদ্দেশে দেয়া ভাষণে শি জিনপিং বলেন, ‘একটি অশান্ত বিশ্বে পারস্পরিক সম্মানই হলো সম্প্রীতিতে বসবাসের একমাত্র উপায় এবং ন্যায্যতা ও ন্যায়বিচার স্থায়ী নিরাপত্তার ভিত্তি।’ বেইজিং বারবার ফিলিস্তিন-ইসরাইল সঙ্কটের দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের পাশাপাশি অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ও জাতিসঙ্ঘে ফিলিস্তিনি সদস্যপদ দেয়ার ব্যাপারে আহ্বান জানিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছে। এই ইস্যুতে বিশ্বের অন্যান্য দেশকে আরব বিশ্বের দেশগুলোর সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে।
ফিলিস্তিনে দীর্ঘ দিন ধরে চলা ইসরাইলি আগ্রাসনের বিষয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, যুদ্ধ অনির্দিষ্টকাল ধরে চলা উচিত নয়। চিরতরে ন্যায়বিচারের অনুপস্থিত থাকাটাও অনুচিত। একটি দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের প্রতিশ্রুতি ইচ্ছামতো নড়বড়ে হয়ে যাবে- এটা ঠিক নয়।
শি বলেন, উন্নয়নের বিস্তৃত সম্ভাবনাময় ভূমি হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্য। তবে চলমান যুদ্ধের কারণে এ অঞ্চলের উন্নয়ন দৃশ্যমান হচ্ছে না। গত বছরের অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনি-ইসরাইলি যুদ্ধ চরম আকার ধারণ করেছে। যুদ্ধের কারণে এ অঞ্চলের মানুষ সীমাহীন কষ্টের শিকার হচ্ছে।
তিনি বলেন, ১৯৬৭ সালের সীমান্তের ওপর ভিত্তি করে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাকে সমর্থন করে চীন, যার রাজধানী হবে পূর্ব জেরুসালেম। আমরা জাতিসঙ্ঘে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ এবং আরো বিস্তৃত ও কার্যকর আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলনে তাদের অন্তর্ভুক্তি সমর্থন করি।
গাজায় মানবিক সঙ্কট কমাতে ও সঙ্ঘাত-পরবর্তী পুনর্গঠনে সহায়তা করতে চীন তাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলে জানান তিনি। সেইসাথে গাজায় জরুরি মানবিক সহায়তা দিতে জাতিসঙ্ঘের ত্রাণ সংস্থাকেও সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন শি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা