ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয়তায় সম্মত ইইউ দেশগুলো
- রয়টার্স
- ২৪ মে ২০২৪, ০০:০৫
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলো ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের স্বীকৃতির বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান থাকতে পারে, কিন্তু ‘ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আমাদের ঐকমত্য রয়েছে’ বলে জানিয়েছেন ইইউর বিশেষ প্রতিনিধি সোভেন কোপম্যানস। ফিলিস্তিনকে আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে ও স্পেনের স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয়ার প্রতিক্রিয়ায় রয়টার্র্সকে এ মন্তব্য করেন ইইউর বিশেষ প্রতিনিধি।
কুপম্যানস আরো বলেন, সৌদি আরব, মিসর, জর্দান, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিনিধিরা আগামী সপ্তাহে ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের নিয়মিত বৈঠকে যোগ দেবেন। সেখানে গাজা যুদ্ধ অবসানের বিষয়ে আলোচনা করা হবে। তিনি বলেন, কেউ একাই যথেষ্ট নয়। কিন্তু যদি আমরা একসাথে কাজ করি; তা হলে হয়তো আমরা যথেষ্ট হবো, কিছু শুরু করার জন্য।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মনে করেন, কোনো দেশের একতরফা স্বীকৃতির মাধ্যমে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা উচিত হবে না। আলোচনার মাধ্যমে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। গত বুধবার হোয়াইট হাউজে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের উপদেষ্টা জেক সুলিভান এ কথা বলেছেন।
জেক সুলিভানের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র এমন একসময়ে এ অবস্থান ব্যক্ত করল, যে দিন ইউরোপের তিন দেশ নরওয়ে, আয়ারল্যান্ড ও স্পেন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র স্বীকৃতি দেয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে, যা আগামী ২৮ মে কার্যকর হবে। হোয়াইট হাউজ হতাশা ব্যক্ত করে বলেছে, তিন দেশ একতরফা স্বীকৃতির মাধ্যমে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়টি এগিয়ে নিতে চাইছে, কিন্তু বাস্তবে এ ধরনের খুব একটা কার্যকর নয়।
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়ে প্রতিটি দেশ নিজ নিজ সিদ্ধান্ত নিতে পারে, কিন্তু প্রেসিডেন্ট বাইডেন মনে করেন, এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন পক্ষের আলোচনাই সর্বোত্তম সমাধান।’ জেক সুলিভান বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেন বিশ্বাস করেন, একটি দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান, যা ইসরাইলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং ফিলিস্তিনি জনগণের মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং ভবিষ্যতে এ অঞ্চলের সবার জন্য দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা আনার সর্বোত্তম উপায়।’
হোয়াইট হাউজের অন্যতম শীর্ষ এই কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেন জোর দিয়ে বলেছেন, দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মধ্যে সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে আসা উচিত, একতরফা স্বীকৃতির মাধ্যমে নয়।’ এ সময় জেক সুলিভানের কাছে জানতে চাওয়া হয়, বিশ্বের অন্যান্য দেশও ইউরোপের তিন দেশের অনুসরণ করে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে পারে- বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন কী? এ সময় তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র তার অবস্থান বজায় রেখে অংশীদারদের সাথে যোগাযোগ করবে। দেখা যাক ভবিষ্যতে কী হয়।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা